ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসে পতিত সরকারের ঘনিষ্ঠরা!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৮১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস পুনঃগঠন করতে যাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে কমিটির সদস্যদের নাম প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। খুব দ্রুতই কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। তবে সম্ভাব্য এ কমিটিতে কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ও পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস গঠন করেছিল সরকার। ১৩ সদস্যের কমিটিতে পদাধিকার বলে ছয়জন, সরকার মনোনীত দুইজন এবং দেশের বিশিষ্ট আলেমদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে মনোনীত করে সরকার। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর ওই কমিটি পরিবর্তনের উদ্যোগে নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। জানা যায়, বর্তমানে নতুন করে গঠিত বোর্ড অব গভর্নরস ধর্ম উপদেষ্টার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ কমিটিতে নাম আসা রাজশাহীর জামিয়া উসমানিয়া হোসাইনাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জামাল উদ্দিন মাহমুদ সন্দ্বীপি গত সরকারের সর্বশেষ কমিটিতেও ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁও প্রধান কার্যালয়ের সামনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপন করার বিষয়ে যে বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ওই বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আওয়ামী ঘরানার একজন আলেম হিসেবেও পরিচিত। এ ছাড়া নতুন কমিটিতে চট্টগ্রাম ছিপাতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল ফারাহর নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং ইসলামী ও আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধারে সিন্ডিকেট সদস্য এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। তার মাদরাসায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও নওফেল সবসময় অতিথি হিসেবে প্রাধান্য পেতেন। জুলাইয়ের রক্তাক্ত বিপ্লবের পর শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এসব ব্যক্তিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর বানানোর খবরে বিভিন্ন মহলে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে নাম আসা আরো দু-একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও পতিত সরকারের আমলে নানা সুযোগ-সুবিধা নেয়া ও বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে জাতির জন্য আল্লাহর নেয়ামত, পীর আউলিয়াদের বংশধর এবং তাহাজ্জুদগুজারি বলে ফতোয়া দেন একজন। গত ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আলেমদের যে গ্রুপ আন্দোলন থেকে মাদরাসাছাত্রদের বিরত রাখতে গোপন বৈঠক করেছিলেন ওই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, বোর্ড অব গভর্নরস গঠন এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটা বলতে পারি এখানে কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি ও বিগত সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্থান হবে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সাথে যাদের সমর্থন ছিল এমন ব্যক্তিরাই এখানে স্থান পাবেন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions