ডেস্ক রিপোট:- বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্যকে ভারতের ত্রিপুরায় আটক করা হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ দাবি করেছে। মঙ্গলবার রাতে আগরতলা শহরের একটি বাসা থেকে তাদের আটক করে আমতলী থানার পুলিশ।
এদের মধ্যে দুজন নারী, বাকিরা পুরুষ।
আটক ১৩ জনই জনসংহতি সমিতির সদস্য কি না, এই প্রশ্নের জবাবে নাম উল্লেখ না করতে চাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এদের মধ্যে কয়েকজন নিশ্চিতভাবেই জনসংহতি সমিতির সদস্য। বাকিরা সম্ভবত তাদেরই সঙ্গী-সাথী।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছে যে, গত সাত-আট মাস ধরে মাঝে মাঝেই তারা চিকিৎসার জন্য এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছেন। তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতেন এবং আবারও আসতেন।
অন্য একটি সূত্রের দাবি, ধৃতরা সবাই সন্তু লার্মার নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির সদস্য। জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ইউপিডিএফের সম্প্রতি একটি সংঘর্ষ হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি এলাকায়। আগরতলায় আটকরা ওই সংঘর্ষে আহত হন বলে জানাচ্ছে ওই সূত্র।
বুধবার যখন তাদের আগরতলার আমতলী থানা থেকে বের করা হচ্ছিল, তখন দেখা যায় তাদের অনেকেরই শরীরে ব্যান্ডেজ করা আছে।
পুলিশ অবশ্য তাদের আদালতে তোলেনি। থানা থেকে তাদের বের করে ত্রিপুরা পুলিশের মোবাইল টাস্কফোর্সের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সূত্রগুলো বলছে, বুধবার রাতেই তাদের বাংলাদেশে পুশ-ব্যাক করে দেওয়া হতে পারে।