ডেস্ক রির্পোট:- সাড়ে তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রফিকুল ইসলাম নামের এক মাদরাসাছাত্র গুলিতে নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) নিহত রফিকুল ইসলামের বাবা আবদুল জব্বার বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলাটি করেন।
চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম রশিদুল হক, হাটহাজারী থানার সাবেক ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মঈন উদ্দিন রুহীকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি শাহাদাত হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুম, হাটহাজারী থানার সাবেক পরিদর্শক রাজীব শর্মা, চট্টগ্রামের জেলার ডিবির ওসি কেশব চক্রবর্তী, হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদুল আলম, ইউনুস গণি চৌধুরী, ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, হাটহাজারী পৌরসভার সাবেক প্রশাসক মনজুরুল আলম চৌধুরীকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মইনুদ্দিন রুহি ও মাওলানা সলিমুল্লাহকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তার আগমনের প্রতিবাদে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মইনুল ইসলাম মাদরাসা থেকে মিছিল বের করেছিলেন হেফাজতের নেতাকর্মী ও মাদরাসার ছাত্ররা। সেখানে গুলিতে রফিকুল ইসলামসহ মাদরাসার চার শিক্ষার্থী নিহত হন। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এই প্রথম মামলা করা হলো।