শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

চুনোপুঁটি নিয়ে ব্যস্ত খুলনা দুদক

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৭৮ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে এখন সরগরম দেশ। তৎপর হয়ে উঠেছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)। প্রতিদিনই বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান এবং সম্পদ জব্দের তথ্য আসছে। তবে অনেকটাই বিপরীত চিত্র দেশের অন্যতম বাণিজ্য এলাকা খুলনায়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার কর্মকর্তাদের নজর যেন শুধু চুনোপুঁটি ধরায়। দুর্নীতির রাঘববোয়ালরা তাই থাকছেন অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সাতটি মামলা এবং ছয়টি অভিযোগপত্র দিয়েছে খুলনা দুদক। এতে আসামি করা ৩১ জনের বেশির ভাগই নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী। টাকার অঙ্কে অনিয়মের পরিমাণও কম। অথচ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিন, খুলনার প্রভাবশালী কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ উচ্চপদস্থদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান যেন শেষই হচ্ছে না।

অবশ্য খুলনা দুদক কর্মকর্তাদের দাবি, আগামী দুই মাসের মধ্যে বড় কিছু অভিযোগের অনুসন্ধান শেষ হবে। এতে বেশ কয়েকজন বড় মাপের দুর্নীতিবাজ ধরা পড়বেন।

বড় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ধীরগতি
খুলনায় প্রিপেইড মিটার তৈরির কোম্পানি খুলে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু হয় ২০২৩ সালের মে মাসে। ১৮০ দিনের মধ্যে এ তদন্ত শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে এক বছর পার হলেও তদন্ত শেষ হয়নি। কোন পর্যায়ে আছে, সেটা নিয়েও মুখ খোলেননি দুদক কর্মকর্তা।

এছাড়া ভুয়া রপ্তানি বিল তৈরি করে রূপালী ব্যাংকের প্রায় ১১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির কর্মকর্তার পাশাপাশি মেসার্স বায়োনিক সি ফুড এক্সপোর্ট লিমিটেড, মেসার্স প্রিয়াম ফিশ এক্সপোর্ট লিমিটেডসহ চার কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় গত বছরের জুলাইয়ে। প্রায় এক বছরেও সেই অনুসন্ধান শেষ হয়নি।

এ ছাড়া জেলার আলোচিত ওসি মমতাজুল হক, তৈমুর হোসেন ও মোংলা বন্দরের প্রধান প্রকৌশলী এস কে শওকত আলীর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। ২০২২ সালের শেষ দিকে শুরু হওয়া সেই তদন্ত এখনও চলছে।

এ নিয়ে খুলনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কুদরত ই খুদা বলেন, দুদককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। বড় দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে ধীরে চলো নীতি এবং অপেক্ষাকৃত ছোটদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপে মানুষের কাছে ভিন্ন বার্তা যাবে।

ছয় মাসে ৭ মামলায় আসামি নিম্নপদস্থরা
গত ৩১ জানুয়ারি বছরের প্রথম মামলাটি করে খুলনা দুদক। এতে মহানগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা সাব-কন্ট্রাক্টর নুরুল ইসলাম রতনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এর পর ২২ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদরের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে ১৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার এবং স্ত্রী শারমিন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৪ লাখ ১১ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা হয়।

এ ছাড়া ৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার গাবুরা ইউপি সদস্য জি এম আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, ২ মে খুলনা মহানগর পুলিশের এসআই সোহেল রানার বিরুদ্ধে ১০ লাখ ৬১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন, ২০ মে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ও রুহুল আমিন নামে খুলনার এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ টাকায় স্লুইসগেটের শিট পাইলিংয়ে অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয়।

সবশেষ ১১ জুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক কাজী আবু হাফিজ ফসিউদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৫২ লাখ ৬৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে।

এদিকে আগের ছয়টি মামলায় তদন্ত শেষে দেওয়া অভিযোগপত্রের আসামিরাও নিম্নপদস্থ। এর মধ্যে দুটি ক্ষেত্রেই শুধু টাকার অংশ কোটি ছাড়িয়েছে।

দুদক কর্মকর্তাদের ভাষ্য
খুলনা দুদকের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, বর্তমানে ১০৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান এবং ৬৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। খুলনা কার্যালয়ে কর্মকর্তা আছেন ছয়জন। তাদের কাঁধেই এই ১৭১টি ফাইল রয়েছে। এ জন্য অনুসন্ধান ও তদন্তে সময় লাগছে বেশি। এ ছাড়া দুর্নীতিবাজরা সব সময় ফাঁকফোকর খুঁজে নেয়। এ কারণে মামলা করতে এবং অভিযোগপত্র দিতে অনেক যাচাই-বাছাই করতে হয়। এতেও সময় বেশি লাগে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions