শিরোনাম
বিশ্বব্যাংক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এখনো বহাল,ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মা সচিবদের ক্ষমতা! ৯ কারাগারে ৭৫ ভিআইপি বন্দী,আসাদুজ্জামান নূর ও কামাল মজুমদার হাসপাতালে জাতীয় ঐক্যের ডাক সশস্ত্রবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদসহ গুরুত্ব পাচ্ছে ২০ বিষয় রাঙ্গামাটি পৌর প্রাঙ্গণে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ বন্ধ, পৌর সম্পদ দখলের ষড়যন্ত্র, ১২ কোটি টাকার টেন্ডারের কাজ পেতে চাপ সৃষ্টি করছে বিএনপি খাগড়াছড়িতে ঘরে ঢুকে নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা,স্বর্ণালঙ্কার চুরি শেখ হাসিনা আবারো রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছেন! ‘ছাত্র-জনতার ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে পুলিশকে নতুন করে দেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে’–খাগড়াছড়িতে রেঞ্জের ডিআইজ রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ডিজিএফআই এর কর্নেলের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত অবশেষে আপন নীড়ে অসহায় সেই বৃদ্ধ

কাকে গুম করা হবে নাম চলে যেত বেনজীরের কাছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশে গত প্রায় ১৫ বছরে ছয় শতাধিক মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। এসব গুমের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে নাম বেরিয়ে আসছে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের। গুমের এসব ঘটনা কো-অর্ডিনেট করতেন সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। গুম করতে ডিবি, র‌্যাব-১ ও ২ এবং ডিজিএফআইয়ে গঠন করা হয়েছিল আলাদা টিম।
এসব টিমের কর্মকর্তা ও সদস্যরাই গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে তথ্য মিলছে। আর সবচেয়ে বেশি গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে র‌্যাব-১-এর টিম।

বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কারা কারা গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে গুমসংক্রান্ত ‘কমিশন অব ইনকোয়ারি’। এরই মধ্যে ওই কমিশন অনেকের নাম জানতে পেরেছে।

এ বিষয়ে খোঁজ রাখেন এমন একজন কর্মকর্তা জানান, গুমের ঘটনায় যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁদের অনেকে বর্তমানে সাধু সাজার চেষ্টা করছেন। তবে লাভ নেই। সাবেক র‌্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান গুমের সঙ্গে জড়িত নন বলে আদালতে দাবি করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওই কর্মকর্তা বলেন, কে মহান, কে দোষী, তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বেনজীর আহমেদ ডিএমপির কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও আইজিপি ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন ছিলেন বলে তিনি সব নির্দেশ পালন করতেন। যাকে গুম করতে হবে ওই ব্যক্তির নাম চলে আসত বেনজীর আহমেদের কাছে। পরে তিনি জিয়াউল আহসানসহ অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করে একটি টিম দিয়ে টার্গেট ব্যক্তিকে উঠিয়ে আনতেন। বেনজীর আহমেদ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার সময় সবচেয়ে বেশি গুমের ঘটনা ঘটেছে।

মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলান জানান, গুমের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। তবে কারা জড়িত সেটি এখনো বের করতে পারেননি। এর কারণ, অভিযানগুলো চালানো হতো সাদা পোশাকে। ডিজিএফআইয়ের লোকজন গিয়ে পরিচয় দিতেন অন্য কোনো সংস্থার। এক সংস্থা আরেক সংস্থার পরিচয় দেওয়ার কারণে ভুক্তভোগীরা কারো নাম জানাতে পারেননি।

তিনি জানান, এমনকি যাঁরা আয়নাঘরে ছিলেন সেখানেও ভিন্ন লোকদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করানোয় তাঁদের পক্ষে নাম জানাটা কঠিন। তবে তিনি আশা করছেন গুমের ঘটনা তদন্তে যে কমিশন করা হয়েছে তারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে। যে এলাকা থেকে যাকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং পরে যে সংস্থার কাছে রাখা হয়েছিল ওই সংস্থার কমান্ডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বললে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম জানা যাবে। এসব প্রকাশের পরই সবাই প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে।

জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হওয়ায় তাঁর মাধ্যমে বেশির ভাগ গুমের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আর জিয়াউল আহসান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হওয়ায় ডিজিএফআই, র‌্যাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতেন।

সূত্র জানায়, গুমের জন্য ডিবি, র‌্যাব-১, র‌্যাব-২-তে আলাদা টিম করা হয়েছিল। ওই টিমগুলোর সদস্যরা ছিলেন যথেষ্ট দক্ষ। সেখানে একজন অফিসারের নেতৃত্বে সাত-আটজন সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। সব মিলিয়ে সারা দেশে দুই শর মতো অফিসার ও সদস্য গুমসংক্রান্ত ঘটনায় দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁদের জন্য আলাদা সম্মানীর ব্যবস্থা ছিল। ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ লালবাগ জোনের ডিসি থাকার সময় গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার্তা যেত বেনজীর আহমেদের কাছে। পরে বেনজীরের নেতৃত্বে গুমের ঘটনা বাস্তবায়ন করতেন র‌্যাব, ডিবি ও ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তারা।কালের কন্ঠ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions