মতিউরের প্রথম স্ত্রী লাকির ক্ষমতার পেছনে রাজু-তালেব,স্ত্রীকে আওয়ামী লীগের পদ ‘উপহার’ দেন মতিউর

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪
  • ১০৬ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ছাগলকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি রাজাকারের নাতনি হিসেবে এলাকায় সর্বাধিক পরিচিত। কিন্তু আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর এই পরিচয় কোনো বাধা হতে পারেনি। অনুসন্ধান বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় অঢেল সম্পদ গড়ে তোলা মতিউর ‘উপহার’ হিসেবে স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকিকে আওয়ামী লীগের একটি পদ কিনে দেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর বলয়ে রাতারাতি আওয়ামী লীগার হয়ে যান লাকি।
এ জন্য নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেবের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ উৎকাচ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

স্থানীয় দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে চলা নরসিংদীর রাজনীতির অঙ্ক আচমকা বদলে যায় মতিউরের অর্থের জোরে। স্বামীর অবৈধ অর্থের পাল্লা এতটাই ভারী ছিল যে, লাকির বিপরীতে দাঁড়াতেই পারেননি কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। সাবেক মন্ত্রী রাজুর পাশাপাশি নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেবের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি।

সভাপতিকে বিপুল অর্থ দিয়ে স্ত্রীর জন্য জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ কিনে নেন মতিউর রহমান। তাঁর অবৈধ অর্থের জোরে লাকি গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হন।

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লায়লা কানিজ লাকি অধ্যাপনা ছেড়ে কোনো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই রাতারাতি আওয়ামী লীগার বনে যান। এ ঘটনায় ক্ষোভ আর বিস্ময় দলের অভ্যন্তরে।

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। লাকির নানা আবদুল কাদির মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। কষ্ট হয়, দুঃখ হয়, যখন এসব বিরোধীশক্তির পরিবারের লোকজন যখন এই সমাজটাকে গ্রাস করে ফেলছে।’

লাকির পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে জানান মরজাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সানজিদা সুলতানা নাছিমা। তিনি বলেন, লাকির নানা আবদুল কাদির ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারের ভূমিকায়।
তাঁর আপন চাচা মফিজ উদ্দিন মরজাল ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। মামা এহসানুল হক কাদির জোট সরকারের আমলে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।

এবার ঈদুল আজহার সময় মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মি আক্তারের সংসারের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। ছেলের বিলাসী জীবনযাপনের সূত্র ধরেই বেরিয়ে আসে মতিউর ও তাঁর পরিবারের অঢেল সম্পদের তথ্য। এরপর মতিউর ও তাঁর পরিবারের কাউকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। ঈদের পর কর্মস্থলেও যাননি তিনি। গত রবিবার মতিউর রহমানকে এনবিআর থেকে সরিয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। একই দিন তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি ঈদের পরদিন থেকে লায়লা কানিজ লাকিকেও রায়পুরায় দেখা যায়নি।

আলোচিত এই কর্মকর্তা ও তাঁর স্বজনদের নামে থাকা এখন পর্যন্ত ৬৫ বিঘা (দুই হাজার ১৪৫ শতাংশ) জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পত্তি তাঁর প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির নামে। তাঁর নামে প্রায় ২৮ বিঘা জমি ও পাঁচটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরে একটি ভবনেই রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট। কালের কণ্ঠ’র অনুসন্ধান এবং ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে লায়লা কানিজ লাকির দেওয়া হলফনামা ও আয়কর বিবরণী থেকে সম্পদের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তাঁর প্রকৃত সম্পদের সঙ্গে হলফনামায় দেওয়া সম্পদের হিসাবে রয়েছে ব্যাপক গরমিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় মতিউর রহমান বেশির ভাগ সম্পদ পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের নামে করেছেন। তাঁদের পুরো পরিবার বিলাসী জীবনযাপন করে। স্ত্রীকে আওয়ামী লীগের পদ কিনে উপহার দেওয়ার ঘটনাও বিলাসী জীবনযাপনের অংশ বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, মূলত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সঙ্গে বিয়ের পর কপাল খুলে যায় লাকির। গত ১৫ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। মরজাল এলাকায় ছোট একটি পার্ককে আধুনিক করে ইকো রিসোর্ট তৈরি করেন। তারপর সেই রিসোর্টে নিয়মিত যাতায়াত শুরু করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু। দিন দিন সখ্য বেড়ে যাওয়ায় ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি রাজুর হাত ধরে আওয়ামী লীগের বদ বাগিয়ে নেন।

নেতারা যা বলছেন

রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফজাল হোসাইন বলেন, ‘এমপি সাহেবের উৎসাহেই রাজনীতিতে এসেছেন লাকি। তাঁর পার্কে বসে এমপি সাহেব সময় কাটান। লাকির স্বামীর অবৈধ টাকার প্রভাবেই এমপি সাহেব তাঁর মতো রাজনীতিতে একটা আনাড়ি লোককে জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করেছেন। তৃণমূলের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে বানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানও। মূলত লাকিকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিরাট ক্ষতি করেছেন রাজু সাহেব।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগে লাকির পদ পাইয়ে দিতে শুধু রাজু ভাই নয়, অনেক কেন্দ্রীয় নেতাও সভাপতির কাছে সুপারিশ করেছেন। তাঁকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। পদ দিতে টাকা পয়সা নিয়েছে কি না আমার জানা নেই। তবে নানা লোকজন নানা কথা বলে। আর সেটা বলবেই।’

তবে অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন। তাঁর দাবি, ‘নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী অন্তর্ভুক্তির অংশ এটি। রায়পুরা এলাকার লায়লা কানিজ লাকি সমাজসেবক হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করেছেন। তাই আমরা তাঁকে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদকের পদ দিয়েছিলাম। এখন যেসব বিষয় বা অভিযোগ উঠে আসছে সেসব বিষয়ে আমার জানা নেই।’

এর আগে ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস ছাদেক ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে পদটি শূন্য হয়। এ ঘটনায় স্বেচ্ছায় অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে উপনির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোষণা দেন লাকি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হলে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ দেখান আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতারা। তবে কৌশলে সবাইকে হটিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা কানিজ লাকি। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ ইভিএমে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নও বাগিয়ে আনতে সক্ষম হন লায়লা কানিজ লাকি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই নির্বাচনে লাকির সহজে চেয়ারম্যান হওয়ার স্বপ্নে বাদ সাধেন প্রতিদ্বন্দ্বী ছয় প্রার্থী। এক পর্যায়ে অর্থের জোরে প্রভাব বিস্তার করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে অন্য ছয় প্রার্থীকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারে বাধ্য করিয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়লা। স্বামীর অবৈধ অর্থের জোরে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। ধারাবাহিকতায় আসন্ন নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি।

হলফনামার সঙ্গে প্রকৃত সম্পদের গরমিল লাকির

নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, লায়লা কানিজ লাকির সম্পদের মধ্যে ১৫৪ শতাংশ কৃষি জমি, রাজউকে পাঁচ কাঠা, সাভারে সাড়ে আট কাঠা, গাজীপুরে পাঁচ কাঠা, গাজীপুরের পুবাইলে ৬.৬০ শতাংশ ও ২.৯০ শতাংশ, গাজীপুরের খিলগাঁওয়ে পাঁচ শতাংশ ও ৩৪.৫৫ শতাংশ, গাজীপুরের বাহাদুরপুরে ২৭ শতাংশ, গাজীপুরের মেঘদুবীতে ৬.৬০ শতাংশ, গাজীপুরের ধোপাপাড়ায় ১৭ শতাংশ, রায়পুরায় ৩৫ শতাংশ, ৩৫ শতাংশ ও ৩৩ শতাংশ, রায়পুরার মরজালে ১৩৩ শতাংশ, সোয়া পাঁচ শতাংশ, ৮.৭৫ শতাংশ, ২৬.২৫ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ, শিবপুরে ২৭ শতাংশ ও ১৬.১৮ শতাংশ, শিবপুরের যোশরে ৪৪.৫০ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় এক একর ৬৬ শতাংশ জমি।

হলফনামা মতে, লাকির বার্ষিক আয় কৃষি খাত থেকে ১৮ লাখ টাকা, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট-দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, শেয়ার-সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানতের লভ্যাংশ থেকে তিন লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা, উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানি বাবদ এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৫ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে এক লাখ ১৮ হাজার ৯৩৯ টাকা।

নিজের নামে ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, যশোর ও নাটোরে মোট ৮৪৮.৩৩ শতাংশ (২৫.৭০ বিঘা) জমি থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন হলফনামায়। দিয়েছেন ফ্ল্যাটের হিসাব। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরের মাজার রোডের এক ভবনেই চারটি ফ্ল্যাটের নম্বর উল্লেখ করেছেন, যার মূল্য দেখিয়েছেন এক কোটি ৬১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।

ওই ভবনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে, ভবনটির একেকটি তলায় চারটি করে অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। একেকটির আয়তন এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৬০০ বর্গফুট। নির্মাণের শুরু থেকে হস্তান্তর পর্যন্ত প্রতি বর্গফুট সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। সর্বনিম্ন ধরলেও এই চারটি ফ্ল্যাটের দাম পড়ে অন্তত তিন কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর বাইরে আরো একটি ফ্ল্যাট থাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ থাকলেও ঠিকানা দেওয়া হয়নি। তবে তার মূল্য দেখানো হয় সাড়ে ৫৫ লাখ টাকা।

তিনি একটি মৎস্য খামারের মালিক বলেও উল্লেখ করেছেন। যে জমির হিসাব দিয়েছেন, তার মধ্যে পাঁচ জেলার ১৩টি অকৃষি জমির অর্জনকালীন দাম দেখিয়েছেন চার কোটি ২৪ লাখ টাকা। বাকি ৯টি অকৃষি এবং কৃষি জমির দাম উল্লেখ করেননি।

হলফনামার বাইরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল মৌজার চারটি দাগে লায়লা কানিজের নামে আরো দুই বিঘা (৬৬.৭৫ শতাংশ) জমির সন্ধান পাওয়া গেছে ভূমি অফিসের নথি থেকে। ২০২৩-২৪ করবর্ষের আয়কর বিবরণীতে মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ তাঁর মোট সম্পদ দেখিয়েছেন ১০ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার টাকা। তাঁর হাতে এবং ব্যাংকে নগদ তিন কোটি ৫৬ লাখ টাকা আছে বলে উল্লেখ করেছেন। পুঁজিবাজারের শেয়ার বিক্রি থেকে এক কোটি ৬৮ লাখ ৯৩ হাজার টাকা মুনাফার কথাও উল্লেখ করেছেন।

হলফনামায় লাকি তাঁর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। নিয়মানুযায়ী হলফনামায় প্রার্থীর স্বামী বা স্ত্রীর সম্পদের বিবরণও দিতে হয়। কিন্তু লায়লা কানিজ স্বামীর নাম উল্লেখ না করে বাবার নাম উল্লেখ করেছেন। পরিবারের সম্পদ গোপনের উদ্দেশ্যে কৌশলে তিনি স্বামীর নাম উল্লেখ করেননি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নরসিংদীর রায়পুরায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাকির বাবা কফিল উদ্দিন আহাম্মদ ছিলেন দ্বিতীয় শ্রেণির খাদ্য কর্মকর্তা। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে লায়লা কানিজ সবার বড়। তিনি রায়পুরা উপজেলার মরজালে নিজ এলাকায় প্রায় দেড় একর জমিতে ‘ওয়ান্ডার পার্ক ও ইকো রিসোর্ট’ নামের একটি বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলেন। সরকারি কলেজের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কিভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন, সেই প্রশ্নও এখন সামনে এসেছে।

এসব সম্পদের বিষয়ে জানতে লায়লা কানিজের তিনটি ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে দুটি নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে, একটি নম্বরে কল গেলেও তিনি ফোন ধরেননি।কালের কণ্ঠ

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions