রাঙ্গামাটি:- পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে সংবিধানের আলোকে কোটা সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙ্গামাটি জেলা শাখা।
বুধবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, ও পিসিসিপি রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী চরম অবহেলিত, পশ্চাৎপদ ও নিপীড়িত বাঙালি জনগোষ্ঠীকে যথাযথ কোটা সুবিধা দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যান্য বঞ্চিত ও পশ্চাৎপদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহকেও জনসংখ্যা অনুপাতে কোটা সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠী ১৯৯১ সাল হতে গত প্রায় তিন যুগ ধরে অনগ্রসর কোটার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের এই বৈষম্য, বঞ্চনা ও জুলুমের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) এর দুই দফা দাবি নিম্নরুপঃ
১। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অনগ্রসর বাঙালি জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংবিধানের ১০৪ এবং ১০৭ অনুচ্ছেদের আলোকে অনগ্রসর কোটা সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি সকল জাতীগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা জনসংখ্যা অনুপাতে ভাগ করে দিতে হবে। জনসংখ্যা অনুপাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য প্রদত্ত কোটা’কে পুনঃবন্টন করে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালি ৫০ শতাংশ, চাকমা ২৪ শতাংশ, মারমা ১১ শতাংশ, ত্রিপুরা ৬ শতাংশ, ম্রো ৩ শতাংশ, তঞ্চঙ্গ্যা ৩ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ৩ শতাংশ হারে নির্ধারণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।