২০১৪ সালের নির্বাচনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র,সহযোগীদের খবর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দৈনিক বণিক বার্তার প্রথম পাতার খবর ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয় অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছাত্র-জনতার ওপর নজিরবিহীন হামলা চালায় পুলিশ। গত ১৯ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত তিনদিনে ওই এলাকায় আন্দোলনকারীদের দমাতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৯৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়না রাইফেল থেকে। এতে প্রাণহানি ঘটে শতাধিক। অত্যাধুনিক এ মারণাস্ত্র দিয়ে প্রতি মিনিটে নির্ভুলভাবে ৩০-৪০ রাউন্ড গুলি চালানো যায়। অত্যাধুনিক এ অস্ত্র ব্যবহার হয় মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে।

পুলিশ বাহিনীর হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের আধুনিকায়নের নামে বাহিনীতে যুক্ত করা হয় ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম চায়না রাইফেল, এসএমজি, এলএমজি, বিডি-৮ অ্যাসল্ট রাইফেল, টরাস ৯ এমএমের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার্য অস্ত্র।

পুলিশের হাতে এ ধরনের অস্ত্র তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর। সে সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ) ছিলেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পুলিশের পক্ষে অংশ নেন তৎকালীন এআইজি মো. হারুন অর রশিদ। সভায় বাহিনীতে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘এদেশে পার্বত্য অঞ্চল ও সমতল অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে পুলিশের বিভিন্ন মডেল ও ক্যালিবারের অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে।’

তার ওই প্রস্তাবে অনুমোদন দেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। একই সঙ্গে স্বাভাবিক অন্যান্য প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে এসব অস্ত্র কেনাকাটা থেকে শুরু করে বণ্টনের কাজটিতেও তত্ত্বাবধান করেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের মতো বাহিনীর সদস্যদের হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অংশীজনসহ সংশ্লিষ্ট কারো মতামত নেয়া হয়নি। এমনকি ক্রয় প্রক্রিয়াও বাস্তবায়ন হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে। সরকারি অন্যান্য কেনাকাটায় যে ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, সেটিও এখানে উপেক্ষিত থেকে যায়। ২০১৫ সালে প্রথম দফায় ইতালি থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গুলি আমদানি করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দেশ থেকে আনা হয় আরো অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র ও গুলি। গোটা বিষয়টি দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেন আখতার হোসেন ভূঁইয়া। ২০১৯ সালে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে পদোন্নতি পান। পরে তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সচিব ও সিনিয়র সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি পরের দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পান। পুলিশের হাতে এ ধরনের মারণাস্ত্র তুলে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের ভাষ্যমতে, শুরুতে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন, পিবিআই, নৌ-পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সোয়াট ও গোয়েন্দা বিভাগের বিভিন্ন প্রয়োজনকে সামনে রেখে আখতার হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পুলিশকে এসব অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা হয়। যদিও এক পর্যায়ে এর প্রয়োগ শুরু হয় বিরোধী মত দমনে ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পরবর্তী নির্বাচনগুলোর অব্যবহিত আগে-পরে পুলিশ সদর দপ্তরে এসব অস্ত্র সংগ্রহের তোড়জোড় দেখা গেছে বেশি।

অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, পুলিশ ও র‌্যাব চীনা টাইপ-৫৬ সেমি অটোমেটিক রাইফেলে ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম বুলেট ব্যবহার করে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম স্নাইপার রাইফেল সংগ্রহের জন্য সর্বশেষ দরপত্র আহ্বান করা হয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগে গত মার্চে। গত ২৪ মার্চ ৫০টি এ ধরনের অস্ত্র সংগ্রহে উৎপাদন ও সরবরাহকারীদের কাছে দরপত্র চাওয়া হয়। এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ৩০টি ৭ পয়েন্ট ৬২ এমএম স্নাইপার রাইফেল। মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদের আন্দোলন দমন করার জন্যই এসব অস্ত্র সংগ্রহ করা হয় বলে জানা গেছে।

যুগান্তর

‘জালিয়াতদের টার্গেট ছিল জনতা ব্যাংক’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল জনতা ব্যাংক। আমানতপ্রবাহ বেশি, খেলাপি ছিল কম। প্রভিশন ও মূলধন ঘটতি ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ব্যাংক জালিয়াতচক্র ও টাকা পাচারকারীদের নজর পড়ে এ ব্যাংকের প্রতি। রাজনৈতিক চাপ, দুর্নীতিবাজ পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কারণে ব্যাংকটি থেকে নামে-বেনামে চক্রটি ঋণের নামে জনগণের আমানতের টাকা বের করে দিতে থাকে। এর একটি অংশ বিদেশেও পাচার করা হয়েছে।

ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় বাড়তে থাকে খেলাপি ঋণ। এসব কারণে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়ে এখন ৪৬ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা মোট ঋণের প্রায় ৪৮ শতাংশ। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাবে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। ব্যাংকের বড় গ্রাহকদের ঋণ খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়েছে। ফলে আগামী দিনে খেলাপি ঋণ আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের পর্ষদ সভায় উপস্থাপিত আর্থিক অবস্থার চিত্র এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, সরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংকের অবস্থান ছিল শীর্ষে। সব সূচকেই ব্যাংকটির অবস্থা ছিল শক্তিশালী। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটির এ অবস্থা বজায় ছিল। ২০০৯ সালের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর থেকেই লুটপাটকারী এবং টাকা পাচারকারীদের নজর পড়ে ব্যাংকটির প্রতি। তারা লুটপাট করতে নানা ফাঁদ পাততে থাকে। কিন্তু তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিয়মকানুনের প্রতি কঠোর থাকায় প্রথমদিকে লুটপাটকারীরা সুবিধা করতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রভাবে দুর্নীতিবাজদের এমডি নিয়োগ করা হলে তারা বিধিবিধানের কোনোরকম তোয়াক্কা না করেই বেপরোয়াভাবে ঋণ বিতরণ করতে থাকে। আর দুর্বল হতে থাকে ব্যাংকটি। আওয়ামী লীগ সরকার টানা সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ওই সময়ে সরকারের ঘনিষ্ঠ লোকজন জনতা ব্যাংকে ব্যাপকভাবে লুটপাট করেছে। এসব টাকা বিদেশেও পাচার করেছে।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর ‘সবজি এখনো চড়া, কমছে ডিমের দাম’। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে বেশির ভাগ শাকসবজি এখনো উচ্চ দরেই বিক্রি হচ্ছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে। ডিমের পাশাপাশি কমেছে কাঁচা মরিচের দামও।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে চাহিদার তুলনায় সবজির সরবরাহ এখনো কম। গত কয়েক মাসে দেশে বন্যা-বৃষ্টির কারণে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে সবজির দাম শিগগিরই কমছে না। অন্যদিকে বড় উৎপাদক কোম্পানিগুলো সরাসরি আড়তে ডিম সরবরাহ শুরু করেছে। এতে গতকাল থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে।

গতকাল রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

আগের সপ্তাহের তুলনায় কয়েকটি সবজির দাম কমলেও বাজারে এখনো বেশির ভাগ শাকসবজির দাম চড়া। গত সপ্তাহের তুলনায় বেগুনের দাম কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে গতকাল ১২০-১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল প্রতি কেজি ঢ্যাঁড়স, পটোল, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৮০-১০০ টাকায়; কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকায়; করলা ও বরবটি ১২০-১৪০ টাকায়; মিষ্টিকুমড়া ও দেশি শসা ৭০-৮০ টাকায় এবং পেঁপে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অবশ্য কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে আরও কিছুটা কমে এসব সবজি কেনা গেছে।

সবজির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার শাকের দামও বেশি। যেমন গতকাল লালশাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, পুঁইশাক ৪০-৫০ টাকা ও লাউশাক ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া পেঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম আগের মতোই রয়েছে। এর বাইরে মাঝারি মানের চালে ৩-৪ টাকা ও শুকনা আদা কেজিতে ৪০ টাকার মতো দাম বেড়েছে। গতকাল মাঝারি মানের ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকায় ও ব্রি-২৯ চাল ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুকনা আদা ২৬০-২৮০ টাকায় আর কাঁচা আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০-২০০ টাকায়।

বাজারে যেসব পণ্যের দাম কমেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কাঁচা মরিচ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কেজিতে ২০০ টাকার মতো কমেছে। গত সপ্তাহের বেশির ভাগ দিনে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০-৫০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তা ২২০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বিক্রেতারা জানান, পূজার ছুটির কারণে মাঝখানে বেশ কয়েক দিন মরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। এখন আমদানি স্বাভাবিক হচ্ছে। ফলে মরিচের দাম আরও কমবে।

সাধারণ ভোক্তা, বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের বড় উদ্বেগের জায়গা এখন ডিমের বাড়তি দাম। আগের সপ্তাহজুড়ে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৭০-১৮০ টাকায়; কখনো তা ১৯০ টাকাতেও উঠেছিল। তবে গতকাল এক ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৬০ টাকায়। তবে পাড়া–মহল্লায় এ দাম কিছুটা বেশি ছিল। ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। গতকাল প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২১০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়াতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসে দুই দফায় মোট ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে ডিমের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে। এ ছাড়া ডিম উৎপাদনকারী বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠানো শুরু করেছে। এসব উদ্যোগের ফলে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম।

গতকাল বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ঢাকার ডিম আড়তদারেরা জানান, শীর্ষস্থানীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিতভাবে সরকার নির্ধারিত দরে ঢাকার তেজগাঁও ও কাপ্তানবাজারে ডিম সরবরাহ করলে পণ্যটির দাম সহনীয় থাকবে।

ইত্তেফাক

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম ‘শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ’। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই আন্দোলন দমাতে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে উসকানি প্রদান, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশদাতার ভূমিকা পালনের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৮ নভেম্বরের মধ্যে গ্রেফতার করে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের সভাপতিত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন :বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।

আদেশদানের আগে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন উপস্থাপন করেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম তাজুল ইসলাম। জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় আসামিদের কার কী ভূমিকা, তা শেখ হাসিনাসহ ৪৬ নির্দিষ্ট করে তুলে ধরা হয়। প্রথমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এরপর তত্কালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বেশ কয়েক জন প্রভাবশালী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্কালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি আদেশ দেওয়া হয়।

তবে তদন্ত ও গ্রেফতার আদেশ কার্যকরের স্বার্থে ওবায়দুল কাদের ব্যতীত দ্বিতীয় আবেদনে কারো নাম প্রকাশ করেননি চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, এই অপরাধীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছেন, তাদের নামটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করছি না তদন্ত ও গ্রেফতার নিশ্চিতের স্বার্থে। চিফ প্রসিকিউটর বলেন, একটা সরকার কীভাবে দানবীয় সরকারে পরিণত হলো, কীভাবে নিরস্ত্র সাধারণ ছাত্র-জনতাকে গুলি করে মারল, তার প্রেক্ষাপটও ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেছি। আদালতের কাছে আবেদন ছিল, এই অপরাধগুলো এত বিস্তৃত মাত্রায় সারা বাংলাদেশ জুড়ে সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধের যারা আসামি, তারা অসম্ভবরকম প্রভাবশালী। এদেরকে গ্রেফতার করা না হলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন। এদের ভয়ে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শহিদ পরিবারের সদস্যরা কথা বলতে সাহসী হচ্ছেন না। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ৪৬ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে।

জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করে সরকার। তিন সদস্যের ঐ ট্রাইব্যুনালে বৃহস্পতিবার প্রথম বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিচারকার্যের প্রথম দিন চিফ প্রসিকিউটর আওয়ামী লীগ সরকার কীভাবে দানবীয় সরকারে পরিণত হয়েছে, তার একটি চিত্র তুলে ধরেন ট্রাইব্যুনালে।

কালের কণ্ঠ

‘ভোক্তার পকেট কাটছে ফড়িয়া-সিন্ডিকেট’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর। প্রতিবেদনে বলা হয়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের কৃষক রাজিব শেখ। স্থানীয় সাতৈর বাজারে প্রতিবছর তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। গত মৌসুমে তিনি প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেছিলেন। মৌসুমের শেষ দিকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পেয়েছিলেন।

ফলে তিনি মূলত পণ্যটি কেজিপ্রতি বিক্রি করেছেন ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। কিন্তু রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ ব্যবসায় জড়িত মধ্যস্বত্বভোগীরা এখান থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন ৭০ থেকে ৯০ টাকা।
সবজি উৎপাদনের জেলা হিসেবে কয়েক বছর ধরে বেশ ভালো করছে যশোর।

