রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে প্রতিবছর আম্রপালি জাতের আমের ব্যাপক ফলন হয়। এসব আমের চাহিদা ও কদর রয়েছে দেশজুড়ে। এবারও কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আম্রপালির ভালো উৎপাদন হয়েছে। বিশেষ করে কাপ্তাইয়ের ঘাগড়া সড়কের আশেপাশে গেলেই চোখে পড়ছে গাছে গাছে আমের সমারোহ। ইতিমধ্যে গাছ থেকে আ¤্রপালি সংগ্রহ করে বাজারজাত করছেন চাষীরা। অন্যদিকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন হাট বাজারে দেখা মিলছে এসব আম্রপালির।

সম্প্রতি কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি, নতুন বাজার সহ বেশ কিছু জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বেশ আম্রপালির সমারোহ। তবে আম্রপালির পাশাপাশি রুপালী, রাঙ্গু এবং মল্লিকা জাতের আমের মোটামুটি ফলন হয়েছে কাপ্তাইয়ে।

দীর্ঘ বছর যাবৎ আম্রপালির চাষ করছেন উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়ন এর বাসিন্দা সুজন তঞ্চঙ্গ্যা, যতিন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা সহ অনেক আম চাষী। তারা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ভালো আম্রপালির চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের বাগানগুলো পাইকার ক্রেতারা কিনেও ফেলেছেন। এখন চলছে বাজারজাত করণ প্রক্রিয়া।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা সদরের মৌসুমি ফল বিক্রেতা মোঃ দুলাল মিয়ার, আবু তালেব সহ একাধিক বিক্রেতা জানান, তারা উপজেলায় মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে সংসার চালান। মৌসুমী ফলের মধ্যে আম্রপালি বিক্রয় করেই সবচেয়ে বেশি আয় করেন তারা। কারণ কাপ্তাইয়ের আম্রপালি সারাদেশে বেশ সমাদৃত। বছরের জুন জুলাই মাসে প্রচুর আম্রপালি কাপ্তাই থেকে জেলার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এবারও কাপ্তাইয়ে বেশ আম্রপালির ফলন ভালো হওয়ায় তারা অনেক আম সংগ্রহ করেছেন বিক্রয়ের জন্য। তারা পাইকারি ৫০-৬০ টাকা ধরে ক্রয় করলেও এসব আম ৯০-১০০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রয় করছেন।

তবে কয়েকজন বিক্রেতা জানান, গতবছরের তুলনায় দাম কম হওয়ায় তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তারা জানায়, গতবছর যেখানে প্রতিকেজি আম্রপালি ১শ’ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এবার একই জাতের দাম ৬০-৭০ টাকা বিক্রয় করছেন। আবার যেসব আমের দাম ৫০ টাকা ছিল এবার তা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি করছে তারা। অত্যন্ত সু-স্বাদু হওয়ায় আম্রপালির চাহিদা ক্রেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশী বলে এই ব্যবসায়ীরা জানায়।

কাপ্তাই উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইমরান আহমেদ জানান, গতবছরে তুলনায় এবার কাপ্তাইয়ে আম্রপালির ভালো ফলন হয়েছে। কাপ্তাইয়ের ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে ভালো পরিমাণ আম্রপালির চাষ হয়েছে। এসব আমের চাহিদা ও কদর সারাদেশ জুড়ে রয়েছে। কাপ্তাইয়ের এসব আম্রপালি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও বিক্রি হয়ে থাকে। আশা করা যাচ্ছে, এবারও স্থানীয় আম চাষীরাও বেশ লাভবান হবেন।