সাবধান, পাশেই ভারতের দালাল!

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৬০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সাবধান! আপনার পাশেই সাধু বেশে চেয়ারে বসে আছে ভারতীয় দালাল। সে আপনার আগামী দিনের ভাগ্য পরিবর্তন করার দায়িত্ব নিচ্ছেন। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিলেটের কানাইঘাটের দনা সীমান্তের জঙ্গলে কলাপাতার বিছানায় ঘুমিয়ে ধরা খেয়েছেন। মুরগি কবিব খ্যাত ঘাদানিকের শাহরিয়ার কবির কারাগারে। শেখ হাসিনা দিল্লিতে এবং তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রে বসে প্রতিবিপ্লব ষড়যন্ত্রের ডিমে তা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যাক্তিত্ব ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পুনর্গঠনে হাত দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র তার পাশে রয়েছে। এই সুযোগে এলিট শ্রেণি (সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, এনজিও ব্যাক্তিত্ব) কিছু ব্যাক্তি ড. ইউনূসের ওপর ভর করে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তারা কী দিল্লির নীল নকশা অনুযায়ী বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করবেন? দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তার বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাসছে। অতএব দেশবাসী সাবধান!

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের উদ্যোগ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। কিন্তু বাংলাদেশপন্থী বিশেষজ্ঞ মেধাবীদের দায়িত্ব দেয়া উচিত ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ড. ইফতেখারুজ্জানকে। তিনি প্রচুর পড়াশোনা জানা জ্ঞানী এবং ধীরস্থির মানুষ। কিন্তু তার চেতনায় আওয়ামী লীগ ও পক্ষপাতে ভারতপ্রীতি রয়েছে। ২০০০ সালের দেশের আওয়ামী লীগের দুর্নীতির দায় তিনি ২০০১ সালে বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন। ড. ইফতেখারুজ্জামান যোগ্য ব্যাক্তিত্ব হলেও তার নিরপেক্ষতা ও দেশের আমজনতার কাছে গ্রহণযোগ্যতা নেই। দুদকে আরো উপযুক্ত গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ কাউকে দায়িত্ব দেয়া যেত। প্রতিবেশিী দেশের চেতনাধারী ও পতিত আওয়ামী লীগ প্রীতি সুশীলকে দিয়ে দুদকের কতটুকু সংস্কার হবে সে প্রশ্ন রয়ে যায়।

সুলতানা কামালের সাগরেদ ড. ইফতেখারুজ্জামান আওয়ামী লীগের ২০০০ সালের শাসনামলের দুর্নীতির চিত্র বিএনপির শাসনামলে ২০০১ সালে তুলে ধরে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেন। আওয়ামী লীগের দুর্নীতির দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দিয়ে টানা ৫ বছর (টিআই’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল) দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের দুর্নীতির শাখা প্রশাখা ডালপালা ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়লেও শেখ হাসিনাকে খুশি করতে বার্ষিক দুর্নীতির প্রতিবেদনে সুচকে বিশ্লেষণ পাল্টে ফেলা হয়। উন্নয়ন এবং মহাপ্রকল্পের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও বিদেশে টাকা পাচার হলেও শেখ হাসিনার শাসনের ১৫ বছর চাতুরিতা করে ইফতেখারুজ্জামানের সংস্থা টিআইবির হিসেবে ইনিয়ে বিনিয়ে বাংলাদেশে দুর্নীতি কমে যাওয়ার চিত্র দেখানো হয়। শেখ হাসিনা পালালেও সেই ইফতেখারুজ্জামান এবার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের এক সময় নাম ছিল দুর্নীতি দমন ব্যুরো। এই ব্যুরো দুর্নীতি দমনের নামে ক্ষমতাসীন সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান ছিল। সরকারের আজ্ঞাবহ অবস্থা থেকে বের করে এনে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সশাসিত সংস্থা গঠন করতে ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নাম পরিবর্তন করে দুর্নীতি দমন কমিশন করা হয়। ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ প্রবর্তন করা হলেও ২০১৯ সালে এ বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। বিধিমালা প্রণয়ন ও নাম পরিবর্তন করলেও দুর্র্নীতি দমন কমিশন রয়েছে আগের মতোই।

অন্তর্বর্তী সরকার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারে ৬টি কমিশন গঠন করেছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। তিনি জানান, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে সাংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকের নাম প্রথমে ঘোষণা করা হলেও গতকাল বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক, আটলান্টিক কাউন্সিলের সিনিয়র অনাবাসিক ফেলো ও আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের (এআইবিএস) প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ভাষণেই বলেন, ‘কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশনপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। পূর্ণাঙ্গভাবে গঠিত হওয়ার পর কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী ১ অক্টোবর থেকে কাজ রু করবে।

প্রশ্ন হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন যার নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিনি কি সত্যিই দেশের ছাত্র-জনতার প্রত্যাশিত দুর্নীতি দমন কমিশন জাতিকে উপহার দিতে পারবেন? নাকি দুর্নীতি দমন কমিশনে সংস্কারের নামে কৌশলে দিল্লির নীল নকশার কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করবেন? এ শঙ্কা দেশের ছাত্র জনতার মধ্যে রয়ে গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। কারণ শেখ হাসিনাসহ তার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ভাগিনী টিউলিপ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এমপি, আমলা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, সাবেক সেনাপ্রধান ও শেখ হাসিনার সিণ্ডিকেটের শতাধিক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি এবং বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছেভ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এ অবস্থায় সংস্কারের নামে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ভোতা অস্ত্রে পরিণত করা হয় কিনা তানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন। তরুণ রাজনীতিকি ববি হাজ্জাজের মতে ‘ভারত ১৫ বছর শেখ হাসিনার উপর অনেক লগ্নি করেছে। দিল্লি মনে করেছিল হাসিনার মাধ্যমে বাংলাদেশে যুগের পর যুগ নিজেদের শাসন অব্যাহত রাখবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দিয়ে ভারতের ইমপেরিয়াল ডিজাইন বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছে। ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনাহত্যার মধ্য দিয়ে সেটা শুরু করেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে হাসিনা পালানোয় তাদের লগ্নি ডুবে গেছে। হাসিনা আর বাংলার মাটিতে দাঁড়াতে পারবেন না। এখন ভারত অন্য পন্থায় নিজেদের নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে’।

