ডেস্ক রির্পোট:- দিল্লির মসনদ কার? দিনভর নানা নাটকীয়তা শেষে আভাস মিলেছে ভারতে মোদি ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে। লোকসভা নির্বাচনে ব্যক্তি নয়, ভারতীয় জনগণ ব্যবস্থার প্রতি তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তা নির্বাচনের রায়ে হতাশায় পরিণত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি টানা তৃতীয়বারের মতো ঐতিহাসিক বিজয় দাবি করেছেন। অন্যদিকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়াও সরকার গঠনে তৎপর হয়েছে। ফলে নরেন্দ্র মোদিই সরকার গঠন করবেন- শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায় না। ইন্ডিয়া জোট যদি ‘নতুন অংশীদার’ খুঁজে নিয়ে সরকার গঠন করতে চায় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। গতকাল সকালে ভারতে লোকসভার ভোট গণনা শুরু হয়। স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ১৩ ঘন্টা পরে জানা যায়, ইন্ডিয়া জোট ২৩৩ আসনে জয়ী হয়েছে।
তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে তখনও প্রয়োজন ৩৯ আসন। অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯১ অতিক্রম করেছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে যে ২৭২ আসন প্রয়োজন। তার চেয়ে তারা ১৯ আসন তখনও বেশি পেয়েছে। কিন্তু এককভাবে বিজেপি পেয়েছে ২৩৯ আসন। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তারা। এ জন্য যে নতুন পার্লামেন্ট হবে তা হবে ঝুলন্ত। অর্থাৎ জোটকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার গঠন করতে হবে। যেহেতু বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি, তাই এই সুযোগ নিতে পারে বিরোধী দল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট। জোটবিহীন ১৯ এমপির মধ্যে ওয়াইএসআরসিপি এবং স্বতন্ত্র আছেন চারজন। তাদেরকে সঙ্গে নিতে পারলে এবং যদি এনডিএর সঙ্গী জেডিইউ এবং টিডিপিকে সঙ্গে নিতে পারে, তাহলে সরকার গঠনের দিকে এগুতে পারে ইন্ডিয়া জোট। এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। অন্যদিকে যদি তাদের কেউ জোট ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে যেকোনো মূল্যে তাদেরকে ধরে রাখতে হবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটকে। ফলে এই অবস্থায় এসে ভারতে সরকার গঠন নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এবার লোকসভা নির্বাচনে বুথফেরত জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিস্ময়কর ফল করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। বুথফেরত জরিপ তাদেরকে দিয়েছিল ১৫২টির মতো আসন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গতকাল তারা ২৩৩ আসনে জিতেছে। এই আসনগুলোর সঙ্গে আরও কিছু আসন যোগ হলে তারাও সরকার গঠনের ডাক দিতে পারে। এ জন্য গতকালই এনডিএ জোটের ছোট দলগুলোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে তারা কথা বলা শুরু করে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন এনডিএ জোটের শরিক অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) জিতেছে ১৬ আসনে। অন্যদিকে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এগিয়ে ১২ আসনে। ফলে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। বলাবলি হচ্ছে, কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোট যদি তাদেরকে বাগে আনতে পারে তাহলে তারাও সরকার গঠন করতে পারে। এখানেই দরকষাকষির বড় একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন এই দুই নেতা। তাই বলা হচ্ছে তারা দু’জন হলেনÑ বিজেপি বা এনডিএ জোটের জন্য বাঁচামরা। অন্যকথায় বলা যায়, এবার ভারতে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তারা দু’জন কিংমেকার হয়ে উঠেছেন।
এনডিটিভির হিসাবে বিজেপি এককভাবে ২৩৯ আসনেই জয় পেয়েছে। ফলে তারা দল হিসেবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এ অবস্থায় তারা সরকার গঠন করলে মসৃণভাবে সরকার চালাতে হোঁচট খাবে। কারণ, পার্লামেন্টে গতবারের মতো তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না। এ জন্য কোনো বিল পাস করতে গেলে শরিকদের মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে। গত পার্লামেন্টে শুধু বিজেপি’র আসন ছিল ৩০৩টি। অর্থাৎ তারা ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে কোনো বিল তারা অন্য যেকোনো শরিক বা বিরোধীদের ওপর নির্ভর না করেই পাস করাতে পেরেছে। এবার ওই ২৩৯ আসনে জয় পাওয়ায় তা কঠিন হয়ে পড়বে তাদের জন্য। ফলে তাদের কাছেও চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। এই দুই নেতার বাইরে আছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সিন্ডে গোষ্ঠী। তারা এগিয়ে ৬ আসনে। বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এগিয়ে ৫ আসনে। উত্তর প্রদেশে রাষ্ট্রীয় লোকদল এগিয়ে আছে তিন আসনে। এর বাইরে আছে বেশ কিছু ছোট দল। তারা একটি বা একাধিক আসনে এগিয়ে আছে।
ওদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে বাজিমাত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দল এ রাজ্যে অভাবনীয় ফল করছে। এ রাজ্যে লোকসভার আসন আছে ৪২টি। তার মধ্যে ২৯টি আসনে জয় পেয়েছেন তার প্রার্থীরা। তীব্রভাবে এ রাজ্যকে আঁকড়ে ধরা বিজেপি এগিয়ে ছিল ১১ আসনে। আগের লোকসভায় তৃণমূলের আসন ছিল ২২টি। বিজেপি’র ছিল ১৮টি। এবার বিজেপি’র আসন দৃশ্যত কমছে। অন্যদিকে তৃণমূলে জোয়ার লেগেছে। তাই তারা ভূমিধস বিজয় পেয়েছে। এমন খবরে দলীয় নেতাকর্মীরা মমতার বাড়ির সামনে ভিড় জমান। আবির রাঙিয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন। পুরো পশ্চিমবঙ্গ যেন আনন্দের বন্যায় ভেঙে পড়ে। এ রাজ্যে রাজনীতিতে এসেই বাজিমাত করেছেন অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় পেয়েছেন অভিনেতা দেব। ধরাশায়ী হয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি’র সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এসব কারণে রাজ্য বিজেপিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন। কারণ, বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা তার ওপর ভর করেছিলেন। তার পরামর্শেই প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের আসন বণ্টন করা হয়েছে। উপরন্তু এ রাজ্যকে বিজেপি টেস্ট কেস হিসেবে নিয়েছিল। এখানকার নির্বাচনী প্রচারণায় কার্যত সব শক্তি ব্যবহার করেছে বিজেপি। একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ। তারা মমতার সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার এ রাজ্যে পাশার দান উল্টে যাবে। পশ্চিমবঙ্গকে কব্জা করে ফেলবে বিজেপি। কিন্তু ঘটেছে উল্টো। তারা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেক আসনে এগিয়ে আছে। বাকি অর্ধেকে পিছিয়ে।
এনডিএ জোট নির্বাচনে ৪ শতাধিক আসন পাওয়ার দাবি করেছিল। উত্তর প্রদেশ থেকে তারা আসন হারিয়েছে। আমেথিতে বিজেপি’র প্রার্থী স্মৃতি ইরানির চেয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটে জিতেছেন কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মা। এ রাজ্যে বিজেপিকে হতাশ করেছে ইন্ডিয়া ব্লক। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস এ রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৪০টিতে এগিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে বিজেপি আগানো ছিল প্রায় ৩৫ আসনে। অথচ এ রাজ্যে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে চমক দেখায় বিজেপি।
শরিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা মোদির মুখে
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জয়কে ‘জনতা জনার্দনের জয়’ অ্যাখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সরকার গড়ার প্রয়োজনীয় সংখ্যা ২৭২ পেরিয়েছে এনডিএ। সেখানে ইন্ডিয়া জোট ২৩৩-এ আটকে। গতবারের থেকে কম আসন পেলেও ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করেই বিজেপির সদর দফতর থেকে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে এক্স হ্যান্ডলে মোদি লেখেন, ‘দেশের জনগণ এনডিএ-কে তিনবার সরকার গড়ার রায় দিয়েছে। এর জন্য দেশবাসীর কাছে আমি ঋণী। এটা দুনিয়ার সবথেকে বড় গণতন্ত্রের জয়। এটা ভারতের সংবিধানের জয়। এটা বিকশিত ভারতের জয়। এটা সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রের জয়। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের জয়।’
মঙ্গলবার ভোটের ফলপ্রকাশের পর দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন মোদি। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং-রা। এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। তাই কেন্দ্রে সরকার টিকিয়ে রাখতে শরিকদের সাহায্য দরকার এবার। তাই সকলকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়ে মোদি বলেন- ‘তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে বিকশিত ভারতের উদ্দেশে আরও বেশি কাজ করব। রাজ্য ও শরিক দলগুলিকে একসঙ্গে নিয়ে বিকশিত ভারতের উদ্দেশে কাজ করবে।’ ২০১৪ সালে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ পেয়েছিল। যদিও তখন সরকার গঠন করেছিল এনডিএ। বিগত দিনের তুলনায় এনডিএ জোটের কথা একটু বেশি শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। কেবল নিজেকে নয়, জোটসঙ্গীদের বাহবা দিয়েছেন তিনি। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দেশ পরিচালনার বার্তাও এদিন দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, ‘আগামী বছর সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি হবে। এই সন্ধিক্ষণে দেশের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে এগিয়ে যাবে এনডিএ সরকার। বিভিন্ন রাজ্যে যে দলেরই সরকার থাকুক না কেন, তাতে কিছু এসে যায় না। আমরা এক সঙ্গে কাজ করে দেশের সেবা করব। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এটা গণতন্ত্রের শক্তি।’ এদিন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে লক্ষ্যণীয় বিষয় যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করেছে সেগুলির কথাই শোনা গিয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটকের মত যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে বা ফল খারাপ হয়েছে সেই রাজ্যগুলির বিষয়ে একটি কথাও শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।
মোদির ম্যাজিক শেষ, ছেড়ে দেবো না: মমতা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন- আপনার ম্যাজিক শেষ। মোদি তোমার ভোট অন্য কোথাও যায়নি। তোমাকে পদত্যাগ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ভূমিধস জয়ের পথে। তাছাড়া সারা দেশে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া আশাতীত ভালো ফল করেছে। এসব নিয়ে গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোদি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতো তবে দেশ থাকতো না। এনডিএ এখন ‘লস্ট কেস’। তাই যারা ওদের সমর্থন করবেন বলে ভাবছেন, তাদের আমরা বারণ করবো। এর থেকে বেশি কিছু করতে পারি না। তিনি আরও বলেন, মোদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে অত্যাচার করতো। আর এবার ওরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এবার কি আমরা ছেড়ে দেবো? আশা করি ইন্ডিয়ার সদস্যরাও ছেড়ে দেবে না। বরং আমাদের টিম বাড়বে, কমবে না। অধীরঞ্জনের পরাজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি কংগ্রেসের নেতা নন। উনি আসলে বিজেপি। আর বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী, সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের জয় প্রসঙ্গে বলেন, উনি আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভোটে লড়ার ব্যাপারে। আমি পাঠানকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বুথ-ফেরত সমীক্ষা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, যারা বুথ-ফেরত সমীক্ষা করেছিলেন, তারা অনেকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্ট কোথা থেকে হয়েছিল জানি। আমি নিশ্চিত বিজেপি’র দপ্তর থেকে মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল। মমতা আরও বলেন, এই জয় মানুষের জয়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়। আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি। যারা আছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। তাদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা। নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপি’র ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’-এর মতো কাজ করছে। মোদি অনেক রাজনৈতিক দলকে ভেঙেছে এবার জনতা ওদেরকেই ভেঙে দিয়েছে। মোদি, শাহের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা। অযোধ্যা ইস্যুতে তিনি বলেন, ওরা কম চেষ্টা করেনি। বিধায়কদের অর্থ দিয়েছে, ভয় দেখিয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারেনি। উল্টো যে অযোধ্যা নিয়ে ওরা এত কিছু করলো, সেখানেই হেরে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি খুশি নরেন্দ্র মোদি হেরেছেন। মানুষ ওনাকে জবাব দিয়েছে। ওর অবিলম্বে উচিত পদত্যাগ করা। কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপি’র হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেবো না। রাজনৈতিক বদলা নেবো। দরকারে পুনর্গণনা হবে। এদিন তিনি ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে তিনি বলেন, অভিষেক সাত লাখের বেশি ভোটে জিতেছে। গোটা দেশে রেকর্ড করেছে। ওকে দেখে দিল্লির শেখা উচিত, শুধু রিগিং করে ভোট হয় না। ওকে আপনারা সবাই অভিনন্দন জানান।