রাঙ্গামাটি:- বান্দরবানের থানচিতে খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র সমাজের ব্যানারে জেলা শিল্পকলা একামেডির সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী উজাই মারমা, সুজন চাকমা। এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি সুমন চাকমা, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, খিয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এক মাস আগে কাউখালিতে এক মারমা তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। নারীরা কোথাও নিরাপদ নয়। বারবার পাহাড়ে নারীরা ধর্ষণের শিকার হলেও প্রশাসন ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি সুমন চাকমা বলেন, ১৮ মাসের একটি বাচ্চা রেখে খিয়াং নারী জুম চাষ করেত গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়, পরে মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বান্দরবান পুলিশ নাকি কোন ধর্ষণের আলামত পায়নি। এভাবে প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ষণকারীরা আইনের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে যায়।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য বাঞ্ছিতা চাকমা বলেন, আমরা যখন আন্দোলন করি তখন প্রশাসন একটু নড়েচড়ে বসে। পরে আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে অপরাধীরা বের হয়ে যায়। সরকার যদি এই বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে এসব ঘটনা কখনো বন্ধ করা যাবে না। তাই সরকারকে এই বিষয়ে আরও কঠোর হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানায়।
প্রসঙ্গত, তিন্দু ইউনিয়নের মংখ্যং পাড়া এলাকার বাসিন্দা সন খিয়াং এর স্ত্রী চিংমা খিয়াং (২৯) জুম চাষের জন্য পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে যায়। দুপুর পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়িতে না ফেরায় পাড়াবাসীরা তাকে পাহাড়ে খুঁজতে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে জঙ্গলের ভিতরে পাহাড়ি ঝিরির পাশে চিংমা খিয়াং লাশ দেখতে পায়। স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সন খিয়াং বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানচি থানায় হত্যাকান্ডের মামলা দায়ের করেছেন।