খেলা কোন দিক থেকে হচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় দিল্লির প্রেসক্রিপশনে রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত নিলেও ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর ‘পহেলা বৈশাখ পালনের বাধ্যবাধকতা’ চাপিয়ে দেননি। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পহেলা বৈশাখ উদযাপনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে ডেভিল হান্ট অভিযান চালানোর পরও সারা দেশের আওয়ামী লীগের ডেভিলরা কী করে ঢাকা অভিযান করে জমায়েতের সাহস দেখায়?
ডেস্ক রির্পোট:-বেনজির সিদ্ধান্ত! দেশের সব মাদরাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপন জারি করে। দুই সপ্তাহ আগে ৫৫তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে জাতি। স্বাধীনতার পর এই সময় এমন ঘটনা দেখা যায়নি। এমনকি হিন্দুত্ববাদী ভারতের নাচের পুতুল মাফিয়া নেত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে মাদরাসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পহেলা বৈশাখ পালনের বাধ্যবাধকতার প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। এদিকে এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাবেক ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সারা দেশের নেতাকর্মীরা গোপনে দলবদ্ধভাবে রাজধানী ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন। এই তৎপরতা সরকারের নজরে আসার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’ প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কিছু দিন থেকে স্বল্প সংস্কারে ডিসেম্বরে বড় সংস্কারে জুনের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন দেশি-বিদেশিদের। এর মধ্যে হঠাৎ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব দাবি করে বলেছেন, ‘জনগণ এ সরকারকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়।’ ভারতের আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনার সর্বশেষ ভাইরাল হওয়া অডিওতে বলেছেন, ‘আমি এখনো বাংলাদেশের বৈধ প্রধানমন্ত্রী; নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকো যেকেনো সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করব।’ এর মধ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের প্রস্তুতি যখন চলছে; তখন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ‘ফেসিস্ট হাসিনার অবয়ব’ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ইসরাইলিরা প্রতিদিন গাজায় মুসলমানদের হত্যা করছে। এতদিন যারা নীরব ছিলেন তারা যেন হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে ‘মার্চ ফর গাজা’ অনুষ্ঠানে রাজধানী ঢাকা অচল করে দেন। এ কর্মসূচির সামনে কিছু ‘পরিচিত মুখ’ রাখা হলেও নেপথ্যে ছিল জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি। সব বাধা পেরিয়ে দেশ যখন স্থিতিশীলতার পথে তখন পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ঢাকার রাজপথ উত্তপ্ত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক এই অস্থিরতার নেপথ্যের কারিগর কারা? পহেলা বৈশাখ পালনকেন্দ্রিক এই রহস্যজনক উত্তপ্ততার নেপথ্যে কী দিল্লির ইন্ধন আছে? নাকি এর পেছনে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির নেপথের কারিগর জামায়াত-জাতীয় নাগরিক পার্টি? নাকি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশে সরকারের একটি অংশ এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির নেপথ্যে? পরিষ্কার কিছু বোঝা যাচ্ছে না। এ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। নেটিজেনরা এ নিয়ে নানা বক্তব-বিতর্ক করছেন। তবে সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে সমাবেশ করবেÑ এমন পরিস্থিতি নেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও সিনিয়র নেতারা কলকাতা-দিল্লি-লন্ডন-ওয়াশিংটন-টরেন্টোতে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে সেসব খবর ফলাও করে প্রচার হওয়ায় গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে থাকা দলটির নেতাকর্মীরা সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। হাসিনাসহ পলাতক নেতাদের উপর বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীরা গ্রেফতার ঝুঁকি নিয়ে হাসিনার পক্ষে ঢাকায় জমায়েত করবে? এমন পরিস্থিতি দেশে নেই। গ্রামগঞ্জে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের যারা রয়ে গেছেন তারা আতঙ্কিত, ভীতসন্ত্রস্ত জীবন যাপন করছেন। জনরোষ এড়াতে লুকিয়ে থাকছেন। প্রকাশ্যে আসার চেষ্টা করলেই গণধোলাইয়ের মুখে পড়তে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নামে ঢাকায় কোনো সমাবেশ করার চেষ্টা হলে জনগণ তাদের গণধোলাই দেবে এ বাস্তবতা তারা বোঝেন।
৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামী জীবন ধারায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন যায় না। বাংলা নববর্ষ কার্যত হিন্দুয়ানি কালচার। বৈশ্বিক নববর্ষ বৈশাখে শুরু হতো না, হতো অগ্রহায়ণ মাসে। তবে মুঘল স¤্রাট আকবর খাজনা আদায়ে শৃঙ্খলা ফেরাতে বৈশাখকে বছরের প্রথম মাস ধরে সন গণনার নিয়ম চালু করেন। বাংলা সন ও আরবি হিজরি মাসকে বৈজ্ঞানিকভাবে মিলিয়ে তিনি তারিখ এ ইলাহি নামে ক্যালেন্ডার চালু করেন। এ কারণে বাংলা সন ও হিজরি সনকে কাছাকাছি থাকতে দেখা যায়। বিগত শতকে ষাটের দশকের মাঝামাঝি পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ চালু করা হয়। কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পহেলা বৈশাখের মিছিলের নাম ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ থেকে বদল করে হিন্দুত্ববাদী চেতনায় মিলিয়ে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামকরণ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার মঙ্গল শোভাযাত্রা নাম পাল্টিয়ে এবার পহেলা বৈশাখে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’র আয়োজন করবে। আনন্দ শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে এবং সাংস্কৃতিসেবীরাই এতে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু এ বছর হঠাৎ করে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের দিবসটি পালনে ‘অফিসিয়ালি নির্দেশনা’ দেয়া হয়। দেশের সব মাদরাসায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ দিয়ে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর গত বুধবার বলেছে, সব মাদরাসায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনা উৎসবমুখর পরিবেশে ও সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘জাতীয় চৈত্র-সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন মাদরাসাসমূহে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উৎসবমুখর পরিবেশে ও সাড়ম্বরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ প্রশ্ন হচ্ছে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বাধ্যবাধকতা কেন? শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দিল্লিকে খুশি করতে হেন কাজ নেই যা তিনি করেননি। দিল্লির প্রেসক্রিপশনে তিনি রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত নিতেন। কিন্তু দিল্লির দাসী হয়েও হাসিনা ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপর ‘পহেলা বৈশাখ পালনের বাধ্যবাধকতা’ চাপিয়ে দেননি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নেবেন কিনা তা নিজস্ব ব্যাপার; চাপিয়ে দেয়া হতো না। মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক পহেলা বৈশাখ পালনের নির্দেশনা দিয়ে কাকে খুশি করতে চাচ্ছেন? অভিযোগ রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার গত আট মাসেও প্রশাসনে এখনো আমলাদের হাসিনা প্রেমমুক্ত করতে পারেননি। হাসিনার অলিগার্করা এখনো প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। মাদরাসা অধিদফতরেও কী তারা ছড়ি ঘুরাচ্ছেন? পহেলা বৈশাখে হিন্দুত্বাবাদী কাউকে খুশি করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে? দেশের অর্থনীতি এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ব্যাংকি সেক্টরে শৃঙ্খলা ফেরেনি। প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে কিছু প্রতিশ্রুতি এবং ঢাকায় বিনিয়োগ সম্মেলন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেলেও এখনো জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। কয়েক দিন আগে ঈদ উৎসব পালিত হয়েছে; এখনো ছুটির রেশ কাটেনি। এ অবস্থায় মহাসমারোহে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কি অপরিহার্য ছিল? কাকে দেখানোর জন্য মহাসমারোহে পহেলা বৈশাখ পালনের এই আয়োজন?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদে নিরাপত্তার মধ্যেই পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন চলছে। শত শত শিক্ষার্থী সেখানে কাজ করছেন। এর মধ্যে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এত নিরাপত্তার মধ্যেই ওগুলোতে আগুন দিলো কারা? ঢাবি সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলাম তারপরও অনাকাক্সক্ষতভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বাদবাকি নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। গোয়েন্দা সংস্থা, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমসহ সবাই আমরা শক্ত অবস্থানে আছি। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে।’ প্রশ্ন হচ্ছেÑ এত শক্ত অবস্থানে থাকলে অগ্নিসংযোগকারীরা পালাল কিভাবে? নাকি শর্ষের ভেতরে রয়ে গেছে ভূত!
সম্প্রতি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গোপনে দলবদ্ধভাবে রাজধানী ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন।’ ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিএসবি) থেকে সব থানায় বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের আটটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা মানতে হবে। সন্দেহভাজনদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ, যাদের নামে মামলা আছে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতার, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট বসানো, রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও নৌঘাটে নজরদারি জোরদার করা, রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বে যুক্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ঢাকামুখী যাত্রা প্রতিহত করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ও উসকানি ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া, অর্থ সহায়তাকারীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভাড়ায় চালিত গাড়ি ও যাত্রীবাহী পরিবহনের ওপর নজরদারি বাড়ানো।’ প্রশ্ন হচ্ছে আট মাস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করল? অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আট মাস পার হয়েছে। এখনো সারাদেশের আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এত সক্রিয় থাকে কি করে? নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন? কয়েক মাস ধরে যৌথবাহিনী মাঠে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে একের পর এক অভিযান চালানো হচ্ছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলছে। এই অভিযান নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একাধিকবার বলেছেন, ‘যতদিন ডেভিল থাকবে ততদিন অপারেশন চলবে’। ডেভিল হান্ট চলার পরও বিগত ১৫ বছর জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটতরাজ করছে সেই আওয়ামী লীগের ডেভিলরা প্রকাশে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় কিভাবে? ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। এরপর জুডিশিয়াল ক্যু, আনসার দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও, ঢাকার সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা, গার্মেন্টস সেক্টরে বিশৃঙ্খলা, পাহাড়ে অশান্তিসহ অসংখ্য অপকা- করেছেন পতিত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কয়েক দফায় দেশে ফেরার হুমকি দেন। তার সর্বশেষ ভাইরাল হওয়ার বক্তব্যে তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন। আওয়ামী লীগের এই অপকা- ঠেকাতে সেনাবাহিনীকে (কার্যত যৌথবাহিনী তথা সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী) গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ৬০ দিনের জন্য বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ১৭টি ধারা প্রয়োগের ক্ষমতা পেয়েছেন সেনা কর্মকর্তারা। ধারাগুলো হলো ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২। পরবর্তীতে এ ক্ষমতা কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে অভিযান চালানোর কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়। ওই অভিযানগুলোয় কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে? গণমাধ্যমে দেখা গেছে অভিযানের নামে কিছু চুনোপুঁটি ডেভিলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য এত আয়োজনের পর সারাদেশের আওয়ামী লীগের ডেভিলরা কি করে ঢাকা অভিযান করে জমায়েতের সাহস দেখায়? তাহলে কি অভিযানের নামে এতদিন ‘আইওয়াশ’ হয়েছে? হঠাৎ করে পহেলা বৈশাখের এত আয়োজনের রহস্যই বা কি? সবকিছু কেন যেন ঘোলাটে মনে হচ্ছে? ইনকিলাব