ডেস্ক রির্পোট:- আওয়ামী লীগ নেতারা জাল-জালিয়াতিতে যে ওস্তাদ তাতো সকলের জানা। তবে এবার তাদের জালিয়াতির বিস্তৃতি ছড়িয়ে পড়লো দেশ ছেড়ে বিদেশেও। ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় পালানোর পর তার লেজ ধরে ভারতে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী। ভারতে বৈধভাবে বসবাসের জন্য তারা বেছে নেয় এক অবৈধ পন্থা। জাল-জালিয়াতি করে বানিয়ে নেয় ভারতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র আধার কার্ড ও পাসপোর্টও।
সম্প্রতি ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি গ্রেফতার করেছে এক বাংলাদেশি নাগরিককে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে ভারতীয় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন। এমনটিই জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তিনি শুধু সাধারণ অনুপ্রবেশকারীদেরই নয়, বরং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা কিছু প্রভাবশালী আওয়ামী লীগপন্থী নেতাকর্মীদের জন্যও ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছিলেন। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আধার কার্ড, পাসপোর্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথিপত্র তৈরি করে দিতেন আজাদ।
আজাদের কার্যক্রম এতটাই বিস্তৃত ছিল যে তাকে ধরতে পশ্চিমবঙ্গের সাতটি স্থানে একযোগে অভিযান চালাতে হয় ইডিকে। তল্লাশির সময় এই জালিয়াতের কাছে ১৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নগদ অর্থ, একাধিক ডিজিটাল ডিভাইস ও বিপুল নথিপত্র উদ্ধার করে তারা। আরও জানা যায়, আজাদ নামের এই ব্যক্তি অর্থ পাচারের সাথেও জড়িত এছাড়া তার ব্যংক একাউন্টে ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে, যার কোন বৈধ ইনকামের সোর্স নেই।
আওয়ামী লীগ নেতারা ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর বিভিন্ন ব্যবস্থায় ভারতে পালিয়ে গেছে। সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার জন্য তারা কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে এমন খবর আরও অনেক আগেই গণমাধ্যমে এসেছে। তবে শেষমেষ কি না ভারতে পালিয়ে সেদেশেরই নাগরিক হবার চেষ্টায় অভিনব জালিয়াতি? এ যেনো ‘ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে’ প্রবাদের মতই।