ডেস্ক রির্পোট:- সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হকের ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকার জমি ও ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নির্দেশ দেন।
এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ফারজানা ইয়াসমিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর কাস্টমস কর্মকর্তার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সম্পত্তির মধ্যে গুলশানের জোয়ার সাহারায় ৬১ লাখ টাকার তিন কাঠা জমি, খিলক্ষেত্রে ৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৩৩ শতাংশ জমি, কাকরাইলের আইরিশ নূরজাহানে কমনস্পেসসহ ১ হাজার ১৭০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার মূল্য ২৮ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা, একই ভবনে কারপার্কি স্পেসহ ১ হাজার ৮৩৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এর মূল্য ৫১ লাখ ২৯০০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া কাকরাইলে ১ হাজার ৯০০ বর্গফুট ও ৩ হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটসহ কারপার্কিং, রয়েছে যার মূল্য ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাজীপুরে ৬২ লাখ ৪০ হাজার টাকার পাঁচ কাঠা জমি।
মোহাম্মদপুরে তিনটি বাণিজ্যিক ভবনে চার হাজার বর্গফুটের তিনটি স্পেস। যার প্রতিটির মূল্য ৭১ লাখ ৩৫ হাজার করে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে ১০ হাজার ৯৬৫ বর্গফুটের স্পেস রয়েছে, যার মূল্য ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এ ছাড়া গুলশানের ৭২ লাখ টাকার ২ হাজার ৪২৮ বর্গফুটের ফ্ল্যাট এবং বাড্ডায় চার কাঠা নাল জমি, যার মূল্য ১৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৯৭ হাজার ১০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনামুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে।
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি তাঁর মালিকানাধীন ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যা করতে পারলে এ মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালতের বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে চার্জশিট দাখিলের পর আদালতের বিচার শেষে সরকারের অনুকূলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সুবিধার্থে তথা সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা প্রয়োজন।