জেলার সদর সাতমাইল বাজারটির কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য সুখ্যাতি রয়েছে। এখান থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বাজারে শাক-সবজি সরবরাহ করা হয়। সাতমাইল বাজারে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি পটোল ৫০ টাকা এবং ঢেঁড়স ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ দুটি পণ্য গতকাল রাজধানীতে বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৮০ ও ১০০ টাকায়।

দেশের উৎপাদন পর্যায়ে কৃষকরা কেমন দাম পাচ্ছেন আর ভোক্তা পর্যায়ে কেমন দাম দিতে হচ্ছে, এর পার্থক্য নির্ধারণে তথ্য সংগ্রহ করেছে কালের কণ্ঠ। উৎপাদন পর্যায়ের তথ্যের জন্য যশোরের সাতমাইল, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার জিয়াবাজার, গাজীপুর সদরের বাজার এবং ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর বাজারে সবজি বিক্রির তথ্য নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা পর্যায়ে সবজি বিক্রির তথ্য নিতে কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজারে সবজির দাম যাচাই করা হয়েছে। প্রান্ত ও কেন্দ্রের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, কৃষক পর্যায় থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির দামের পার্থক্য কেজিতে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। মুনাফা ও পরিবহন খরচ বাদ দিলে ভোক্তাদের গড়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে।

সমকাল

‘পল্লী বিদ্যুতে কমপ্লিট শাটডাউন দেশজুড়ে দিনভর ভোগান্তি’-এটা দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর। খবরে বলা হয়, জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এতে তাদের অন্তত দুই কোটি গ্রাহক দিনভর চরম ভোগান্তি পোহান। সরকারি- বেসরকারি হাসপাতালে ব্যাহত হয় চিকিৎসা। পরে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধানের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত এবং সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে পবিস।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীনে দেশজুড়ে ৮০টি সমিতি রয়েছে। তাদের মোট গ্রাহক ৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি। জানা যায়, পবিসের ২৪ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গতকাল ৬১টি সমিতিতে সকাল থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে। অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ দাবিতে দীর্ঘদিন কর্মবিরতিসহ আন্দোলন করে আসছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। এর মধ্যে বুধবার বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ জিএম, ডিজিএম ও এজিএমের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যকলাপের অভিযোগ এনে বরখাস্ত করে আরইবি।

গতকাল আরও চারজনকে বরখাস্ত করা হয়। তাদের মধ্যে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরইবির চেয়ারম্যানের অপসারণ, বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল, মামলা প্রত্যাহার ও বৈষম্য দূরীকরণের দাবিতে ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা ঢাকা অভিমুখে লংমার্চেরও হুঁশিয়ারি দেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬১টি সমিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর ‘সব সহিংসতার বিচারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের’। খবরে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেছেন, বিক্ষোভ দমন হোক কিংবা বিক্ষোভকারী—যারাই সহিংসতা ঘটিয়েছে, তাদেরই বিচার করতে হবে। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এই ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ৫ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ সদস্য

নিহত হয়েছেন এবং ৪০০-এর বেশি থানা ভাঙচুর করা হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে বিক্ষোভকারীরা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছেন। এমন কথা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সব ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবে কি না? জবাবে মিলার বলেন, ‘আমরা এটা পরিষ্কার করে বলেছি, কোনো দোহাই দিয়েই সহিংসতার সুযোগ নেই। সেটা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা হোক কিংবা বিক্ষোভকারীরা হামলা চালিয়ে থাকুক। যারা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

আরেক প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়, দুর্গাপূজার সময় অনুষ্ঠানে দুটি সংগঠনের অনুসারীরা ইসলামি গান পরিবেশন করেছেন। মার্কিন প্রশাসন এ ঘটনাকে কীভাবে দেখছে? সংখ্যালঘুদের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কি যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে?

জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সবখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আপনি যে ঘটনার কথা বলছেন, সেটা সম্পর্কে জেনে আমি জানাব।’

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চায় বিএনপি’। প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী দিনের রাজনীতিতে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের অন্তর্নিহিত নির্যাস ধারণ করতে চায় বিএনপি। ফ্যাসিবাদের বিদায়ের পর তিন দফায় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলটি রাজনৈতিক কলা-কৌশলে ইতোমধ্যে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। জন আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ যে ৩১ দফা দলটি ঘোষণা করেছিল, সেটিকে তারা এ ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করছে। এই ৩১ দফাকে দলটির পরবর্তী নির্বাচনেরও ‘ম্যানিফেস্টো’ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা আলাপকালে বলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে দেশে যে রাজনৈতিক সঙ্কট চলে আসছে, সেটির আর পুনরাবৃত্তি চান না তারা। আগামীর বাংলাদেশ হবে স্থিতিশীল বাংলাদেশ, যেখানে সুষম গণতন্ত্রের চর্চা হবে, থাকবে মানুষের বাক ও মৌলিক স্বাধীনতা। এ জন্য রাজনীতিতে যে গুণগত পরিবর্তন আনা দরকার, সেটা তারা রাজনৈতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে আনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিএনপির নেতারা এও বলেছেন, শুধু রাষ্ট্রকাঠামোর ক্ষেত্রেই নয়, দলের অভ্যন্তরেও তারা গুণগত পরিবর্তন নিয়ে আসতে চান। এ ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের কিভাবে আরো জবাবদিহির আওতায় আনা যায়, সেই চেষ্টা তারা করে যাচ্ছেন। একই সাথে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে সেই ক্ষমতার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবেন, তাদেরকে কিভাবে কঠিন জবাবদিহির ভেতরে রাখা যায়, সেটিও রয়েছে তাদের ভাবনায়।

সূত্র জানায়, ৩১ দফার ভিত্তিতে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আনতে চায় বিএনপি। এ জন্য দেশজুড়ে এই দফাগুলোর প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। এই প্রচার-প্রচারণার লিফলেটে ৩১ দফা যেমন তুলে ধরা হচ্ছে, তেমনি ধানের শীষ প্রতীককে আগামী দিনে আবারো বেছে নেয়ার বার্তা দেয়া হচ্ছে। ৩১ দফার ওপর দলের নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে, যেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই সংযুক্ত থেকে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। গত বুধবার রাতে এমনই এক কর্মশালায় তারেক রহমান বলেছেন, ‘গত ৫ আগস্টের আগের প্রেক্ষাপট ছিল একরকম, এখন অন্যরকম। বিএনপি জনগণের দল, এই দলের কাছে প্রত্যাশাও অনেক। তাই ভবিষ্যতে আমরা কী করবো, কিভাবে করবো তা জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তুলে ধরতে হবে। আমরা লড়েছি, আমরাই গড়বো, এমন আত্মবিশ্বাস সবার মধ্যে থাকতে হবে’।

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Govt forms 4 more commissions’ অর্থাৎ ‘আরও ৪টি কমিশন গঠন করেছে সরকার’। প্রতিবেদনে বলা হয়, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম অধিকার ও নারী বিষয়ক খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে সরকার চারটি নতুন কমিশন গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমবিষয়ক কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন সাংবাদিক ও কলামিস্ট কামাল আহমেদ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক কমিশনের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান।

এছাড়া শ্রম অধিকার কমিশনের দায়িত্বে থাকবেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ এবং নারী বিষয়ক কমিশনের প্রধান হবেন নারীপক্ষের নির্বাহী পরিষদ সদস্য শিরীন পারভীন হক।

গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

দেশ রূপান্তর

‘অরাজনৈতিক সরকারের বাজার দুঃখ’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক ধরনের মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছে। এ সময়ে ঝড়, বন্যা, কৃষিক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। মূল্যস্ফীতি থাকে আকাশছোঁয়া। বর্তমানে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ। আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির সংকট কাটাতে গিয়ে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নতুন সরকার।

দেশের তিনজন সেরা অর্থনীতিবিদ অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছেন। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতি নিয়ে এ সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাসে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ অর্থনীতিবিদরা সরকারে যোগদানের আগে মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এলেও এখন সরকারের অংশ হয়েও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যে পদক্ষেপ নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হয়েছে, সেই সুদহার বাড়িয়েও কোনো সুফল মেলেনি বাংলাদেশে। আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় এ পদক্ষেপ বরং উল্টো ফল দিয়েছে, পণ্যমূল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ সময়ে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। যদিও বন্যা দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই হয়নি।

সাধারণত বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সময় ব্যবসায়ীরা থাকেন নির্ভার। লুটপাটের বড় নজির থাকলেও সরবরাহ সংকট খুব একটা দেখা যায় না। রাজনৈতিক সরকারের সময় ব্যবসায়ীরাও সংকটকালে এগিয়ে আসে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেভাবে যুক্ত হতে চান না।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions