শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে বড়দিন উপলক্ষে খ্রীষ্টধর্মাবলম্বীদের সমবেত প্রার্থনা ও কেক কাটা আজ শুভ বড়দিন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ আজ ফিরছেন তারেক রহমান,নির্বাসন শেষ, ঢাকায় বরণের আয়োজন খাগড়াছড়িতে বিজিবির অভিযানে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ নাইজেরিয়ায় নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৭ দীর্ঘ ৬ হাজার ৩শ ১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে! অবশেষে খনন হচ্ছে রাঙ্গামাটির ৩ নদী,একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন,সহজতর হবে যাত্রী ও কৃষিপণ্য পরিবহন ভূমিকা রাখবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাঙ্গামাটি আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জুঁই চাকমা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ ড্রেজিংয়ের অনুমোদন একনেকে

যতটা দেখায়, মোদী কি ততটা শক্তিধর?

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৩০ দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে শক্তিমত্তাই সবকিছু। দেশের অভ্যন্তরে তা প্রকাশ পায় সংখ্যালঘুদের দমন এবং গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করার মধ্য দিয়ে।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মোদীর শক্তিমত্তা প্রকাশ পায় নয়াদিল্লির প্রতি যেকোনো সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ— এমনকি কখনো কখনো মিত্রদেশের মাটিতেও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে।

দিনটি ছিল ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। এদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ তোলেন, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় হত্যা করেছে ভারত সরকার। এর ঠিক দুই মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ঘোষণা দেয়, তারা নিউইয়র্কে এক শিখ নেতা হত্যায় ভারতের পরিকল্পনা নস্যাৎ করেছে।

পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি হলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক গুরপতবন্ত সিং পান্নুন। আর গত মাসে, ট্রুডো অভিযোগ করেন, ভারত এখনও শিখ কানাডিয়ানদের হয়রানি ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ভারত সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এবং কানাডার প্রতি এক ধরনের উপহাসমূলক প্রতিক্রিয়া জানায়।

মোদীর সমর্থকগোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে তার এ দ্বন্দ্বকে এই ভেবে সাহসিকতার ঝলক ও প্রমাণ হিসেবে দেখেছে যে ভারতকে ভয় দেখানো সম্ভব নয়। অর্ণব গোস্বামী নামে মোদীপন্থি এক বিশিষ্ট টিভি উপস্থাপক সংবাদ প্রচারের সময় বলছিলেন, ‘প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি জোরে আমরা ট্রুডোকে থাপ্পড় দিয়েছি। ’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী (মোদী) প্রমাণ করেছেন, তিনি মার্কিন নেতাদের চেয়ে ‘বেশি স্মার্ট’। ‘আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছি, আমরা এতটা নির্ভরশীল নই। ’

কিন্তু ভারতও এতটাও স্বাধীন নয় যে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে পারে। দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সঙ্গে তীব্র বিরোধে জড়িয়েছে। এর কারণে ভারত অর্থনৈতিক বিনিয়োগ হারাতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি-নির্ধারক দল এখন ক্ষতি মোকাবিলায় তৎপর।

আসল ঘটনা হলো, যেসব হত্যার পরিকল্পনা প্রকাশ পেয়েছে, তা ভারতের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। দেশে শক্তিশালী হওয়ার ভান করা, আর বিদেশে সত্যিকারের শক্তিশালী হওয়া একেবারেই আলাদা।

মোদীর জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে ক্ষমতাধর নেতা হিসেবে তার পরিচিতি। তিনি ক্ষমতায় বসেন দেশের হিন্দু ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠদের বিপক্ষে মুসলিম সংখ্যালঘুদের দাঁড় করিয়ে। তিনি এমন ধারণা দেন যে মুসলিমরা হিন্দুদের শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে। (হিন্দুদের পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, মুসলিম বিজয়ীরা বশীভূত না করা পর্যন্ত ভারত একটি বিশ্ব-নেতৃস্থানীয় হিন্দু জাতি ছিল। )

মোদী যখন গুজরাট রাজ্যের সরকারে ছিলেন, তখন এক দাঙ্গার সময় তিনি নীরব ছিলেন। তখন অন্তত ৭৯০ জন মুসলিম বাসিন্দা নিহত হন। এ ঘটনার পর তার দল নির্বাচনে আরও বেশি আসন পায়। কিন্তু, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যেখানে অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল মূল আলোচনা, সেখানে তার দল আসন হারায়। ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী মোদীর দল বিরোধিতা একেবারেই সহ্য করেনি, এবং ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী উদ্দেশ্যে সহিংসতাকে কাজে লাগাতেও কোনো সংকোচ বোধ করেনি। ঘৃণার মতো অপরাধ বাড়লেও মোদী সেসব নিয়ন্ত্রণে কিছুই করেননি।

সন্দেহজনক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার গণমাধ্যমে এলেও মোদী কিংবা তার ঘনিষ্ঠদের কাউকেই হত্যার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। ২০১০ সালে মোদীর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ অমিত শাহ অপহরণ, চাঁদাবাজি ও দুই ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন। তৃতীয় আরেকজনকে হত্যার দায়েও তিনি অভিযুক্ত হয়েছিলেন। চার বছর পর মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন। এরপর এক বিচারক এসব মামলা খারিজ করে দেন।

অটোয়া মনে করে, কানাডিয়ান শিখদের ভয় দেখানোর প্রচারণার পিছনে রয়েছেন সেই অমিত শাহ। শিখদের নিয়ে মোদী সরকারের হতাশা শুরু হয় ২০২০ সালে। ওই বছর সরকার ভারতের কৃষি খাতের জন্য বিতর্কিত তিনটি আইন করে। শিখ কৃষকেরা এর বিরুদ্ধে মাসের পর মাস আন্দোলন চালান, শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লি আইন তিনটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

পরাজয় মেনে নেওয়া মোদী সরকারের স্বভাবে নেই। এ পরাজয়ের প্রতিক্রিয়ায় তারা দাবি করে, কৃষকদের আন্দোলন শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাজ, যারা দেশকে ভাঙার চেষ্টা করছে। এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ছিল। কেননা, ভারতের ভেতরে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদ ১৯৯০-এর দশক থেকেই কার্যত নিষ্ক্রিয়। মোদী সরকার প্রবাসে থাকা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দিকে আঙুল তুলতে সবসময় প্রস্তুত থাকে। যদি নয়াদিল্লি নিজ্জর ও পান্নুনকে হত্যার নির্দেশ দিয়ে থাকে, তবে তা হয় কথিত হুমকিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য, নয়তো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষোভের কারণে।

হিন্দু জাতীয়তাবাদ ভারতের বাইরে ভালোভাবে কাজ করেনি। বরং, এটি বিভিন্ন দেশের জন্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক হিন্দু জাতীয়তাবাদী ‘অখণ্ড ভারত’ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। তারা মনে করেন, এটি হবে বৃহত্তর ভারত, যাতে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও তিব্বতের আংশিক কিংবা পুরোটা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

২০২৩ সালের মে মাসে নয়াদিল্লি তাদের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’-এর একটি মানচিত্র উন্মোচন করে। এর প্রতিক্রিয়ায় তিনটি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানায়। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবারই মোদী সরকারের হিন্দু-অগ্রাধিকার নীতিগুলোর সমালোচনা করে আসছে।

২০১৯ সালে ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু ও কাশ্মীরের আংশিক স্বায়ত্তশাসন বাতিল এবং তার রাজ্যের মর্যাদা পুরোপুরি হরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান সদস্যরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক লিন্ডসে গ্রাহামও।

কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য শিখ নেতা নিজ্জরকে হত্যা এবং পান্নুনের ওপর হামলার চেষ্টা থেকে বেশি বিরক্তিকর আর কিছুই হয়নি। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ট্রুডো ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেন, এর মধ্যে কানাডায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারও ছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যও জ্যেষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে। পরে গণমাধ্যমটি আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এক ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে সান ফ্রান্সিসকো ছাড়তে বাধ্য করে এবং ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাকে তার ওয়াশিংটন স্টেশনের প্রধানের বদলিতে বাধা দেয়। যদি এসব খবর সত্য হয়, তাহলে বিদেশি তথ্য সংগ্রহ করতে ভারতকে নতুন করে জটিলতায় পড়তে হতে পারে। নিশ্চিতভাবেই ভারত সরকারের ওপর বিশ্বাস কমে গেলে পশ্চিমা দেশগুলো গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।

জো বাইডেনের প্রেসিডেন্সির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে অঞ্চল-বহির্ভূত বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডকে গুরুত্ব দিয়েছে, ট্রাম্পের সময়ে হয়তো তেমনটি হবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ থেকে একেবারেই সরে যাবে না। আসন্ন জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিতে যাওয়া ট্রাম্পের মুখে মোদীর প্রশংসা শোনা গেছে। আর মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তরের পরিচালক পদে মনোনীত তুলসি গ্যাবার্ডও হিন্দু জাতীয়তাবাদী। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গেও তার সম্পর্ক রয়েছে। এরপরও ট্রাম্প বেশ কয়েকটি কারণে হত্যা কিংবা হত্যাচেষ্টার তদন্ত বন্ধ করতে পারবেন না।

ট্রাম্প স্বভাবতই অস্থির প্রকৃতির। তিনি বাণিজ্য ঘাটতি পছন্দ করেন না (ভারত বাণিজ্য ইস্যুতে বেশ বেয়াড়া, গত এপ্রিলে ট্রাম্প এমনটি বলেছিলেন)। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ইতিমধ্যে পান্নুন হত্যাচেষ্টা মামলায় একজন সাবেক ভারতীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি হয়তো অভিযোগটি চলতে দেবেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পের সমালোচকদের চুপ করাতেই ব্যস্ত থাকেন।

সরকারে যা কিছুই হোক না কেন, বিভিন্ন হত্যাকাণ্ড বেসরকারি খাতে কিন্তু ভারতের সুনাম নষ্ট করে দিতে পারে। মিহির শর্মা নামে ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ও ব্লুমবার্গের কলামিস্ট সম্প্রতি এই বলে বিরক্তি প্রকাশ করেন যে, নিজ্জর হত্যা ও পান্নুনের হত্যাচেষ্টার দুটি ঘটনা সেই বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে ‘যাদের আগে ভারতের রাজনীতি নিয়ে কোনো বিশেষ আগ্রহ ছিল না’, এবং তারা এখন দেশটিতে ব্যবসা করার বিষয়ে কম আগ্রহী হতে পারেন।

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের বাইরে সেসব দেশও নয়াদিল্লি সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ করবে না, যাদের ভারতের এবং পশ্চিমের মধ্যে সংঘর্ষ নিয়ে তেমন আগ্রহ নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা দুই দেশেই ভারত ধরা খেয়েছে। নিউইয়র্কে পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

আর কানাডীয় সূত্রগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারত একটি অপরাধী দলের সঙ্গে চুক্তি করেছিল, যাতে তারা নিজ্জর হত্যাকাণ্ডটি সম্পন্ন করে। আর আমেরিকায় ভারত ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ডিইএ) এক এজেন্টকে ভাড়া করেছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, অপারেশনটি ছিল অগোছালো— এটি দক্ষ গোয়েন্দা সংস্থার কাজ ছিল না।

মোদীর মাথায় রাখা উচিত ছিল, আমেরিকা ও কানাডার সঙ্গে বিরোধে যাওয়া ভারতের জন্য উপকারী কিছু হবে না। পৃথিবীতে অনেক নেতা আছেন যারা বোকামি করে এমন বিরোধ শুরু করেন, যা তাদের দেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংইয়ের অধীনে চীন ‘উলফ ওয়ারিয়র কূটনীতি’ অনুসরণ করছে— কিংবা বেইজিংয়ের প্রতি ছোটখাট অপমানেরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোভিড-১৯ এর উত্স নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানালে চীন অস্ট্রেলিয়াকে তিরস্কার করতে ছাড়েনি। ফলস্বরূপ অস্ট্রেলিয়া রপ্তানি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বারবার বিরোধে লিপ্ত হন। ওয়াশিংটনের মিত্র দেশগুলো পরে এমন অর্থনৈতিক চুক্তি করে, যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ রাখা হয়। ২০১৯ সালে লন্ডনে ন্যাটো সম্মেলনের এক ভিডিওতে দেখা যায়, তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জাস্টিন ট্রুডোসহ অন্য নেতারা ট্রাম্পকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করছেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক অনুমোদন রেটিং কমে যায়।

কখনো কখনো অবশ্য নিরপেক্ষ দেশ এবং বন্ধুদেশগুলোর সমালোচনা করতে হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ট্রাম্পসহ একাধিক মার্কিন প্রশাসন প্রতিরক্ষা খাতে যথেষ্ট ব্যয় না করার জন্য ইউরোপের সমালোচনা করেছিল। ওয়াশিংটন ও কিয়েভ বারবার মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ এবং শর্তাদি নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে।

নয়াদিল্লি আগেও কানাডার সঙ্গে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে এই বলে যে: ২০ শতকের শেষের দিকে কানাডা বিপজ্জনক সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছিল যাদের ভারতের উত্তরাঞ্চলে সহিংস বিদ্রোহে ইন্ধন ছিল। প্রয়োজনীয় তর্ক এবং অপ্রয়োজনীয় বা আগ্রাসী তর্কের মধ্যে একটি স্পষ্ট সীমা রয়েছে। নয়াদিল্লি প্রায়শই সেই সীমা অতিক্রম করে অপ্রয়োজনীয় বা উসকানিমূলক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে।

মোদী ভারতের সম্মান নষ্ট করবেন না; ভারত এর অংশীদারদের জন্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তারা এসব বিষয় উপেক্ষা করতে পারবে না। কিন্তু তিনি অবশ্যই তার চলাফেরাকে প্রয়োজনের চেয়ে জটিল করে তোলেন। তিনি সহযোগিতার জন্য মূল্যবান সুযোগগুলো সীমিত করে ফেলেন। নিজেকে পরাক্রমশালী মনে করার দ্রুত পরিণতির পর আসে অপমানের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব।
দ্য আটলান্টিকের প্রতিবেদন থেকে অনুবাদ করা হয়ছে

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions