শিরোনাম
বৈষম্যবিরোধীদের ডাকা সভায় যোগ দেয়নি মূলধারার ছাত্র সংগঠনগুলো ‘মুন্নী সাহার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্ট’ বলে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করায় বিস্ময় প্রকাশ মুন্নী সাহার বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তির পেছনে যে ৭টি কারণ-বিবিসি বাংলা কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রের মুখে পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ, গুলিবিদ্ধ ৩ বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ হাসিনা সবকিছু ধ্বংস করে গেছে, শূন্য থেকে শুরু করেছি : ড. ইউনূস ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৭৩ আসামিসহ এখনও পলাতক ৭০০: কারা মহাপরিদর্শক ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী : হাইকোর্টে প্রতিবেদন রাঙ্গামাটির সাজেক থেকে ফিরছেন আটকে পড়া পর্যটকরা

আলোচনায় ভারসাম্যের শাসনব্যবস্থা,প্রেসিডেন্ট না প্রধানমন্ত্রী?

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রেসিডেন্টের অবস্থান সব নাগরিকের ঊর্ধ্বে। আদালতেরও ঊর্ধ্বে তার স্থান। তিনি সর্বোচ্চ কারাদণ্ড (মৃত্যুদণ্ড)সহ সকল প্রকার দণ্ড মওকুফ করার ক্ষমতা রাখেন। বিদ্যমান সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টের মর্যাদা উচ্চকিত করা হয়েছে এভাবেই। এ থেকে আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের হাতেই বুঝি রাষ্ট্রের একচ্ছত্র ক্ষমতা। কিন্তু পরের অনুচ্ছেদগুলো মিলিয়ে সংবিধান পাঠ করলে বোঝা যায়, ক্ষমতায়িত প্রেসিডেন্টের অন্তঃসার শূন্যতা। মূলতঃ অনুচ্ছেদ ৪৮(১),২,৩,৫ এবং ৪৯ অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে নিছক ‘অলঙ্কারিক’ পদে পরিণত করা হয়েছে। বিশেষত, ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ (৩) দফা অনুসারে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদেও (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ছাড়া প্রেসিডেন্ট তার সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করবেন। বাকি সকল ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ কিংবা পরামর্শ নিতে হবে। অন্যদিকে সংবিধানের ৫৫(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সরকারের প্রধান নির্বাহী। প্রধানমন্ত্রী বা তার কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হবে-মর্মে উল্লেখ রয়েছে। ৫৫ (৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারের সকল নির্বাহী ব্যবস্থা প্রেসিডেন্টের নামে গৃহীত হয়েছে- মর্মে প্রকাশ করা হবে। অর্থাৎ সরকারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দায়িত্ব বর্তাচ্ছে প্রেসিডেন্টের ওপর। এভাবে ঘুরিয়ে-প্যাঁচিয়ে একচ্ছত্র এখতিয়ার এবং ক্ষমতা রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে। যা একটি নির্বাচিত সরকার প্রধানকে স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট দানবে পরিণত করতে সহযোগিতা করে। যার চূড়ান্ত মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেছে ভারতে পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে।

গত ৫ আগস্ট বিদূরিত হাসিনা যুগের অবসান ঘটার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতগুলো মৌলিক সংস্কারে হাত দিয়েছে। সংস্কারের প্রস্তাব পেতে গঠন করেছে বেশ ক’টি সংস্কার কমিশন। এসব কমিশনে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতকল্পে প্রস্তাব এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। ফ্যাসিজম প্রত্যাবর্তন রোধে সুপারিশ এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মতোই প্রেসিডেন্ট পদেও সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠানের। আর এসব প্রস্তাব গৃহীত হলে দেশের মানুষকে ফিরে যেতে হবে পূর্বতন ‘প্রেসিডেন্ট শাসিত’ সরকার ব্যবস্থায়। কোন্ ফর্মুলায় দেশ পরিচালিত হবে- নির্বাচনোত্তর রাজনীতি আবর্তিত হতে সেই ইস্যু কেন্দ্রিক।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই পদ্ধতিতে পরিচালিত হতে পারে আগামীর বাংলাদেশ। কারণ, মূল বিষয় হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার ও কর্তৃত্বে ভারসাম্য নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই হাসিনার মতো মাফিয়াতন্ত্র পুনর্জন্মের ছিদ্রপথ চিরতরে রুদ্ধ করা।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেসব কমিশন গঠন করেছে তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, সংস্থা এবং শ্রেণি পেশার মানুষ সুপারিশ ও অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিশেষত, গত অক্টোবরে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন’ গঠিত হয়। এ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সুপারিশ নিয়েছে। এরই মধ্যে গণমাধ্যম, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সিভিল সোসাইটি, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী সমাজ ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এছাড়া বিভিন্ন দল ও জনগণের কাছেও সুপারিশ আহ্বান করে কমিশন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মহল থেকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার প্রস্তাব উঠে আসে।

বিদ্যমান সংবিধান ও শাসন ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হাতে একচ্ছত্র ক্ষমতা ও সর্বময় কর্তৃত্ব। প্রেসিডেন্টের এখতিয়ার ও ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকারের আদেশ-অনুরোধ স্বাক্ষর করা। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই পদের ক্ষমতার ‘চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স’ থাকছে না। ভেঙে পড়ছে শৃঙ্খলা ও ‘চেইন অব কমান্ড’। ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছেই সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত ও উপেক্ষিত হচ্ছেন জনগণ। প্রস্তাবক, পরামর্শকরা তাই এ দুই পদে ভারসাম্য নিশ্চিত করার উপায় খুঁজছেন।

কোনো কোনো প্রস্তাবকারী বলছেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় যে পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হচ্ছেন সেটিতে নানা ফাঁক-ফোকর রয়েছে। এ পদ্ধতিতে শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। প্রতিটি সংসদেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রতি আনুগত্যশীল ব্যক্তি প্রেসিডেন্টের মতো পদে ‘নির্বাচিত’ হচ্ছেন। সংসদের ভেতর একটি নির্বাচন দেখিয়ে মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে কেউ কেউ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট কে হবেন এটি এখন প্রধানমন্ত্রীর আকাক্সক্ষার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে। এরফলে বিনষ্ট হয়েছে ক্ষমতার ভারসাম্য।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনসূত্রগুলো জানাচ্ছে, সরাসরি নির্বাচনের এই আলোচনায় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে একেবারে নির্দলীয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কিছু ক্ষমতা দেয়া যেতে পারে। তাতে হয়তো প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার ও ক্ষমতায় ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হবে।

বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতিতে ভোটে নির্বাচিত এমপিগণ সংসদে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেন। প্রার্থী মনোনয়নের কাজটিও করেন তারা। এ ক্ষেত্রে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল যেহেতু সরকারের থাকেন সেহেতু সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে হয় সরকারদলীয় সকল এমপিকে। অন্যথায় সংবিধানের ৭০ (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই এমপি’র এমপিত্ব বাতিল হয়ে যায়। ফলে প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের ব্যক্তিই প্রেসিডেন্ট ‘নির্বাচিত’ হন। সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন একই দলের দুই ব্যক্তি।

নাগরিক সমাজ তাই প্রস্তাব রাখছেন, জাতীয় সংসদ ও সব স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে পারেন প্রেসিডেন্ট। অথবা সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। সেই নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীরও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে নির্দলীয় ব্যক্তিকে যদি প্রেসিডেন্ট করা যায় সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে, তাহলে ৫ বছর অন্তর তিনি ‘নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ একটি ‘অনির্বাচিত সরকার’-এমন বদনাম যেমন ঘোচে, তেমনি তার অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে কম প্রশ্নের মুখে পড়বে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারির মতে, ব্রিটেনের সরকার চলছে পার্লামেন্টরি সিস্টেমে। সেখানে রাজতন্ত্রও নিয়মতান্ত্রিক। নির্বাচন হয় না। কিন্তু সেখানে সংসদ যে আইন করে রাজা তা স্বাক্ষর করেন। কিন্তু কিছু প্রথা সবাই মানেন, যা রাজা বা রানী থেকে আসে। সে আলোকেই এসেছে আমাদের শাসন ব্যবস্থা। তবে আমাদের এখানে সরাসরি নির্বাচনের কথা এই জন্য আসছে যে প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায়িত করা হয়নি। বাংলাদেশ-ভারতের মতো রাষ্ট্রগুলোতে ‘প্রেসিডেন্ট’ পদটি আলঙ্কারিক। এসব দেশে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা এতোটা নিরঙ্কুশ যে, প্রেসিডেন্টকে সেই সম্মান দেয়া হয় না।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সরাসরি করার আলোচনাটা গুরুত্ব পেলে প্রেসিডেন্সিয়াল শাসন ব্যবস্থায় প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অন্যদিকে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার মধ্যে থেকেও সরাসরি নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে আমাদের মতো দরিদ্র দেশে বারবার একটা নির্বাচন না করে বরং প্রেসিডেন্টকে কিছু ক্ষমতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট পদের ক্ষমতার ন্যূনতম ভারসাম্য নিশ্চিত করা যেতে পারে।

‘জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)’ চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বিভিন্ন পদ্ধতির হতে পারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সরাসরিও হতে পারে। তবে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে হলে প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেমে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। কারণ, সংবিধানে সংসদীয় পদ্ধতিতে শাসন ব্যবস্থার কথা বলা আছে। এক্ষেত্রে সংশোধন করতে হবে সংবিধান। দুটোর মিশেলও হতে পারে। অর্থাৎ সংসদীয় ব্যবস্থায় থেকেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সরাসরি হতে পারে। এ জন্য সংবিধান সংশোধন না করে আইনে পরিবর্তন আনা যেতে পারে। যেভাবেই হোক তাতে জনমতের প্রতিফলন ঘটতে হবে।

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান, ‘সুজন’ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দলভিত্তিক নয়, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সরাসরি আসবে কি-না, সেটির প্রস্তাব জোরালোভাবে এসেছে। আমাদের যে অনেকগুলো অসঙ্গতি আছে, তা আমরা সনাক্ত করেছি। যেমন দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করা। উচ্চকক্ষ কীভাবে নির্বাচিত হবে- আমরা এগুলো সততার সঙ্গে নোট নিয়েছি। সবকিছু পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবো।

স্বাধীনতার পর পার্লামেন্টারি সিস্টেমে ইলেকশন হলেও ১৯৭৫ সালে প্রেসিডেন্টশাসিত সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। এ ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই চালু ছিলো। ওই সময় গণঅভ্যুত্থানে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এইচ.এম.এরশাদের পতন ঘটে। ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়া পুনরায় পার্লামেন্টারি পদ্ধতিতে ফিরিয়ে আনেন। তার দুই দফা সরকার আমলে অনেকটা ভারসাম্য ছিলো। পরবর্তীতে এই ব্যবস্থার ষোলো আনা অপপ্রয়োগ ঘটনা শেখ হাসিনা। তিনি সকল ক্ষমতা নিজের হাতে কেন্দ্রীভূত ও কুক্ষিগত করেন। সংসদে ফ্লোর ক্রসিং করলে এমপি পদ হারানোর বিধান রয়েছে। এ কারণে শেখ হাসিনা আইনতঃ স্বৈরশাসকে পরিণত হন। পক্ষান্তরে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা শুধুমাত্র সরকারি সিদ্ধান্ত স্বাক্ষর করার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিমত তুলে ধরেন নাগরিক সমাজ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেয়া সংস্কার উদ্যোগ এ সুযোগ এনে দিয়েছে।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের জন্য এক অভূত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে যত অন্যায়, বৈষম্য করা হয়েছে, তা দূর করার। এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে। যে চেতনা থেকে আন্দোলন হয়েছে সেই চেতনাই হতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি।ইনকিলাব

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions