
ডেস্ক রির্পোট:- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্বামীর সহায়তায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি জানার পর ওই তরুণীর স্বামীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারর করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকালে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদের চৌদ্দগ্রামের মিরশ্বানি এলাকা থেকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে ওই তরুণী তার স্বামীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
ওই তরুণীর স্বামীর (২৬) বাড়ি নোয়াখালীতে। গ্রেফতার অপর চারজনও একই এলাকার বাসিন্দা। তারা হলেন—বেলাল হোসেন (৩৫), হৃদয় (২৫), মহিন উদ্দিন (২৬) ও আবুল কালাম (৪৫)। তারা সবাই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই পারিবারিকভাবে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর দুই বছর তিনি স্বামীর বাড়িতে ছিলেন। তবে স্বামীর মাদকাসক্তি ও অসদাচরণের কারণে ছয় মাস আগে তিনি বাবার বাড়ি ফিরে যান। পরে সালিসের মাধ্যমে প্রায় ১০ দিন আগে আবার স্বামীর বাড়িতে ফেরেন ওই তরুণী। ১৫ অক্টোবর তাকে শহরে রাখার কথা বলে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একটি ইটভাটায় নিয় আসেন স্বামী। ওই দম্পতিকে থাকার ব্যবস্থা করেন আসামি বেলাল হোসেন। ১৬ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে বেলাল হোসেন ও আবুল কালামকে নিয়ে আসেন তার স্বামী। এরপর স্বামীর সহায়তায় ওই দুজন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এমন ঘটনারও পরও ভয় আর লজ্জায় চুপ ছিলেন তরুণী। ১৮ অক্টোবর মধ্যরাতে একইভাবে স্বামীর সহায়তায় হৃদয় ও মহিন উদ্দিন ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২০ অক্টোবর রাতে হৃদয় আবারও এসে ধর্ষণের চেষ্টা করলে চিৎকার করেন ওই তরুণী। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করেন স্বামী এবং মুখ খুললে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার তরুণীকে উদ্ধার করেন তার বাবা।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ সকালে থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিত তরুণী। পরে সেই মামলায় তার স্বামীসহ পাঁচজনকে কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে ওসি বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হবে।