শিরোনাম
কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রের মুখে পাহাড় থেকে দুই কৃষককে অপহরণ, গুলিবিদ্ধ ৩ বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ হাসিনা সবকিছু ধ্বংস করে গেছে, শূন্য থেকে শুরু করেছি : ড. ইউনূস ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৭৩ আসামিসহ এখনও পলাতক ৭০০: কারা মহাপরিদর্শক ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী : হাইকোর্টে প্রতিবেদন রাঙ্গামাটির সাজেক থেকে ফিরছেন আটকে পড়া পর্যটকরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ কর্তনে ক্ষোভ,অর্থ ফেরতে আন্দোলনে নামার হুমকি মুন্নী সাহার স্থগিত ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৪ কোটি টাকা শেখ পরিবার ও ৯ গ্রুপের সম্পদের খোঁজে ১০ টিম

খাগড়াছড়ির ৬১ মণ্ডপে চলবে দেবী দুর্গার আরাধনা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬২ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:- পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার সবশেষ প্রস্তুতি। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজা মণ্ডপে প্রতিমার কাজ শেষ হয়েছে। মৃৎশিল্পীর নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠেছে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ স্বরস্বতীর অবয়ব।

আগামী ৯ অক্টোবর মহা ষষ্টীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তাই রাত জেগে প্যান্ডেল, আলোকসজ্জাসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

শহরের কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির, আনন্দনগর ভূবনেশ্বরী কালী মন্দির, গীতা আশ্রম, জগন্নাথ মন্দিরসহ জেলা উপজেলার সব মণ্ডপে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ত সময় পার করছে। শেষ হয়েছে প্যান্ডেলের কাজ। রঙের আঁচড়ে সাজানো প্রতিমা ঘিরে চলছে আলোক ও মঞ্চ সজ্জার কাজ।

খাগড়াছড়ি শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা মৃৎশিল্পী বাবলু দে। দীর্ঘ বছর ধরে জেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, যে কয়েকটা কাজ পেয়েছি তার সবকটি প্রায় শেষ। ষষ্টীর আগেই আয়োজকদের প্রতিমা বুঝিয়ে দিতে পারবো। এদিকে জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো তেমন লাভ নেই।

পাহাড়ে ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর মানুষও সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ায় তারাও দুর্গাপূজা ঘিরে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অনেক মণ্ডপে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক রিনাই রিসাইতে প্রতিমা সাজিয়েছে।

জেলার কেন্দ্রীয় লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির পূজা মণ্ডপ কমিটির সভাপতি রনজিত দে বলেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বেশ কিছ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মনে আগের মতো আনন্দ নেই। আশা করছি, সবার সহযোগিতা নিয়ে সুন্দরভাবে পূজা করতে পারবো।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৬১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ৫৬টি প্রতিমা পূজা ও পাঁচটি ঘট পূজা।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি অশোক মজুমদার বলেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পূজা আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যে আমরা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে দফায় দফায় সভা করেছি। আশা করছি, সবার সহযোগিতায় পূজা আয়োজন করতে পারবো।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার (এসপি) আরেফিন জুয়েল বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসারসহ অন্যান্য বাহিনী মাঠে থাকবে। মণ্ডপগুলোতে কয়েক ভাগে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions