ডেস্ক রির্পোট:- দুর্নীতি ও পাচারের অর্থে বিলাসী জীবন গড়লেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর। রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে সম্পদ ছাড়া স্বপ্নের শহর দুবাইয়ের ও রয়েছে ডুপ্লেক্স বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্টান। পাচার করা অর্থে গড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্য। শুধু বিলাসবহুল বাড়ি নয়, অবৈধভাবে নানা ব্যবসায় রয়েছে বিনিয়োগ। দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিত্ত-বৈভবের নেপথ্যে রয়েছে কমিশন বাণিজ্য এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আত্মসাৎ করা অর্থ পাচার।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ আমলে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রভাবশালি জেলা পরিষদের ছিলেন সদস্য। জেলা পরিষদ চলতো তার কথায়।
আওয়ামীলেগের সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি জেলা পরিষদের সদস্যের দায়িত্ব পালনকালে বিপুর সব কমিশন বাণিজ্যের টাকা নিতেন সে নিজে। কমিশনের এই টাকার বড় অংশই বিদেশে পাচার করেন তিনি। এসব পাচারকৃত অর্থে দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি ক্রয় ছাড়াও একটি হোটেলেও কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাজী মুছা মাতব্বরের হাজার কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে দুবাইসহ কয়েকটি দেশে। অভিযোগ আছে, শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন বিভাগ থেকে হরিলুট করে এই বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তিনি।
হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাজী মুছা মাতব্বরের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছেন দুদকের কর্মকর্তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত হাজী মুছা মাতব্বর ও তার সঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়মে যুক্ত থাকা পরিবারের লোকজন এবং সহযোগীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট তথ্য বলছে, দুবাইসহবেশ কিছু দেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। অবৈধ ভাবে অজিত অর্থ দিয়ে গ্যাস স্টেশনসহ দেড় ডজনের মতো ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। রাঙ্গামাটির আসামবস্তিতে গড়ে তোলা এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজে জাল-জালিয়াতি ও দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্যও মিলেছে।