ডেস্ক রির্পোট:- মুন্সীগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের দ্বন্দ্বে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারকে (৪৫) প্রকাশ্যে গুলিতে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ১টার দিকে জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও বাজার এলাকার আলহাজ ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তিনি ২০২৩ সালের মার্চে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ১০টা থেকে পাঁচগাঁও ওয়াহেদ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন চলছিল। নির্বাচনে বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা দেওয়ান মনিরুজ্জামান এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলেনুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে মনিরুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদার। আর মিলেনুরের সমর্থক ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ ও নূর আহমেদ নামে দুই ভাই। মনিরুজ্জামান ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। এতে ক্ষিপ্ত হন পরাজিত প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা। বেলা পৌনে ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম সুমন হালদারের সঙ্গে নূর মোহাম্মদ ও নূর আহমেদের ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান সুমনকে সেখানে ফেলে প্রকাশ্যে বুকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টঙ্গিবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মৃত মকবুল হালদারের ছেলে নুর মোহাম্মদ, তার ছেলে সেকু নুর ও কাউসার নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকাে জড়িতরা সবাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিলেনুর রহমান মিলনের অনুসারী। টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রণয় মান্না সাংবাদিকদের বলেন, বেলা পৌনে ২টার দিকে সুমন হালদারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। নিহতের বুকের ডান পাশে নিচে একটি গুলির চিহ্ন আছে। টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা শোয়েব আলী বলেন, হত্যাকাে জড়িত থাকার অভিযোগে তাৎক্ষণিক কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।