রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার আঠারকছড়া ইউনিয়নের করল্যাছড়ি বাজারে সরকারি খাদ্য গুদামের চাল অবৈধ ভাবে মজুদের অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালান বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন। পরে তিনটি মুদি দোকানের মালিককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে করল্যাছড়ি বাজারে সন্দেহজনক বেশ কয়েকটি দোকানে জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মোর্শেদ এসপিপি পিএসসি”র নির্দেশনায়, করল্যাছড়ি সাব জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযান চালানো হয়।
পরে বিকাল ৫ ঘটিকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কফিল উদ্দিন মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত আদালত পরিচালনা করে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে, শামীম স্টোর, ইউসুফ স্টোরের মালিক মো. আব্দুল মালেক এবং বিল্লাল স্টোরের মালিক মো. হামিদ মিয়ার দোকান থেকে মোট আনুমানিক ১৫০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। পরে তিনজনকেই পৃথকভাবে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
পৃথক অভিযানে কাপ্তাই লেক দিয়ে যাওয়ার সময় আরো ৬৮ বস্তা চাল জব্দ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোন। মাইনী জোন কর্তৃক জব্দকৃত ৬৮ বস্তা চাল সরকারি কোষাগারে জমা দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কফিল উদ্দীন মাহমুদ বলেন, চাল গুলো যাদের কাছে পেয়েছি তাদেরকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে সরকারি মালামাল অবৈধভাবে মজুদ বা বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট দোকান সিলগালা করে দণ্ডবিধি অনুযায়ী কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, গত মে মাসে এই উপজেলার মাইনিমুখ বাজারেও সরকারি বিতরণের বরাদ্দকৃত চাল বিক্রির উদ্দেশ্যে মুদি দোকানে মজুদ রাখা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালায় এবং নগদ অর্থদণ্ড প্রদান করে।
জোন অধিনায়ক বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা দেশ জাতীর কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি এসব অনৈতিক কাজে জড়িত আসল আসামিদের ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য তাগিদ দেন,এবং সবাইকে সতর্ক ও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন