ডেস্ক রির্পোট:- প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি (অব.) খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে অর্থ-পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকল্পে অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাতসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে।
২৭ অক্টোবর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাওয়ার সময় পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে আটকে দেওয়া হয়।
বিমানবন্দরের বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সূত্র জানায়, গোলাম ফারুক থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৪০ নম্বর ফ্লাইটে ব্যাংকক যাচ্ছিলেন। তার সফরটি ছিল ব্যক্তিগত। তবে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে দেশের বাইরে যেতে দেয়নি। তিনি বর্তমানে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে রয়েছেন। তাকে থানায় হস্তান্তর করা হবে নাকি বাড়ি ফিরে যাবেন এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গোলাম ফারুক বাংলাদেশের নাগরিক। তবে তার যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড রয়েছে বলে জানা গেছে।
১৯৯১ সালে ১২তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন গোলাম ফারুক। ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৫তম কমিশনার হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ ৩২ বছর ৮ মাসের কর্মযাত্রা শেষে তিনি অবসরে যান।