দিল্লির মসনদ কার?

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪
  • ৭০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দিল্লির মসনদ কার? ভারতে গতকাল লোকসভার ফল প্রকাশ শুরু হওয়ার পর এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ধীরগতিতে যে ফল দেয়া হচ্ছিল তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট প্রায় ২৯২ আসনে এগিয়ে থাকলেও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিল না- এর মধ্যে তারা কতো আসনে জিতবেন। ২৯২-এর সঙ্গে আরও আসন যোগ হবে না বিয়োগ হবে। এর মধ্যে আবার বিজেপি ২৪১ আসনে এগিয়ে ছিল। ফলে এ দলটি যদি ২৭২ আসনে জয় না পায়, তাহলে দল হিসেবে পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এলে পার্লামেন্ট হবে ঝুলন্ত। অর্থাৎ যেকোনো সিদ্ধান্ত দল হিসেবে একা বিজেপি নিতে পারবে না। অন্যদিকে বুথফেরত জরিপকে মিথ্যা প্রমাণ করে বিস্ময়কর ফল করেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। বুথ- ফেরত জরিপ তাদেরকে দিয়েছিল ১৫২ টির মতো আসন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গতকাল তারা ২৩৪ আসনে এগিয়ে ছিল।

এই আসনগুলো শেষ পর্যন্ত যদি তারা পায় এবং এর সঙ্গে আরও কিছু আসন যোগ হয়, তাহলে তারাও সরকার গঠনের ডাক দিতে পারে। এ জন্য গতকালই এনডিএ জোটের ছোট দলগুলোর সঙ্গে পর্দার আড়ালে তারা কথা বলা শুরু করেছে। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন এনডিএ জোটের শরিক অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। নাইডুর তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি) এগিয়ে ছিল ১৬ আসনে। অন্যদিকে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) এগিয়ে ১৪ আসনে। ফলে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। বলাবলি হচ্ছে, কংগ্রেস বা ইন্ডিয়া জোট যদি তাদেরকে বাগে আনতে পারে তাহলে তারাও সরকার গঠন করতে পারে। এখানেই দরকষাকষির বড় একটি ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন এই দুই নেতা। তাই বলা হচ্ছে তারা দু’জন হলেন- বিজেপি বা এনডিএ জোটের জন্য বাঁচামরা।

ফল প্রকাশের যে ট্রেন্ড দেখা গেছে, তাতে বলা যায় বিজেপি’র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট জিতে যাবে। কিন্তু বিজেপি যদি সেই ২৪১ আসনেই আটকে থাকে, তাহলে তারা দল হিসেবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে। এটা হলে বিজেপি মসৃণভাবে সরকার চালাতে হোঁচট খাবে। কারণ, পার্লামেন্টে তখন গতবারের মতো তাদের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকবে না। এ জন্য কোনো বিল পাস করতে গেলে শরিকদের মতামতের প্রাধান্য দিতে হবে। গত পার্লামেন্টে শুধু বিজেপি’র আসন ছিল ৩০৩টি। অর্থাৎ তারা ছিল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে কোনো বিল তারা অন্য যেকোনো শরিক বা বিরোধীদের ওপর নির্ভর না করেই পাস করাতে পেরেছে। এবার ওই ২৪১ আসনে আটকে থাকলে তা কঠিন হয়ে পড়বে তাদের জন্য। ফলে তাদের কাছে চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতিশ কুমার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন। এই দুই নেতার বাইরে আছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সিন্ডে গোষ্ঠী। তারা এগিয়ে আছে ৬ আসনে। বিহারে লোক জনশক্তি পার্টি এগিয়ে আছে ৫ আসনে। উত্তর প্রদেশে রাষ্ট্রীয় লোকদল এগিয়ে আছে তিন আসনে। এর বাইরে আছে বেশ কিছু ছোট দল। তারা একটি বা একাধিক আসনে এগিয়ে আছে।

ওদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে বাজিমাত করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার দল এ রাজ্যে অভাবনীয় ফল করছে। এ রাজ্যে লোকসভার আসন আছে ৪২টি। তার মধ্যে ৩১টি আসনে এগিয়ে তার প্রার্থীরা। তীব্রভাবে এ রাজ্যকে আঁকড়ে ধরা বিজেপি এগিয়ে ১১ আসনে। আগের লোকসভায় তৃণমূলের আসন ছিল ২২টি। বিজেপি’র ছিল ১৮টি। এবার বিজেপি’র আসন দৃশ্যত কমছে। অন্যদিকে তৃণমূলে জোয়ার লেগেছে। তাই তারা ভূমিধস বিজয় পাচ্ছে। এমন খবরে দলীয় নেতাকর্মীরা মমতার বাড়ির সামনে ভিড় জমান। আবির রাঙিয়ে তারা আনন্দ প্রকাশ করতে থাকেন। পুরো পশ্চিমবঙ্গ যেন আনন্দের বন্যায় ভেঙে পড়ে। এ রাজ্যে রাজনীতিতে এসেই বাজিমাত করেছেন অভিনেত্রী, উপস্থাপিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয়ের পথে অভিনেতা দেব। ধরাশায়ী হয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেয়া শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি’র সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এসব কারণে রাজ্য বিজেপিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ওপর ক্ষোভ ঝাড়ছেন। কারণ, বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা তার ওপর ভর করেছিলেন। তার পরামর্শেই প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের আসন বণ্টন করা হয়েছে। উপরন্তু এ রাজ্যকে বিজেপি টেস্ট কেস হিসেবে নিয়েছিল। এখানকার নির্বাচনী প্রচারণায় কার্যত সব শক্তি ব্যবহার করেছে বিজেপি। একাধিকবার নির্বাচনী প্রচারণায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রমুখ। তারা মমতার সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার এ রাজ্যে পাশার দান উল্টে যাবে। পশ্চিমবঙ্গকে কব্জা করে ফেলবে বিজেপি। কিন্তু ঘটেছে উল্টো। তারা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেক আসনে এগিয়ে আছে। বাকি অর্ধেকে পিছিয়ে পড়েছে।
এনডিএ জোট নির্বাচনে ৪ শতাধিক আসন পাওয়ার দাবি করেছিল। উত্তর প্রদেশ থেকে তারা আসন হারিয়েছে। আমেথিতে বিজেপি’র প্রার্থী স্মৃতি ইরানির চেয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটে এগিয়ে আছেন কংগ্রেসের কিশোরী লাল শর্মা। এ রাজ্যে বিজেপিকে হতাশ করেছে ইন্ডিয়া ব্লক। সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস এ রাজ্যের ৮০টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৪০টিতে এগিয়ে ছিলেন। অন্যদিকে বিজেপি আগানো ছিল প্রায় ৩৫ আসনে। অথচ এ রাজ্যে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনে চমক দেখায় বিজেপি।

রায়বেরেলিতে সর্বোচ্চ ভোটে এগিয়ে রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস নেতা। গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক উত্তরসূরি। উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে তিনি রেকর্ড গড়েছেন। এই রাজ্যে তিনি বিশাল ভোটের ব্যবধানে জিততে চলেছেন। তার ভোট উত্তর প্রদেশে সর্বোচ্চ। তিনি বিজেপি’র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিনেশ প্রতাপ সিংয়ের চেয়ে কমপক্ষে তিন লাখ ভোটে এগিয়ে আছেন। স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে নির্বাচন কমিশনের ডাটায় এটাই বলা হয়েছে। অন্যদিকে বারানসিতে কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় রাইয়ের তুলনায় কমপক্ষে এক লাখ ৪০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাহুল গান্ধী শুধু রায়বেরেলিতে এগিয়ে আছেন এমন নয়। তিনি কেরালার ওয়েনাডেও সিপিএমের প্রার্থী অ্যানি রাজার চেয়ে কমপক্ষে তিন লাখ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। উল্লেখ্য, রায়বেরেলি কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে পরিচিত। এই আসনে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী। তিনি ২০১৯ সালে এক লাখ ৬৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি সোনিয়া। তবে তিনি রাজ্যসভায় আছেন। এরপরে তার পরিবর্তে রায়বেরেলিতে রাহুল গান্ধীকে বেছে নিয়েছে কংগ্রেস। ২০০৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আমেথির এমপি ছিলেন রাহুল গান্ধী। কিন্তু গত নির্বাচনে তিনি বিজেপি’র স্মৃতি ইরানির কাছে পরাজিত হন। কিন্তু কেরালার ওয়েনাডে জয় পেয়ে এমপি মর্যাদা ধরে রাখেন। এবার আমেথিতে কিশোরী লাল শর্মাকে মনোনয়ন দেয় কংগ্রেস। সেখানে তিনি জয়ের পথে আছেন। পিছিয়ে পড়েছেন স্মৃতি ইরানি।

জনতার প্রতি মাথানত করি: মোদি
ভারতীয় জনগণকে বিজয়ী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্সে দেয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, জনগণ টানা তৃতীয়বারের মতো এনডিএ জোটের ওপর আস্থা রেখেছে। ভারতের ইতিহাসে এটা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। উল্লেখ্য, লোকসভার ভোট গণনায় দেখা যায়, এনডিএ ২৯০ আসনে জয়ী হচ্ছে। অন্যদিকে ২৩৪ আসনে জিতে চমৎকারভাবে ফিরেছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের ব্লক ইন্ডিয়া। বারানসি আসনে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর মোদি বলেন, এই ভালোবাসার জন্য জনতা জনার্ধনের প্রতি আমি মাথানত করি। তাদেরকে আশ্বস্ত করি গত এক দশক ধরে যেসব ভালো কাজ করেছি তা অব্যাহত রাখবো। জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণ করবো। আমাদের সব কর্মকর্তাকে তাদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য স্যালুট জানাই। তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টার সুবিচার হবে না শুধু কথা।

মোদির ম্যাজিক শেষ, ছেড়ে দেবো না: মমতা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন- আপনার ম্যাজিক শেষ। মোদি তোমার ভোট অন্য কোথাও যায়নি। তোমাকে পদত্যাগ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস ভূমিধস জয়ের পথে। তাছাড়া সারা দেশে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া আশাতীত ভালো ফল করেছে। এসব নিয়ে গতকাল বিকালে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোদি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতো তবে দেশ থাকতো না। এনডিএ এখন ‘লস্ট কেস’। তাই যারা ওদের সমর্থন করবেন বলে ভাবছেন, তাদের আমরা বারণ করবো। এর থেকে বেশি কিছু করতে পারি না। তিনি আরও বলেন, মোদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে অত্যাচার করতো। আর এবার ওরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এবার কি আমরা ছেড়ে দেবো? আশা করি ইন্ডিয়ার সদস্যরাও ছেড়ে দেবে না। বরং আমাদের টিম বাড়বে, কমবে না। অধীরঞ্জনের পরাজয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি কংগ্রেসের নেতা নন। উনি আসলে বিজেপি। আর বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। বহরমপুরে তৃণমূল প্রার্থী, সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের জয় প্রসঙ্গে বলেন, উনি আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। ভোটে লড়ার ব্যাপারে। আমি পাঠানকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বুথ-ফেরত সমীক্ষা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, যারা বুথ-ফেরত সমীক্ষা করেছিলেন, তারা অনেকের মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন। ওই রিপোর্ট কোথা থেকে হয়েছিল জানি। আমি নিশ্চিত বিজেপি’র দপ্তর থেকে মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই ওই রিপোর্ট তৈরি করেছিল।

মমতা আরও বলেন, এই জয় মানুষের জয়, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়। আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীদের সমর্থন জানাচ্ছি। যারা আছেন। যারা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান। তাদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা। নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বিজেপি’র ‘হিজ মাস্টার্স ভয়েস’-এর মতো কাজ করছে। মোদি অনেক রাজনৈতিক দলকে ভেঙেছে এবার জনতা ওদেরকেই ভেঙে দিয়েছে। মোদি, শাহের উচিত অবিলম্বে পদত্যাগ করা। অযোধ্যা ইস্যুতে তিনি বলেন, ওরা কম চেষ্টা করেনি। বিধায়কদের অর্থ দিয়েছে, ভয় দেখিয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারেনি। উল্টো যে অযোধ্যা নিয়ে ওরা এত কিছু করলো, সেখানেই হেরে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি খুশি নরেন্দ্র মোদি হেরেছেন। মানুষ ওনাকে জবাব দিয়েছে। ওর অবিলম্বে উচিত পদত্যাগ করা। কাঁথির আসন আমরাই জিতেছি। কিন্তু বিজেপি’র হয়ে কাজ করা পর্যেবক্ষকরা শংসাপত্র আটকে রেখেছে। পর্যবেক্ষককে কাজে লাগিয়ে, এসব করে বেড়াচ্ছে বিজেপি। আমি ছেড়ে দেবো না। রাজনৈতিক বদলা নেবো। দরকারে পুনর্গণনা হবে। এদিন তিনি ভাতিজা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে তিনি বলেন, অভিষেক সাত লাখের বেশি ভোটে জিতেছে। গোটা দেশে রেকর্ড করেছে। ওকে দেখে দিল্লির শেখা উচিত, শুধু রিগিং করে ভোট হয় না। ওকে আপনারা সবাই অভিনন্দন জানান।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions