শিরোনাম
তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে— সাইফুল ইসলাম শাকিল পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তার জন্য কাজ করতে হবে–সন্তু লারমা রাঙ্গামাটিতে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধ দগ্ধ বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বাম দলগুলো ডেঙ্গুতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বিএনপির শতাধিক নেতার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ছিল দেশের স্বার্থবিরোধী প্রকল্প ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন দল ঘিরে রাজনীতিতে নানা সমীকরণ,নাম-নেতৃত্ব-কমিটি ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হয়নি

১০৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ রেখে গেছেন হাসিনা

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১১০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ছাত্র-গণ আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়ার সময় শেখ হাসিনা ১০৩.৭৯ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ রেখে গেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ( প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা।

১৫ বছর আগে শেখ হাসিনা দায়িত্ব নেওয়ার সময় বৈদেশিক এ ঋণের পরিমাণ ছিল ২১.১৯ বিলিয়ন ডলার।

এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রের। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করে।

তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের শেষে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ স্থিতি ছিল ১০০.৬৪ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ৩.৩৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত মার্চে দেশের মোট বিদেশি ঋণ কমে ৯৯.৩০ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল। কিন্তু ডলার সংকটসহ নানা কারণে বিদেশি সংস্থাগুলো থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে আবার বেড়ে ১০৪ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব ঋণের বেশির ভাগই নেওয়া হয়েছে দর-কষাকষি ছাড়া ও বাছবিচারহীনভাবে, যা সরকারের দায়দেনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়িয়েছে।

তথ্যে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুন শেষে বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ২০.৫৭ বিলিয়ন ডলার। ডিসেম্বর শেষে এ ঋণ ছিল ২০.৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের অক্টোবর শেষে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২১.২৮ বিলিয়ন ডলার থাকলেও চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৯ মাসে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ কমেছে ৭০৬ মিলিয়ন ডলার।

বেসরকারি এ ঋণের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জুন পর্যন্ত মোট বিদেশি ঋণের ১১.৪০ বিলিয়ন স্বল্পমেয়াদি ও ৯.১৭ বিলিয়ন ডলার দীর্ঘমেয়াদি ঋণ।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ঋণ বাড়লেও পরিশোধ করার সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে সরকারকে। তাহলে এ ঋণ কোনো শঙ্কা তৈরি করবে না।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মেগাপ্রকল্পগুলো, যেমন- পদ্মা বহুমুখী সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এসব করতে গিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

দুঃখজনক হলো এসব ঋণের অর্থে চলমান প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যখন সম্পন্ন হবে তখন প্রকল্পগুলোর আয় থেকে ঋণের কিস্তির অতি সামান্য অংশই পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলেন এ অর্থনীবিদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions