ডেস্ক রির্পোট:- আগামীকাল নানা নাটকীয় আয়োজনের মধ্যদিয়ে পর্দা উঠবে প্যারিস অলিম্পিক গেমসের। প্রথম বারের মতো গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে স্টেডিয়ামের বাইরে কোন নদীতে। যার পুরো প্রস্তুতি চলছে প্যারিস জুড়ে। তার আগে প্যারিসের চারশ কিলোমিটার অদুরে সেন্ট এটিনে স্টেডিয়ামে এক ‘নাটক’ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। আর্জেন্টিনা মরক্কোর ৯০ মিনিটের ফুটবল ম্যাচ গড়াল সাড়ে চার ঘণ্টায়। মাঝখানে বিরতিই ছিল প্রায় দু ঘণ্টার বেশি সময়। দর্শকদের অশান্তির মাঝে গোল বাতিল, সবমিলিয়ে তুমুল উত্তেজনা দেখা গেল গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ২-২ গোলে ড্র করে আর্জেন্টিনা ম্যাচ হারলো ২-১ গোলে। এহেন ঘটনা দেখে স্তম্ভিত লিওনেল মেসিও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মরক্কোর আক্রমণের সামনে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই রহিমির গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো।
বিরতীর পরে তিনিই ফের গোল করে দলকে ২-০ এগিয়ে দেন। তবে ৬৮ মিনিটে আর্জেন্টিনার হয়ে একটি গোল করেন জিউলিয়ানো সিমিয়নে। তার পর থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত চেষ্টা করলেও গোলের জালে আর বল জড়াতে পারেননি লা আলবিসেলেস্তেরা। ১৫ মিনিট সংযুক্ত সময় দেন রেফারি। সেই সিদ্ধান্তেই ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন মরক্কো সমর্থকরা। কারণ ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল তাঁদের দল। নির্ধারিত সময়ের শেষে রেফারি বাঁশি বাজালেই তাঁদের জয় নিশ্চিত। কিন্তু খেলা শেষ তো দূর, ১৬ মিনিট পর্যন্ত চলে যোগ করা সময়ের খেলা। ১০৬ মিনিটে গিয়ে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেন মেদিনা। সেই দেখে আর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে মাঠে নেমে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মরক্কোর সমর্থকরা। শুরু হয় বোতলবৃষ্টি। ফুটবলারদের দিকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে আতশবাজি। চমকে ওঠেন আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। কেউ আহত হয়েছেন কি না এখনও জানা যায়নি। মাঠে ঢুকে পড়েন মরক্কোর সমর্থকেরা। কেন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যাওয়া হল, এই রাগে ফেটে পড়েন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশ মাঠে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অনেকেই ভেবেছিলেন, ম্যাচ হয়তো ওখানেই শেষ হয়ে গিয়েছে। ২-২ ড্র হয়েছে খেলা। কিন্তু অলিম্পিকের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ম্যাচ স্থগিত রয়েছে। দর্শকদের প্রবল উত্তেজনা থামার পরে মাঠ খালি করে দেওয়া হয়। প্রায় দুঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পরে ফাঁকা মাঠে ফের খেলতে নামে দুই দল। তবে বল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ১০৬ মিনিটে করা মেদিনার গোল ভার দেখে বাতিল করে দেন রেফারি। তার মিনিট খানেক পরেই খেলা শেষের বাঁশি বাজান রেফারি। ২-১ ফলে ম্যাচ শেষ হয়।
গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত ফুটবলবিশ্ব। খেলার ছবি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে শেয়ার করে মেসি লেখেন, “অবিশ্বাস্য”। প্রশ্ন অনেকের মনেই, ৯০ মিনিটের ম্যাচে কেন ১৬ মিনিট যোগকরা হলো? তার পর দুই ঘণ্টা পরে কেন আবার দু;দলকে মাঠে নামানো হলো, তাও আবার এক মিনিটের জন্য?