ডেস্ক রির্পোট:- এনআইএ’র কাজের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আরো একধাপ এগিয়ে বিজেপি ও এনআইএ’র মধ্যে টাকা লেনদেনের আশঙ্কা করে কমিশনে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন শান্তনু সেন, তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন প্রমুখ। সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের মতো জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-কেও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। ভূপতিনগরে এনআইএ-র উপর হামলার আগে, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব সংস্থার সুপার ধনরাম সিং-এর বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে বৈঠক করে মোটা টাকার লেনদেন করেন বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার সেই নিয়ে সরব হলেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ও এনআইএ যোগসাজশ চললেও নির্বাচন কমিশন নীরব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। পাশাপাশি তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের স্পষ্ট অভিযোগ, বিজেপির কথায় কাজ করছে এনআইএ। আর টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম দিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। তার পরই গ্রেফতার করছে এনআইএ।
এটা আসলে গভীর ষড়যন্ত্র। পশ্চিমবঙ্গ বিরোধী ষড়যন্ত্র করেছিল এনআইএ। আর তাতে মূল চক্রান্তকারী ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এই দাবি তুলে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কুণাল দাবি করেন, “এনআইএ-র একজন অফিসারের বাড়িতে গিয়ে বিজেপি-র নেতারা লিস্ট দিয়ে আসছেন। মুখ্যমন্ত্রীও এই কথাই বলছেন।” কুণাল ঘোষের কথায়, এনআইএ-কে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। তাই ভোটের মুখে পুরনো কেস নিয়ে এজেন্সি নাড়াচাড় করছে। গোটা বিষয়টিতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশ্য দাবি করেছেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। যা দাবি করছে তৃণমূল, তা যদি প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে ৭ দিনের মধ্যে আইনি পদক্ষেপ নেব।” ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযোগ ওঠে, সেখানে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই ঘটনার তদন্তে সম্প্রতি ভূপতিনগরে পৌঁছলে এনআইএ -এর উপর হামলার অভিযোগ সামনে আসে। তদন্তকারী এক আধিকারিকের মাথাও ফেটে যায় বলে অভিযোগ সামনে আসে। বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হতে বেশি সময় লাগেনি। লোকসভা নির্বাচনের মুখে পুলিশের অনুমতি না নিয়েই, রাতের বেলা এনআইএ কেন গৃহস্থের বাড়িতে হাজির হল, ওঠে প্রশ্ন। শুধু তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলাও দায়ের হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেই আবহেই এবার কার্যত বোমা ফাটিয়েছে তৃণমূল।