শেখ হাসিনা পালানোর পর ভারত ড. ইউনূসের ‘বাংলাদেশকে শান্তিতে থাকতে না দিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে সে প্রভাব পড়বে’ এবং ‘শেখ হাসিনা দিল্লিতে যতদিন থাকবেন তাকে চুপ থাকতে হবে’ বক্তব্য ভারত ভালভাবে নিতে পারেনি। ফলে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিপাকে ফেলতে একের পর এক প্রতিবিপ্লবের ট্রামকার্ড ছুঁড়ছে। আর দেশে থাকা দিল্লির এজেন্টরা তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। সংখ্যালঘু নির্যাতন, জুডিশিয়াল ক্যূ, ১৫ আগস্ট ঢাকায় ১০ লাখ লোকের সমাগম, আনছার দিয়ে সচিবালয় ঘেড়াও, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দাবি দাওয়ার আন্দোলন, গার্মেন্টস সেক্টরে বিশৃংখলা ভারতের কোনো কার্ডই সফল হয়নি। এখন দেশটি বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কারে ‘নিজেদের লোক’ ঢুকিয়ে ফায়দা নিতে চায়। আধুনালুপ্ত আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইউটিউবে প্রচারিত এক অনলাইন টকশোতে বলেছেন, ‘৬ জন বিশিষ্ট ব্যাক্তিকে সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে বিশিষ্টজন হতে তিনটি গুন থাকা অপরিহার্য। প্রথমত বিশিষ্টজন হতে হলে তাকে ভারতপন্থী হতে হবে, দ্বিতীয়ত ইসলাম বিদ্বেষী হতে হবে এবং তৃতীয়ত ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা দৈনিক পত্রিকার চেতনা ধারণ করতে হবে। বর্তমান সরকার যাদের নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বেশির ভাগই এই শ্রেণির বিশিষ্টজন হিসেবে চিহ্নিত।’

২০০৭ সালের ফখরুদ্দিন-মঈন উ আহমদ সরকারে এই আলোচিত দুটি গণমাধ্যম নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তারাই মূলত মাইন্যাস টু ফর্মুলার প্রচার করেছিল। অতপর শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনালে হাসিনার সঙ্গে বিরোধ নাটক করলেও সব সময় দিল্লির তল্পীবাহকের ভুমিকা পালন করেছে, এখনো পরিবর্তন হয়নি। ‘বিএনপি ঠেকাও’ ধোঁয়া তুলে ১৫ বছরে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে মনস্টার বানিয়েছে। ৮ আগস্ট ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ভারতের চেতনাধারী ওই গণমাধ্যম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিয়ে এক সেমিনারের আয়োজন করে নিজেদের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সেখানেও ড. ইফতেখারুজ্জামান নানান ছবক দেন।

হাসিনার নানামুখি ষড়যন্ত্র, ভারতের চানক্যনীতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে বশীকরণের চেষ্টার মধ্যেই ড. ইউনূস দেশ পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়েছেন। নিরহংকার নির্লোভ ড. ইউনূস একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত সোমবার এক জনসভায় স্পষ্টভাবে বলেছেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার হাজারো রক্তের বিনিময়ে, লাখো কোটি ছাত্রজনতার অভ্যূত্থানের ফসল। এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।’ সারাদেশের ১৭ কোটি মানুষ বর্তমান সরকারের সঙ্গে রয়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, পলাতক শেখ হাসিনা দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে ফোকলা করে গেছেন। প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতির স্বার্গরাজ্যের পরিণত করেছেন। প্রশাসনের সচিব থেকে শুরু করে পিওন পর্যন্ত দলীয়করণ করে গেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আওয়ামী লীগের শাখা প্রশাসায় রুপান্তর করেছেন। এ অবস্থায় ড. ইউনূসের দেশপুনর্গঠনে সংস্কার কার্যক্রমে হাত দিয়েছেন। তাকে সহায়তা করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অপরিহার্য। কিন্তু মনে রাখতে হবে আড়াই দশক আগে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রধান মোল্লা ওমরকে উৎখাত করে হামিদ কারজাইকে প্রেসিডেন্ট করা হয়েছিল। সেই হামিদ কারজাই থেকে শুরু করে আশরাফ গানির সরকার পর্যন্ত আফগানিস্তান পুনর্গঠনে কাবুলে যুক্তরাষ্ট্রের চৌকিদারের দায়িত্ব পালন করেছে ভারত। ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে তালেবানদের কাবুল দখলের সময় আশরাফ গানি পালিয়ে যাওয়ার পর ভারতের পরিণতি কি হয়েছিল বিশ্ববাসী জানে। অতএব ভারতের চেনতাধারীদের দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কার কতটুকু সফল ও টেকসই হবে সেটা ভেবে দেখার এখনোই সময়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions