ডেস্ক রির্পোট:-ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরবর্তী গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশ হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন। গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে ভারতেই রয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠেছে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হওয়ার কারণে আর কত দিন ভারতে থাকতে পারবেন তিনি।
এ কারণেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে জল্পনা উঠেছে অচিরেই ভারত ছাড়তে হবে শেখ হাসিনাকে।
তবে ভারত ছেড়ে কোথায় যাবেন, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কিভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন। জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এমন খবর ঢাকার সরকারি একটি মহলকে জানানো হয়েছে।
একাধিক সূত্র বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিককে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে করে দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করেন তাঁরা। এর পর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার, যার প্রধান করা হয়েছে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। এরপর প্রায় দুই মাস পার হয়ে গেছে। পাল্টে গেছে অনেক সমীকরণ, অনেক কিছু।
শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন।
কিন্তু শেখ হাসিনা প্রায় দুই মাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তাঁর বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখনো তিনি কিভাবে ভারতে অবস্থান করছেন, তা পরিষ্কার নয়। ভারত সরকারও বিষয়টি পরিষ্কার করেনি।