শিরোনাম
সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে চায়: এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্টে কী লিখেছে ভারত শীঘ্রই বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে: জেলা প্রশাসক রাঙ্গামাটিতে ধর্ষণ চেষ্টায় যুবক গ্রেপ্তার খাগড়াছড়িতে পাঁচ বছর বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও মাসিক বেতন তুলেছেন শিক্ষক চতুর্মুখী চাপে সরকার আ’লীগের সুপারিশে মাউশির ৩১৮৩ পদে জনবল নিয়োগ,ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পরিচয় ও অর্থের বিনিময়ে চাকরি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি,প্রতিবেদন দেয়নি ৮ প্রতিষ্ঠান, থমকে আছে তথ্য যাচাই থামছে না নেতাকর্মীর দখল চাঁদাবাজি সংঘাত আদানির বিদ্যুতে ৪৮০০ কোটি শুল্ক ফাঁকি

ভোটে কারচুপির তদন্ত হচ্ছে, ঘুম হারাম সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত করবে সরকার। রাতের ভোট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা মাঠ প্রশাসনের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) ভূমিকা তদন্ত করা হবে। একইভাবে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সুপার, থানার ওসিদের দায়িত্ব পালন এবং তাঁদের ভূমিকারও চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে। সরকারি কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাতের ভোট ও ভোট কারচুপির সংশ্লিষ্টতা মিললে বাধ্যতামূলক অবসরসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ নিয়ে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচনকালীন মাঠে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের রাতের ঘুম হারাম। এ বিষয়ে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে সরকারের নীতিনির্ধারকমহল সূত্রে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা। জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর-রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর কাজ করছে।
আপনি সেখানে যোগাযোগ করুন।’

জানা গেছে, হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা মনে করেন, বিগত সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দিনের ভোট আগের রাতেই গ্রহণ, ব্যাপক জালিয়াতি এবং ডামি নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসাররা সর্বাত্মক সহায়তা করেছেন। তাঁদের সহায়তায় হাসিনা সরকার নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে। প্রশাসন মনে করছে, হাসিনা সরকারের অনৈতিক কাজে সহায়তা না করলে ফ্যাসিজম দীর্ঘায়িত হতো না।

সুতরাং এ জন্য প্রশাসন ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দায় কম নয়। বরং তাঁরাই হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে মূল উদ্যোগী ছিলেন। যাঁরা হাসিনা সরকারকে সহযোগিতা করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উদাহরণ দেওয়ার মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারি কর্মকর্তারা যেন ভুলে না যান তাঁরা জনগণের চাকর। তাঁরা যেন দলীয় ক্যাডারের মতো আচরণ না করেন।

বিএএসএর দাবি প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘বিগত সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনে যাঁরা জড়িত ছিলেন, তাঁরা শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেননি, বরং রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ করেছেন। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, দু-একজন ছাড়া কারো বিরুদ্ধে সরকার উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা এখনো নেয়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে। আমরা আবারও দাবি করছি, তাঁরা যেখানেই থাকুন, তাঁদের চাকরিচ্যুত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইনের আওতায় আনা হোক। সরকারের কাছে তাঁদের তালিকা দেওয়া হয়েছে।’

সূত্র জানায়, বিগত সরকারের তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ডিসি, বিভাগীয় কমিশনারদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সাবেক সমাজকল্যাণসচিব মো. ইসমাইল হোসেন এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ বিভাগের বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। অনেককে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখা হয়েছে। তাঁদের অনেকে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। কেউ কেউ চিকিৎসা কিংবা বিদেশপড়ুয়া ছেলেমেয়েকে দেখার নামে বিদেশে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসি কালের কণ্ঠকে জানান, বিষয়টি তাঁরা আগেই শুনেছেন। কিন্তু তাঁদের কিছুই করার ছিল না। কারণ চাকরি করতে হলে সরকারের শীর্ষ মহলের কথা শুনতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions