শিরোনাম
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনও আক্রমণের মুখে-সম্পাদক পরিষদের বিবৃতি ফের নৌকাসহ ২০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ভারতে পালিয়ে সাব্রুম পুলিশের হাতে গ্রেফতার খাগড়াছড়ির রামগড়ের হিন্দু পরিবার রাঙ্গামাটির কেপিএম কয়লারডিপু বসতঘরে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ২ লাখ টাকা খাগড়াছড়িতে আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, বজ্রপাতে নিহত ২ আরও ৩০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছে আজ নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান,গুরুত্ব পাচ্ছেন শেরেবাংলা, ভাসানী ও জিয়া হোয়াইট হাউস কার? আজ যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন,প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নাকি ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার

আওয়ামী লীগ ছাড়ছেন তৃণমূল নেতারা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৪৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী নিজেকে রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাঁদের বেশির ভাগই দেশে থাকলেও কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। অনেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থক ও ছোট নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। হামলা-মামলার ভয়ে অনেকেই স্বেচ্ছায় বাড়িঘর ছাড়া। এলাকার বাইরে থাকায় অনেকে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। এলাকায় ফিরলে হামলা কিংবা গ্রেপ্তার হতে পারেন, এ শঙ্কায় দিন কাটছে অনেকের। এ অবস্থায় আত্মগোপনে থাকা অনেকে রাজনীতি ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে আওয়ামী লীগ থেকে সরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগ ছাড়াদের বেশির ভাগই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। তৃণমূলের প্রায় অর্ধশত নেতা ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে অথবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে দলীয় পদপদবি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করে কেউ স্থানীয় মসজিদের ইমামের কাছে তওবা পড়েছেন, কেউবা দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। এদিকে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার মাদারীপুর জেলা আদালতে উপস্থিত সবাইকে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন তিনি। এর আগে ২৫ অক্টোবর মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। একটি হত্যা মামলায় বর্তমানে মাদারীপুর জেলা কারাগারে আটক আছেন শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। তাঁর আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির মতো দলের অনেক জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতা এমনকি ইউনিয়ন-ওয়ার্ড নেতারাও পদত্যাগ করছেন। তাঁদের কেউ কেউ হামলা-মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এমন পথ বেছে নিচ্ছেন।
তবে অনেকেইে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলেও জানাচ্ছেন। তাঁরা বলছেন, যাঁরা ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছেন, দুর্নীতি করে টাকার মালিক হয়েছেন, তাঁদের দায় আমরা নেব না। ক্রিম খাইল নেতারা, কোটি কোটি টাকা বানাইল তাঁরা, আর তাঁদের পাপের শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার ২ নম্বর চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রব্বানী দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৮ অক্টোবর তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এ নেতা পেশায় একজন মাদরাসা শিক্ষক। একই জেলার কাজিপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়া দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। ২৫ অক্টোবর দুপুরে খোকন মিয়া নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিতভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ঝিনাইদহে দোয়া চেয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। আর কোনো দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক থাকবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। ১৬ অক্টোবর রাতে ঝিনাইদহ শহরে সাংবাদিদের তিনি পদত্যাগের বিষয়টি জানান।
এ সময় তিনি তাঁর অসুস্থতার কারণে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বাবুল মুন্সী পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে চরবিশ্বাস ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন সরকার পদত্যাগ করেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর চরবিশ্বাস ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এক লিখিত পত্রে স্ব স্ব পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ ঘোষণা করেন তাঁরা। খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস ছিলেন দোর্দ প্রতাপশালী। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিপদে পড়ে ৫ আগস্ট আত্মগোপন চলে যান। এ অবস্থায় ২১ আগস্ট অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে তিনি সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ২৫ আগস্ট ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান জামান ফেসবুক স্ট্যাটাসে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে দলীয় পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন দুই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা। ২৭ আগস্ট স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক লিখিত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগের বিষয়টি জানান ওই দুই নেতা। দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন দুর্গাপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সাহা। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আওয়ামী লীগের পদপদবি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জালাল আহমেদ। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বরাবর লেখা পদত্যাগপত্রটি ১ সেপ্টেম্বর দলীয় কার্যালয়ে জমা দেন তিনি। কুমিল্লার দেবিদ্বারে দুধ দিয়ে গোসল করে আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান। তাঁর নাম কামরুজ্জামান মাসুদ। তিনি উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান। ১৭ আগস্ট তিনি দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন। নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা কাইসার ওয়াদুদ বাবর দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০ আগস্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্রের কপি পাঠান। কাইসার ওয়াদুদ বাবর বাগাতিপাড়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মসজিদের এক ইমামের কাছে তওবা পড়ে দলত্যাগ করেছেন সিরাজ মিয়া (৪৭) নামে আওয়ামী লীগের এক নেতা। তিনি উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০ সেপ্টেম্বর বিকালে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে সমাবেশ করে তিনি দলত্যাগের ঘোষণা দেন।বাংলাদেশ প্রতিদিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions