প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ-সরকারের নানা কাজে অসন্তোষ বিএনপির,সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় জামায়াত

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৫০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে সরকারের বিভিন্ন কাজে অসন্তোষ জানিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা পদায়ন করছেন বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি।
জামায়াতে ইসলামী সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কাছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে বলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। বাম গণতান্ত্রিক জোট সংস্কারের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে। দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন দাবি করেছে এবি পার্টি। গতকাল শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় সংলাপে এসব দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দল ও বিভিন্ন সূত্র।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ, গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
সংলাপের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, আরও কয়েকটি কমিশন গঠিত হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান থাকবে সংলাপ।
স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও আইন উপদেষ্টার কাজে নাখোশ বিএনপি আরও কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়োগ দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানিয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য কী– এমন প্রশ্নে মাহফুজ আলম বলেন, উপদেষ্টারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করছেন কিনা, তা মূল্যায়নে আরও সময় দেওয়া প্রয়োজন। সব দল সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে দাবি করে মাহফুজ আলম বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গণহত্যায় জড়িতদের বিচারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। গণহত্যার মূল ক্রীড়নক শেখ হাসিনা; তিনিসহ জড়িত সবাইকে বিচারের দাবি জানিয়েছে দলগুলো।

মাহফুজ আলম বলেন, ছয়টি সংস্কার কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অভিমত জানতে চাওয়া হয় সংলাপে। সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতার মত পোষণ করেন। নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে কথা হলেও তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হয়নি বলে জানান মাহফুজ আলম।

শফিকুল আলম বলেন, সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলো রাজনৈতিক দল ও অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। এর পর সরকার আবার কথা বলবে। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যে আসবে। রাজনৈতিক দলগুলো একটি ন্যূনতম ঐকমত্যে এলে এর ওপর নির্ভর করবে নির্বাচনের টাইমলাইন (সময়সীমা)।
প্রেস সচিব প্রধান উপদেষ্টার বরাতে জানান, সংস্কার কাজের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ এগিয়ে যাবে। তবে এর নির্দিষ্ট সময়সীমা জানাতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন শফিকুল আলম।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির ছয় প্রতিনিধি দুপুর আড়াইটা থেকে এক ঘণ্টা সরকারপ্রধানের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন। এর পর সাংবাদিকদের বিএনপি মহাসচিব বলেন, নিয়োগ আইন স্থগিত করে প্রধান রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে হবে। এর পর ইসি কবে নাগাদ নির্বাচন করবে, সেই রোডম্যাপ দিতে বলেছি।
বৈঠক সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন কাজে অসংগতি রয়েছে বলে বিএনপি প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ জানান। শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইনের অপসারণ চাওয়া হয়।
বৈঠকে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, জাতিসংঘের তদন্ত দলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে না। ‘আয়নাঘর’খ্যাত গোপন বন্দিশালাসহ বিভিন্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে না। জাতিসংঘের তদন্ত দল এবং গুম-সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনকে সরকারি সব সংস্থা যেন সহায়তা করে। জাতিসংঘকে সহায়তা না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এর দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির নেতাদের ভাষ্য, শেখ হাসিনা আমলের গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত জিয়াউলকে ‘জামাই আদর’ করা হচ্ছে।
ইসি সংস্কারে গঠিত কমিশনের দুই সদস্য জেসমিন টুলী ও আবদুল আলীমের বিষয়েও আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি। উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর বিষয়েও ক্ষোভ জানায় দলটি।

সংলাপে কী কথা হয়েছে– প্রশ্নে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে না যায়। ফ্যাসিস্ট সরকারের ভুয়া ভোটে নির্বাচিত সব ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল চেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে নির্বাচন কমিশনে যারা ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন– ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান এক নম্বর অগ্রাধিকার।’ বিএনপির দাবির বিষয়ে সরকারপ্রধানের অবস্থান কী– প্রশ্নে দলটির মহাসচিব বলেছেন, ‘বিষয়গুলো অত্যন্ত সহযোগিতার সঙ্গে তারা দেখছেন।’
প্রশাসনে ফ্যাসিবাদের দোসর এখনও আছে দাবি করে তাদের অপসারণ, জেলা প্রশাসক পদায়নে নতুন ফিটলিস্ট প্রণয়ন এবং যে জেলা প্রশাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের পদায়ন বাতিলের কথা বলেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।

ছয় সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। দলটির মহাসচিব বলেন, সরকারের মধ্যে দুয়েকজন আছেন, যারা বিপ্লব-গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনাকে ব্যাহত করছেন। তাদের সরানোর কথা বলেছি। হাইকোর্টে এখনও দলীয় ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৩০ বিচারপতি বহাল তবিয়তে আছেন। দলকানা বিচারকদের অপসারণ এবং অতিদ্রুত পিপি ও জিপি নতুনভাবে নিয়োগের কথা বলেছি। সাবেক এমপি-মন্ত্রীরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে, কারা সহযোগিতা করছে, তা খতিয়ে দেখতে সরকারপ্রধানকে বলেছি।

শেখ হাসিনা ভারতে থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ফখরুল। তা বন্ধে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারে তিনি দাবি জানান। তিনি বলেন, দুর্গাপূজা ঘিরে সনাতনী কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দিচ্ছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

জামায়াত চায় দুই রোডম্যাপ
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে দলটির পাঁচ সদস্য সংলাপে অংশ নেন। এরপর ব্রিফিংয়ে শফিকুর রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি। তারা ভোটের পরিবেশ তৈরিতে এসেছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আগামী বুধবার রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
জামায়াত আমির বলেন, নিরপেক্ষ ও ভালো নির্বাচনের জন্য সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চাই। যৌক্তিক সময় কতদিন তা বুধবার জানাব। জামায়াত সরকারের কাছে দুটি রোডম্যাপ চেয়েছে। একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। অবাধ নির্বাচনের জন্য মৌলিক কিছু সংস্কার করতেই হবে। কী কী মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত, সে বিষয়ে কথা বলেছি।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সংস্কারে গঠিত কমিশনের সদস্যদের নিয়ে নিজেদের ভিন্নমত তুলে ধরা হয় বৈঠকে। পরে ব্রিফিংয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা দলগতভাবে কনসার্ন নই।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও পূজা নিয়ে কথা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে একটা অভূতপূর্ব দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মের ভাইবোনরা উদযাপন করতে পারবেন।
জামায়াতের প্রতিনিধি দলে ছিলেন নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

নিয়মিত সংলাপ চায় গণতন্ত্র মঞ্চ
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ততা এবং নিয়মিত সংলাপের কথা বলেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। দরকার হলে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক বৈঠক চান মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আন্দোলন হয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কারের, যাতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র করা যায়। আবার যাতে ফ্যাসিবাদ না ফিরে। পুলিশসহ প্রশাসনে এমন কিছু দেখছি, যা উদ্বেগের।
গণতন্ত্র মঞ্চের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

সংস্কারের পর নির্বাচনের রোডম্যাপ
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করে রোডম্যাপ ঘোষণার প্রস্তাব করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সংলাপে তারা বলে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হবে না। তাই নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এখনই শুরু করা প্রয়োজন।
বৈঠকে বাম জোটের প্রতিনিধি দলে সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের প্রধান উপদেষ্টা খালেকুজ্জামান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ইকবাল কবির জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু এবং সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী ছিলেন।
রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এখনও রোধ হয়নি। জনগণ যদি আশাহত হয়, তাহলে কোনো ভালো কাজ বা সংস্কারের কথা শুনবে না।

দুই বছরের মধ্যে নির্বাচন চায় এবি পার্টি
দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেছে এবি পার্টি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দলটি ছয় দফা পর্যবেক্ষণ ও ১১ দফা প্রস্তাবনা পেশ করে। এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব মিনার, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ও সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি।
দলটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাজে গতিশীলতা দেখা গেলও বাকিরা মন্থর। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও গণহত্যার সহযোগীরা রয়েছে। পুলিশ বাহিনী অকার্যকর, দুর্বল ও নৈতিক মনোবলহারা। সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি। গণঅভ্যুত্থানের শক্তির মধ্যে বিভেদ দেখা যাচ্ছে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয় না থাকার বিষয়টিও দৃশ্যমান। সংস্কারে গঠিত কমিশনগুলো কাজ শুরু না করায় হতাশা দেখা দিয়েছে।

ইসলামী আন্দোলন আরও ৯ কমিশন চায়
ইসলামী আন্দোলনের আমির তথা চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম সরকারপ্রধানের সঙ্গে সংলাপে আরও ৯টি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো– আইন, নাগরিক, পররাষ্ট্র, শিক্ষা, বাকস্বাধীনতা, স্বাস্থ্য, শ্রমজীবী, সংখ্যালঘু ও নৃগোষ্ঠী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন।
এ ছাড়া সংলাপে অংশ নেয় হেফাজতে ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদসহ আরও কয়েকটি দল।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions