শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি’র ১৩তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে প্রহসনমূলক বিচারে মাইকেল চাকমাকে দণ্ডাদেশ প্রদান নিষ্ঠুর পরিহাস, মেনে নেয়া যায় না : ইউপিডিএফ কঠিন চীবর দানোৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা ২৫ বছরের দণ্ডে দণ্ডিত ইউপিডিএফ সশস্ত্র কমান্ডার মাইকেল চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় শাসন বাতিল করে রাষ্ট্রীয় প্রশাসন বাস্তবায়নের দাবি সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা পরিষদের খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দান উদযাপন রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে নৌকা ডুবি, সেনাবাহিনীর তৎপরতায় সকল যাত্রী নিরাপদে উদ্ধার সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসীদের আস্তানায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু, আহত ৪ রাঙ্গামাটিতে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বাংলাদেশিদের ভিসা না দিয়ে বিপাকে ভারত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৮০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বনগাঁর চিরচেনা কর্মব্যস্ততা এখন অনেকটাই স্তিমিত। চার মাস আগে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই এই শহরের অর্থনীতির চাকা শিথিল হয়ে পড়তে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসানীতিতে কড়াকড়ি আরোপ করায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে বনগাঁয়ের এমন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত বাংলাদেশি ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট বনগাঁর বাজার ও হোটেলগুলো এখন কার্যত ফাঁকা। সীমান্তের ওপার থেকে ক্রেতা আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ জানান, গত কয়েক মাসে বনগাঁর ব্যবসায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ধস নেমেছে। একসময় মুখরিত থাকা ‘তাও বাজার’ এখন নিস্তব্ধ।
সেখানে তুলির দোকানের মালিক গৌতম হালদার বলেন, ‘আমার বিক্রি ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

বাংলাদেশি ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যেত মোটিগঞ্জ ও তাও বাজারে। এই বাজার দুটি মূলত এখন প্রায় জনশূন্য। এর সঙ্গে সংকটে পড়েছে হোটেল খাত।
গত সাত-আট দশকে বাংলাদেশের পর্যটক, চিকিৎসাসেবা প্রার্থী এবং ব্যবসায়ীদের আগমনে এখানকার হোটেল খাত ব্যাপক সমৃদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু এখন জেসোর রোডের মায়ের আশীর্বাদ গেস্ট হাউসের মতো হোটেলগুলো অনেকটাই ভূতুড়ে হয়ে পড়েছে। হোটেলটির মালিক চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, কোভিডের বছরগুলো বাদ দিলে এমন অবস্থা আগে কখনো দেখিনি।

বাংলাদেশি পর্যটকদের অভাবে হোটেলকর্মী, অটো ও টোটোচালক, রিকশাচালক এবং কুলিদের আয়ের উৎস প্রায় বন্ধ। মায়ের সন্তোষী লজের মালিক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই খাতে যা উন্নতি হয়েছিল, তা আজ হুমকির মুখে।
কিছু বাংলাদেশি পর্যটক এখনো আসছেন। তবে তারাও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত। যশোর থেকে আসা রেহানা খাতুন বলেন, পরিস্থিতি এমন যে ভবিষ্যতে আর আসতে পারব কি না জানি না।

বনগাঁর ফাঁকা রাস্তাগুলো এবং জনমানবহীন বাজার এ শহরের অর্থনীতির অচলাবস্থার স্পষ্ট প্রমাণ। সীমান্তে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে এ–সংকট আরো দীর্ঘায়িত হতে পারে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions