ডেস্ক রির্পোট:- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে যারা এখনও চিকিৎসাধীন , ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখতে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। কিন্তু আহত সবার সঙ্গে দেখা না করার অভিযোগে হাসপাতালেই তোপের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। একটা পর্যায়ে উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেন বিক্ষুব্ধরা। বুধবার দুপুরের দিকে নিটোরের জরুরি বিভাগের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নিটোর পরিদর্শনে আসেন। তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখেন এবং চলে যেতে চান। কিন্তু তিন তলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন।
এক পর্যায়ে আন্দোলনে আহতদের একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। একজন গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। আরেকজন উঠে পড়েন গাড়ির ওপর। কিছু সময় তারা গাড়িতে কিল-ঘুষি মেরে ক্ষোভ দেখাতে থাকেন। নেমে আসতে বলেন গাড়ির চালকসহ অন্যদের। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বৃটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। পরে বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়।
আহত এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক একটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন মানুষ আছে। তারা (উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত) দু-একজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। কিন্তু আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। আমরা কথা বলতে গেলেও আমাদের বাধা দেয়া হয়েছে। সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে আমাদের।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা নিটোর থেকে বেরিয়ে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় যান চলাচল থেমে যায়।