বান্দরবান:- বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুন্নুয়াম পাড়ায় কেএনএফের আস্তানায় অভিযানের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’নিহত ৩ কেএনএ সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, সেনা অভিযানে এই তিনজনের প্রাথমিক পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন-বান্দরবান সদর উপজেলা সুয়ালাব ইউনিয়নের সারনপাড়া বাসিন্দা ও কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) স্থানীয় কমিটির সহ-সভাপতি পেন খুপ বম (৬৫), রুমা উপজেলায় পাইন্দু ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হ্যাপিহিল পাড়া বাসিন্দা ত্লোয়াংথন বমের কনিষ্ঠ সন্তান মেসি ভানলাললিয়ান বম (২২) ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সুয়ানলু পাড়া বাসিন্দা ভানসাং বমের মেয়ে এলি ভানজির পার বম (১৮)।
এলি ভানজির পার বম কেএনএফের সশস্ত্র শাখার কেএনএ’র (কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি) সক্রিয় সদস্য মেসি ভানলাললিয়ান বমের সহধর্মিণী বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পাইন্দু ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুননুয়াম পাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার করে-রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রুবেল দাশ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ এসেছে। তার মধ্যে একজন বয়স আনুমানিক ৬০ বছরের বেশি হবে। বাকি দুইজন ২৫ বছরে সমবয়সী। তার মধ্যে একজন নারী। ওই তিনজনের শরীরে গুলিবিদ্ধের চিহ্ন আছে।
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী বলেন, লাশ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সেনাবাহিনী করলে মামলা বা সাধারণ ডায়েরি হবে। তবে রুমা থানায় কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি এখনো হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার রুমা উপজেলার দুর্গম কুত্তাঝিরি এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এসময় কেএনএ’র একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সেনাবাহিনীর ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে করে কেএনএ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন জন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সশস্ত্র শাখার কেএনএ সদস্য ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং কয়েকজন গহীন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে আস্তানাটি তল্লাশি চালিয়ে কেএনএ সদস্যসের ব্যবহৃত ১টি চাইনিজ রাইফেল, ২টি একনলা বন্দুক, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ইউনিফর্ম, বেতারযন্ত্র, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ওষুধসহ বেশ কিছু সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পালিয়ে যাওয়া কেএনএ সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।