রাঙ্গামাটি:- দ্বিতীয়বারের মতো কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের সময়সীমা বাড়ানো হলো আরো ২৩দিন। এতে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হবে।
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বিষয়ক হ্রদ ব্যবস্থাপনার কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই সভায় উপস্থিতিদের মতামতের ভিত্তিতে হ্রদের পানি হিসাবে নিয়ে এবং মাছের সুষ্ঠু বংশবৃদ্ধিসহ অবমুক্ত করা পোনা সঠিকভাবে বেড়ে উঠার লক্ষ্যে বন্ধের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হয়। এর আগে গত ২৪ জুলাই প্রথমধাপে ১৫ দিনের সময় বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিবছর কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকে। কিন্তু সময় বৃদ্ধির ফলে এবার চার মাস সাতদিন পর মৎস্য আহরণ শুরু হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএফডিসি) রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, ব্যবসায়ী ও জেলেদের চাহিদা এবং তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হবে।
হ্রদে প্রায় ২৭ হাজার জেলে মাছ ধরেন উল্লেখ করে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, ব্যবসায়ীরাও এর সঙ্গে জড়িত। এটা ঠিক যে, দীর্ঘদিন মাছ শিকার বন্ধ থাকায় এখানকার ভোক্তারা প্রাণীজ আমিষ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কিন্তু সবার স্বার্থ বিবেচনা করেই সময় আরও কিছুটা বাড়িয়ে ১ সেপ্টেম্বর হ্রদ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. মোশাররফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, বিএফডিসি ব্যবস্থাপক আশরাফুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাশ, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইশতিয়াক হায়দারসহ মৎস্য ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, হ্রদে অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণসহ হ্রদের প্রাকৃতিক পরিবেশ মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির সহায়ক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতি বছর মে থেকে জুলাই পর্যন্ত মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। তবে গত কয়েকবছর ধরে মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাসের পরিবর্তে চার মাস ধরে বন্ধ রাখা হচ্ছে মৎস্য আহরণ।