শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি’র ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রহসনমূলক বিচারে মাইকেল চাকমাকে দণ্ডাদেশ প্রদান নিষ্ঠুর পরিহাস, মেনে নেয়া যায় না : ইউপিডিএফ কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা ২৫ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত ইউপিডিএফ সশস্ত্র কমান্ডার মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উদযাপন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি, সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সকল যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসীদের আস্তানায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু, আহত ৪ রাঙ্গামাটিতে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় কাটার দায়ে জনসংহতি সমিতির নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানের নামে মামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫
  • ৫৬৪ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি :- পাহাড় কাটার অভিযোগে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস সংস্কার) এম এন লারমা গ্রুপের নেতা সুদর্শন চাকমার নামে পরিবেশ সুরক্ষা আইনে মামলা হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া পাহাড় কাটার ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ৬(খ) ধারায় ১৬ আগস্ট বাঘাইছড়ি থানায় মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার অভিযুক্ত আসামি সুদর্শন চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী ইউনিয়নের রূপকারী গ্রামের মৃত পূর্ণলাল চাকমার ছেলে। তিনি দু’ দফায় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক নির্দেশনা মোতাবেক জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার ৫০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে পাহাড়টি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে দেখা যায় পাহাড়টির প্রায় ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গা কাটা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাক্ষ্য মতে, পাহাড়টির মালিক বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা। তার তদারকিতে পাহাড়টি কাটা হয়েছে। কিন্তু পাহাড়টি কাটার জন্য তার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বা পরিবেশগত ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি। তাই বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ৬ (খ) ধারা লঙ্ঘনের অপরাধে দণ্ডের ধারা ১৫ (১) মোতাবেক দণ্ডনীয় অপরাধ করায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী মামলা করার অনুরোধ করা হলো।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া টিলা বা পাহাড় কাটার অপরাধে পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তারা নিজেরাই মামলার তদন্ত করবেন।

বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত সুদর্শন চাকমা বলেন, আমি আমার নিজস্ব জায়গায় বাড়ি ও কৃষি খামার নির্মাণের জন্য কিছু মাটি কেটে জায়গা সমতল করেছি। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছি সেখানে বর্ষায় বৃষ্টি হলে প্লাবিত হয়ে যায়। তাই নিরাপত্তার জন্য পাহাড়ের উঁচুতে নতুন বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে পাহাড়টির কিছুটা মাটি কেটে জায়গা সমান করতে হয়েছে। তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করলেও পাহাড়ের মাটি কাটতে হয়। আমারও তাই করতে হয়েছে। বাংলানিউজ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions