ডেস্ক রির্পোট: পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত এক ভোট। নজিরবিহীন এক নির্বাচন। নীশিরাতের ভোট হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে দেশ-বিদেশে। ২০১৮ সালে হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এমন চিত্র দেখে হতবাক সবাই। মধ্যরাতে অর্ধেক ভোট শেষ। তারপরও দিনের বেলায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্রে ভোটারদের ওপর হামলা, শত শত জালভোট, প্রার্থীদের তুলে নেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দেয়া, প্রকাশ্যে ব্যালটে শত শত সিল মারা, হত্যা, মারধর, জবরদখল এমন কিছু নেই- যা এ নির্বাচনে ঘটেনি। এ নির্বাচনে স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি কথায় বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। শেখ হাসিনা বলেছিলেন-আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। একবার আমাকে বিশ্বাস করে দেখুন। নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে কেমন সুন্দর হয় তা দেখতে পাবেন। বিরোধী দলগুলো তার কথা বিশ্বাস করেছিলেন। আর সেই বিশ্বাসের ফল পেয়েছিলেন শূন্য হাতে। নির্বাচনের পরদিন শেখ হাসিনা বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন দেশবাসী আওয়ামী লীগের ওপর বিশ্বাস রেখেছে।
কিন্তু সর্বত্র নানা প্রশ্ন তখন ঘুরে বেরিয়েছে। এমন অকল্পনীয় নির্বাচনের মাস্টারমাইন্ড কারা? কারাই বা এমন নীলনকশা এঁকেছিলেন? কোন ক্ষমতার বলে আওয়ামী লীগ এমন একটি একতরফা ভোট করতে পেরেছে। এই ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কারা নেতৃত্ব দিয়েছিল? অনুসন্ধানে এর বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে। কারা ওই ভোট কারচুপিতে জড়িত ছিলেন এবং পরিকল্পনা করেছেন তাদের সকলের নাম-পদবিসহ এখন বেরিয়ে এসেছে। ওই নির্বাচনে সকল দলকে ডেকে এনে আগের রাতে শতাধিক আসনের ভোট কেটে নিয়ে যায় আওয়ামী লীগ। সকাল হওয়ার আগেই দলটির বিজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সূত্র বলছে, ৩০শে ডিসেম্বর ভোট কারচুপির পরিকল্পনা সাজিয়েছেন রাষ্ট্রীয় দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মাস্টারপ্ল্যানে ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেন দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানরা। আর মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করেন সংস্থা দু’টির বিভাগ, মহানগর ও জেলা পর্যায়ে কর্মরত পরিচালক, যুগ্ম পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করে আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচনী মাঠে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয় সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পেছনে। সেই সময় অনেকে ব্রিফকেসভর্তি টাকা পেয়েছে- এমন তথ্যও উঠে এসেছে। মূলত কৌশলে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে ডেকে এনে ধোঁকা দেয়া হয়। যা পুরোটাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
বিএফআইইউ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ভোটে দেশের বিভিন্ন জেলায় যারা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন, তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা সহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিটের সহযোগিতায় ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর অনুসন্ধান শুরু করেছে। ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা ডিটাচমেন্টের দায়িত্বে যে সকল কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরকেও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে। এই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, নির্বাচনের অন্তত ৩ দিন আগে থেকে সরকারি রেড ফোন ব্যবহার না করার শর্তে আওয়ামী লীগের অনুসারী ওই দু’টি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান ও তথ্যের আদান-প্রদান করা হয়। ওই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের আওয়ামী ভক্ত বিশেষ কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হয়। অতীতে ছাত্রলীগ করেছে এমন কিছু কর্মকর্তাকে প্রতিটি জেলার ডিসি-এসপিদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হয়।
সূত্র বলছে, নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই জেলায় দায়িত্বে থাকা পেশাদার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে জুনিয়র আওয়ামী লীগের অনুগত ও ছাত্রলীগের পোর্টফলিওধারী সহকারী পরিচালক, উপ-পরিচালকদের দিয়ে নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন জেলা কর্মকর্তাকে ওই জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয় থেকে প্রত্যাহার করে ওএসডি করে রাখা হয়। নির্বাচন শেষে তাদের পুনরায় আবার স্ব-স্ব কার্যালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সকল কর্মকর্তাদের নির্বাচনের পর প্রাইজ পোস্টিং, আর্থিক সুবিধা প্রদান, বিদেশে পোস্টিং, বিদেশ ট্যুরসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেয় সরকার। কারচুপির নির্বাচনে জড়িত অতি উৎসাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে।
কারচুপির নির্বাচনে জড়িত যারা: ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন প্রভাবিত করা কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির একজন পরিচালক ও একজন যুগ্ম পরিচালক। বিভাগের শেরপুর জেলায় উপ- পরিচালক অপু কুমার ভৌমিক, জামালপুর জেলায় উপ-পরিচালক ইফতেখারুল আলম ও রাইয়ান রাজ্জাক। নেত্রকোনা জেলায় উপ- পরিচালক রুবেল আলম ও এরফান হোসেন। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত পরিচালক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন। মানিকগঞ্জ জেলায় পরিচালক ওয়াসিম, নরসিংদী জেলায় পরিচালক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলায় পরিচালক তৌহিদ, মুন্সীগঞ্জ জেলায় পরিচালক আব্দুল বাতেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুসরাত জাহান, টাঙ্গাইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক সমিরন হালদার, গাজীপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক পারভেজ মাহমুদ। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর এলাকায় ১৭টি আসনে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ভোট কারচুপির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদবির একজন পরিচালক (প্রশাসন), একটি সংস্থার ঢাকা সিটি ইন্টারনাল অপারেশনের প্রধান কর্নেল পদবির একজন, পরিচালক শাহিন সিদ্দিকী ও যুগ্ম পরিচালক আরিফ।
সূত্র বলছে, নির্বাচনের পরের দিন মেজর জেনারেল পদবির একজন মহাপরিচালক, ডিডি শাহিন সিদ্দিকী ও জেডি আরিফকে দুই ব্রিফকেসভর্তি টাকা দিয়েছিলেন। রাজশাহী বিভাগের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। নওগাঁ জেলার ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন যুগ্ম পরিচালক সমিরন হালদার ও পরিচালক অলি উর রহমান। তারা দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জয়পুরহাট জেলার দায়িত্ব এবং ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন একটি গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক মাহফুজুর রহমান। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক ফরিদুল আলম চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পাবনা জেলায় পরিচালক মোস্তফা কামাল ও যুগ্ম পরিচালক মো. আবব্দুল্লাহ আল মামুন, রাজশাহী জেলায় পরিচালক আজিজুর রহমান। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন অতিরিক্ত পরিচালক শহীদুল ইসলাম, বগুড়া জেলায় পরিচালক মোজাহারুল ইসলাম মামুন, সিরাজগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক জি এম আলিম উদ্দিন, পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান, নাটোর জেলায় পরিচালক মো. ইকবাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় পরিচালক আসাদুল হক পারভেজ। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন শাহিনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাওলাদার, যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ, উপ-পরিচালক নির্ঝর আলম সামা। এ ছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নুরুল আবসার, অতিরিক্ত পরিচালক মো. জহির উদ্দিন শামীম। চট্টগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক জাহিদুল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী ও আশিকুর রহমান। কুমিল্লা জেলায় যুগ্ম পরিচালক মুজিবুর রহমান, চাঁদপুর জেলায় উপ-পরিচালক আরমান, লক্ষ্মীপুর জেলায় উপ-পরিচালক মানিকচন্দ্র দে, নোয়াখালী জেলায় যুগ্ম পরিচালক ফারুক আহমেদ, ফেনী জেলায় যুগ্ম পরিচালক মতিউল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপ-পরিচালক আবু রায়হান। এ ছাড়া বরিশাল বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলম, বরিশাল জেলায় যুগ্ম পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদ আলম, উপ-পরিচালক শফিক আহমেদ, যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম। পিরোজপুর জেলায় উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান, ইয়াছিন সোহাইল, বরগুনা জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান, ভোলা জেলায় যুগ্ম পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিক টিটু, উপ-পরিচালক মশিউর রহমান, ঝালকাঠি জেলায় যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের। সিলেট বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট জেলায় যুগ্ম পরিচালক নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নাজমুল হক তমাল, সুনামগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক তরিকুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলায় উপ-পরিচালক রাসেল জমাদার, ফাহমি, হবিগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক ননী গোপাল দাস। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজন এবং অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বদরুল হাসান। এ ছাড়া ফরিদপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে ফরিদপুর জেলায় পরিচালক তৈয়বুল মাওলা, রাজবাড়ী জেলায় যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নোমান। শরীয়তপুর জেলায় পরিচালক সুমন বিশ্বাস ও মিজানুর রহমান, মাদারীপুর জেলায় সাইফুল ইসলাম লিটন। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন কর্নেল পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ। খুলনা বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ, ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে খুলনা জেলায় উপ-পরিচালক এস কে সাইলক হোসেন, যুগ্ম পরিচালক রাসেল রানা, এস এম আরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলায় পরিচালক মোজাম্মেল হক, যশোর জেলায় যুগ্ম পরিচালক গাজী নাছির মাহমুদ, নড়াইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক কবির আহমেদ ও মিজানুর রহমান, মাগুরা জেলায় জি এম জামিল সিদ্দিক, যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলায় যুগ্ম পরিচালক আনিসুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক অমিত বড়ুয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সহকারী পরিচালক এবিএম লুৎফুল কবীর, মেহেরপুর জেলায় মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়া জেলায় যুগ্ম পরিচালক আলমাস হোসেন, বাগেরহাট জেলায় পরিচালক বিশ্বজিৎ। সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ ও খুলনা ডিভিশন ইনচার্জ অতিরিক্ত পরিচালক জালাল উদ্দিন বিশ্বাস। রংপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি সংস্থার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশরাফুল কবীর, রংপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক মো. ফিরোজ কবীর মাহমুদ, উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, তানভীর হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন ভূঞা, কুড়িগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক শাহ সূফী নূর নবী সরকার, সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট জেলায় সহকারী পরিচালক এটিএম কামাল হোসেন, রেফায়েত উল্লাহ, আসিফ মনোয়ার, গাইবান্ধা জেলায় উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, পঞ্চগড় জেলায় সহকারী পরিচালক মো. তায়জুল ইসলাম, নীলফামারী জেলায় উপ-পরিচালক মো. খালিদ হাসান, দিনাজপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক শেখ গোলাম মোস্তফা।