ডেস্ক রির্পোট:- বজ্রপাতে দেশের ৭ জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, সুনামগঞ্জে ৩ জন, হবিগঞ্জে ১ জন, নোয়াখালীতে ১ জন, নেত্রকোনায় ১ জন, মৌলভীবাজারে ১ জন, চাঁদপুরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) এসব জেলায় ঘটে যাওয়া বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া রবিবার (২৭ এপ্রিল) নেত্রকোনায় কলমাকান্দায় ১ জন এবং নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে বজ্রপাতে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সংগঠনটির সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। তারা খোলা আকাশের নিচে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন। আসলে বজ্রপাত ঠেকানোর কোনও সুযোগ নেই। তবে সচেতনতার মাধ্যমে বজ্রপাতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান কমানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবির কথা জানান। এগুলো হলো— বজ্রপাতে সচেতনতা বাড়াতে পাঠ্যপুস্তকে বজ্রপাত সচেতনতার অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা; বর্তমানে ৩০ মিনিট আগেই বজ্রপাতের পূর্বাভাস জানা যায়; দ্রুত প্রাপ্ত পূর্বাভাস হাওরাঞ্চলসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় প্রচারের ব্যবস্থা করা। কৃষকসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও প্রক্ষিক্ষণের ব্যবস্থা করা। মাঠে মাঠে শেল্টার সেন্টার স্থাপন ও আহতদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ সব যাবতীয় খরচ বহন করার কথা বলেন।