পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রিপেৃাট:- নতুন পাঠ্যবই পেতে শুরু করেছে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম প্রকাশিত এসব বইয়ে বিষয়বস্তুর পাশাপাশি বড় পরিবর্তন এসেছে আধেয়তে (কনটেন্ট)। শিক্ষার্থীদের হাতে যাওয়া পাঠ্যবই বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন নতুন গল্প-কবিতা যুক্ত করায় বাদ পড়েছে অনেক কিছু। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার লেখাও বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ইতিহাস বর্ণনায়। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আধেয় থেকে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে অতিরঞ্জিত ইতিহাস। রাজনীতিকদের সম্মান দেওয়া হয়েছে ব্যক্তি-বন্দনা কমিয়ে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম স্থগিত করে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে পরিমার্জিত বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। এ ক্ষেত্রে এনসিটিবির ৪১ বিশেষজ্ঞ ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করেছেন।

পাঠ্যপুস্তকের পেছনে থাকা ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তাঁর উদ্ধৃতি এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও নানা স্লোগান সংযুক্ত করা হয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি বইয়ে বেশ কিছু গদ্য, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও কবিতা বাদ পড়েছে। স্থান করে নিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয় ও নতুন কিছু গল্প-কবিতা।
পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ প্রবন্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ছবি যুক্ত করা হয়েছে। ছাপা বইয়ে নাহিয়ান নামে এক শহীদ ছিলেন। বিতর্ক দেখা দিলে এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া পাঠ্যবইয়ের অনলাইন সংস্করণে নাহিয়ানের জায়গায় শহীদ নাফিসার নাম যুক্ত করেছে।

তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বইয়ে ‘আমাদের চার নেতা’ নামে নতুন অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে। একাত্তরের ইতিহাসের নায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর অবদান স্থান পেয়েছে। ছবিসহ তাদের প্রত্যেকের সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। আর ‘রাজনীতিতে নারী’ শীর্ষক প্রবন্ধে যুক্ত হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
সেলিনা হোসেনের পাঁচটি, অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের দুটি, সৈয়দ শামসুল হকের একটি, রোকনুজ্জামান খানের একটি, নির্মলেন্দু গুণের একটি ও সাবেক আমলা কামাল চৌধুরীর একটি লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক স্তরে পরিবর্তন
প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে এ বছর সাতটি গদ্য-পদ্য বাদ দেওয়া হয়েছে। বিপরীতে যুক্ত করা হয়েছে নতুন আটটি গদ্য-পদ্য। তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী তুলে দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় চার নেতার জীবনী। বাদ গেছে শেখ রাসেলকে নিয়ে লেখা ইংরেজি গদ্যও।
প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হয়েছে পিঁপড়া ও পায়রার গল্প। ৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘এ’ কারের উদাহরণে রোদের তেজের পরিবর্তে মেঘের ছবি দেওয়া হয়েছে। ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বিজয়’ অধ্যায়ের নাম বদলে করা হয়েছে ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’।

সেখানে শুরুতে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের একটি দৃশ্য। ৭ মার্চের ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা উল্লেখ থাকলেও এখন তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

অনেক অধ্যায়ে উদাহরণের পর একই জিনিসের পরিচয় আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। যেমন– অ-তে অশোক ফুল ফুটেছে ভাই। এরপর লেখা, অশোক একটি ফুলের নাম। আগে লেখা ছিল শৈবাল ভাসে। এখন সেটি নদীতে শৈবাল ভাসে করা হয়েছে। বিভিন্ন অধ্যায়ে সংক্ষিপ্ত লেখাকে বোঝার সুবিধার্থে বড় করা হয়েছে।

দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত হয়েছে সিংহ আর ইঁদুরের গল্প। শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লেখা ‘সোনার ছেলে’ বাদ দিয়ে যোগ করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ওপর ‘দুখু মিয়ার জীবন’। ‘পহেলা বৈশাখ’ গদ্য করা হয়েছে ‘নববর্ষ’। বইয়ের ২৪ নম্বর পৃষ্ঠায় পদ্মা সেতুর ছবি পরিবর্তন করা হয়েছে। নববর্ষ অধ্যায়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার ছবি বাদ দিয়ে নববর্ষের অন্য ছবি যুক্ত করেছে। তবে ইংরেজি ও গণিত বইয়ে তেমন পরিবর্তন পাওয়া যায়নি।

তৃতীয় শ্রেণির বইয়ে সংযোজন হয়েছে ‘ঘাসফড়িং ও পিঁপড়ার গল্প’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছেলেবেলা’। বাদ গেছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গদ্য ‘সেই সাহসী ছেলে’। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে ‘আমাদের জাতির পিতা’ বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্থান পেয়েছে জাতীয় চার নেতাকে নিয়ে লেখা ‘আমাদের চার নেতা’। ইংরেজি বইয়ের শেষ অধ্যায়ে লেখা গদ্য ‘অ্যা ওয়ান্ডারফুল বয়’ বাদ গেছে। এতে শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের জীবনী ছিল।

চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বই থেকে বাদ পড়েছে শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মমতাজউদ্‌দীনের লেখা ‘বাংলার খোকা’ এবং নির্মলেন্দু গুণের কবিতা ‘মুজিব মানে মুক্তি’। যোগ হয়েছে ‘টুনুর কথা’ ও রজনীকান্ত সেনের কবিতা ‘স্বাধীনতার সুখ’। ‘মোবাইল ফোন’ নামক গদ্যও বাদ পড়েছে। সেখানে যুক্ত হয়েছে ‘বই পড়তে অনেক মজা’। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের প্রসঙ্গ কথা বাদ দেওয়া হয়েছে। সূচিপত্র ও অধ্যায়ের ১ ও ১০ নম্বর পৃষ্ঠায় ছিল বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এটি পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী। বইটির এক নম্বর অধ্যায়ের প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈচিত্র্য ও সামাজিক পরিবেশের ওপর প্রকৃতির প্রভাব, দুই নম্বর অধ্যায়ে সামাজিক বিভিন্নতা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, চার নম্বর অধ্যায়ে সামাজিক অধিকার ও অর্থনৈতিক অধিকার, সাত নম্বর অধ্যায়ে শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী অনুচ্ছেদের আগের অংশের সঙ্গে কয়েকটি লাইন সংযোজন করা হয়েছে।

১৫ নম্বর অধ্যায়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ অংশে কয়েকটি লাইন সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। বইয়ের দুই নম্বর অধ্যায়ে নারী ও পুরুষ, ছয় নম্বর অধ্যায়ে অধিকাংশের মত গ্রহণ, ১২ নম্বর অধ্যায়ে ঘূর্ণিঝড় এবং ১৫ নম্বর অধ্যায়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ অনুচ্ছেদে একটি করে লাইন যুক্ত হয়েছে। আর তিন নম্বর তথা মানচিত্র অধ্যায়ে একটি মানচিত্র সংযোজন করা হয়েছে। আট নম্বর অধ্যায়ে ‘সামাজিক সম্পদ’ অনুচ্ছেদের নাম ‘সামাজিক প্রতিষ্ঠান’, ‘আরও কিছু রাষ্ট্রীয় সম্পদ’ অনুচ্ছেদের নাম ‘রাষ্ট্রীয় সম্পদ: প্রাকৃতিক’ এবং ৫২ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘এই বনভূমি বাংলাদেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে’– এই অংশকে লেখা হয়েছে ‘এই বনভূমি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ’। ১১ নম্বর অধ্যায়ে ‘বঙ্গোপসাগর’কে লেখা হয়েছে ‘বঙ্গোপসাগর একটি উপসাগর’।
১৪ নম্বর অধ্যায়ে ৭২ ও ৮৯ নম্বর পৃষ্ঠায় ‘মধ্যযুগ’কে লেখা হয়েছে ‘মুসলিম শাসনামল’। ১৫ নম্বর অধ্যায়ে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান অংশে ‘বঙ্গবন্ধু’র পরিবর্তে ‘মওলানা ভাসানী’র নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ৭৯ নম্বর পৃষ্ঠায় কে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন? অংশটুকু নতুন সংযোজন।
পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে নতুন করে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু। এর বাইরে সূচিতে তেমন কোনো সংযোজন-বিয়োজন নেই।

মাধ্যমিকে যেসব পরিবর্তন
এ বছরের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পাঠ্যবইয়ে সাতটি গদ্য ও চারটি কবিতা বাদ দেওয়া হয়েছে। যুক্ত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের ওপর লেখা একটি সংকলিতসহ দুটি গদ্য। বদল হয়েছে একটি উপন্যাস। একই শ্রেণির ইংরেজি বই থেকে একটি অধ্যায় বাদ গেছে এবং জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি নিয়ে লেখাসহ নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।
এনসিটিবির এক কর্মকর্তা জানান, প্রথমে পাঠ্যবইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি বা দেয়ালে আঁকা ছবি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে পঞ্চম থেকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি বইয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের বিষয়বস্তু নিয়ে কবিতা, প্রবন্ধ ও গদ্য যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নবম-দশম শ্রেণির বাদ দেওয়া সাতটি গদ্য হলো– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দেনাপাওনা’, মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’, কবীর চৌধুরীর ‘পয়লা বৈশাখ’, জহির রায়হানের ‘বাঁধ’, সেলিনা হোসেনের ‘রক্তে ভেজা একুশ’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নিয়তি’ ও ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘তথ্যপ্রযুক্তি’। অবশ্য একই বইয়ে জহির রায়হানের ‘একুশের গল্প’ এবং জুলাই বিপ্লবের ওপর লেখা ‘আমাদের নতুন গৌরবগাথা’ নামে একটি সংকলিত গদ্য যুক্ত করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ ও ‘লাইব্রেরি’ গদ্য দুটি আগের মতোই রাখা হয়েছে। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ‘লাইব্রেরি’ গদ্য বাদ গেলেও রাখা হয়েছে ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’। ‘নিয়তি’ বাদ দিলেও রাখা হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘১৯৭১’। চারটি কবিতা বাদ দিলেও যুক্ত হয়নি একটিও। বাদ দেওয়া চার কবিতা হলো– কাজী নজরুল ইসলামের ‘আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ এবং কামাল চৌধুরীর ‘সাহসী জননী বাংলা’। কাজী নজরুল ইসলামের অন্য দুটি কবিতা ‘মানুষ’ ও ‘উমর ফারুক’ ঠিকই রয়েছে।
নবম-দশম শ্রেণির ‘ইংলিশ ফর টুডে’ বই থেকে ইউনিট ওয়ান হিসেবে থাকা ‘ফাদার অব দ্য নেশন’ অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে। ‘সেন্স অব সেলফ’, ‘লোনলিনেস’ এবং ‘গ্রাফিতি’ নামে নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা যা বললেন
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রিয়াজুল হাসান বলেন, মোটা দাগে আমরা নতুন বইয়ে চারটি পরিবর্তন এনেছি। প্রথমত, ইতিহাসে জাতীয় নেতৃবৃন্দের যার যা স্থান, সে অনুযায়ী যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অতি বন্দনা বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে তাঁকে ছোট করা হয়েছিল। তৃতীয়ত, বইয়ের ব্যাকপেজ ইনার থেকে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী ও ছবি সরানো হয়েছে। আর শেষটি হলো, বইয়ের প্রচ্ছদের ইনারে ডা. দীপু মনির সময়ে করা সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি সরানো হয়েছে। সত্যি বলতে, পাঠ্যবইয়ের চরিত্রে এসব বেমানান।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে মনে হতে পারে। কিন্তু একই বিষয়ে বিকল্প বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন : সেলিনা হোসেন ও মুহাম্মদ জাফর ইকবালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখা সরানো হলেও একই বিষয়ে অন্যদের লেখা যুক্ত করা হয়েছে।’
পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা সমকালকে বলেন, ‘গত সাড়ে ১৫ বছর প্রতিটি পাঠ্যবইয়ে এক ব্যক্তি, একটি পরিবার ও তাদের ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক দর্শনকে একনাগাড়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার কার্যক্রম চলেছে। আমরা তা থেকে বেরিয়ে শিক্ষামূলক, বস্তুনিষ্ঠ ও সত্যনিষ্ঠ ইতিহাসের ধারা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে একজন মাত্র ব্যক্তির অর্জন বানিয়ে ফেলার অপচেষ্টা চলছে দীর্ঘদিন। আমরা মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখা প্রত্যেক নেতার অবদান তুলে ধরেছি। স্বল্পসময়ে সব কিছু পরিমার্জন দুরূহ। তবুও চেষ্টা করেছি।’

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions