শিরোনাম
ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠকে ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাকের উদ্বেগ রাঙ্গামাটিতে বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, একে রক্ষা করতে হবে : ফরিদা আখতার ইউপিডিএফ নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে মহাসমাবেশ এনবিআর ভেঙে হলো দুই বিভাগ, অধ্যাদেশ জারি এনবিআর বিলুপ্ত করে অধ্যাদেশ জারি হাসিনার সীমান্ত সড়কে তিন পার্বত্য জেলা এবং বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রাম নিয়ে নতুন করে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা চান সিভিল সার্জনরা বিপুল অর্থপাচারে ‘সেভেন স্টার’ গ্রুপ হাসিনাই ‘নির্দেশদাতা’ জুলাইয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন

রাঙ্গামাটিতে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য দীপংকর -মুছা মাতব্বর ও তাদের সহযোগিদের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬৪৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- পাহাড় ছিল রাঙ্গামাটি-২৯৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। টেন্ডারবাজি, ভর্তি ও নিয়োগবাণিজ্য ছিল ওপেন সিক্রেট। শুধু তাই নয়, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদ ও বাজার ফ্রন্টের জমি এবং পাহাড় দখল চলত তার ছত্রছায়ায়। দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছিল বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, এলজিডি, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, গণপূর্ত, পর্যটন, সড়কের টোল, ফরেস্ট, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও পাবলিক হেলথসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিণত হয় তার বাণিজ্যিক কেন্দ্রে। পক্ষান্তরে জিম্মি ছিলেন সাধারণ মানুষ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এসব দুর্নীতির খোলস খুলতে শুরু করেছে পাহাড়ে। তার এসব দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে পার্বত্যাঞ্চল অর্থাৎ রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান ছিল দলীয় নেতাদের দখলে। তাদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন। চলত নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অন্যায়। তার ক্ষমতার সামনে অসহায় ছিলেন বিএনপি, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম ভুট্টো অভিযোগ করে বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক এমপি দীপংকরের দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। এমনকি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির (ওটিএম) মাধ্যমে লোপাট হয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে ২০০ কোটি, জেলা পরিষদে ৪০০ কোটি, পাবলিক হেলথে ১০০ কোটি, এলজিডিতে ২০০ কোটি এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগে ১০০ কোটি টাকার ওটিএম টেন্ডারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন ক্ষমতাশীন দলের নেতা-কর্মীরা।

অন্যদিকে রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাভোকেট মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, ক্ষমতায় থেকে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা কি-না করেনি। সবখানে তাদের দুর্নীতিতে টইটম্বুর ছিল। দখলে ছিল তাদের স্বর্গরাজ্য। শহরের মানিকছড়ি এলাকায় বিএনপির অফিস দখল করে নিজেদের দলীয় কার্যালয় বানিয়েছেন। রাঙ্গামাটি শহরের ফিসারি বাঁধ এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের জমি দখল করে বানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়। শুধু তাই নয়, রাঙ্গামাটির ১০টি উপজেলাও বাদ পড়েনি। ভূমি দখল, টেন্ডারবাজি, ভর্তিবাণিজ্য ও নিয়োগবাণিজ্য ছিল তাদের অবৈধ টাকার উৎস। সাধারণ মানুষ ছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে জিম্মি। পৌরসভার দুর্নীতির কারণে সাধারণ নাগরিকরা ছিলেন সুবিধাবঞ্চিত। এসব ঘটনায় দুর্নীতির মামলা হলেও ক্ষমতার দাপটে কার্যকর হয়নি। রাঙ্গামাটিতে ঘরে ঘরে সাধারণ শিক্ষিত ছেলেমেয়ে বেকার। কারণ টাকা কিংবা ঘুষ ছাড়া চাকরি পাওয়া অসম্ভব ছিল। এসব ঘুষবাণিজ্যে লিপ্ত ছিল ছোট থেকে শীর্ষ নেতারাও। প্রকাশে ঘুষের লেনদেন চললেও মুখ খুলতে পারতেন না কেউ। প্রতিবাদ করলে হামলা-মামলা হয়রানির শিকার হতেন। দুর্নীতির কারণে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়ক, সেতু ও কালভার্টের বেহাল দশা। শোচনীয় অবস্থা রাঙ্গামাটি জেলার জেনারেল হাসপাতালও। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কারণে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত ছিলেন রাঙ্গামাটির সাধারণ মানুষ। এসবই হতো সাবেক এমপি দীপংকর তালুকদারের ছত্রছায়ায়। তার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। পাশাপাশি তার সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হাজি মো. মুছা মাতব্বর, সহসভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা,রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকব্বর হোসেন চৗধুরী, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাওয়ার উদ্দিন এবং সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। সুত্র বাংলাদেশ প্রতিদিন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions