শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসাবে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনছুর আলীসহ৩ জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ একসঙ্গে পদোন্নতি পেলেন ‘বঞ্চিত’ ৭৬৪ কর্মকর্তা রাঙ্গামাটিতে মিনি চিড়িয়াখানায় রেসিডেন্সিয়াল কলেজ উদ্বোধন বান্দরবানে আ.লীগ ২৭ নেতার বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান দুদকের খাগড়াছড়িতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে রাঙ্গামাটি জেলা গণঅধিকার পরিষদ রাঙ্গামাটিতে “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত দ্বিকক্ষবিশিষ্ট ৫০০ আসনের সংসদ চাকরি ফিরে পাচ্ছেন আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা ‘যে আন্দোলন’ ছড়িয়ে গেল সবখানে

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে জমে উঠেছে পাহাড়ি গরুর হাট

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪
  • ১৪০ দেখা হয়েছে

রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে কোরবানি উপলক্ষে জমে উঠেছে পাহাড়ি গরুর হাট। উপজেলার প্রবেশপথেই প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে এই হাট। উপজেলার সীমান্তবর্তী সাজেক, দোসর, নিউলংকরসহ দূরদূরান্ত থেকে এসব গরু নিয়ে সাত-আট দিন হেঁটে উপজেলা সদরে পশুর হাটে আসছেন বিক্রেতারা।

কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ওষুধ ছাড়াই পাহাড়ি এসব গরু বনে স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠায় দেখতে বেশ হৃষ্টপুষ্ট। তাই সহজেই ক্রেতাদের মন কাড়ছে এসব গরু। এ ছাড়া বাজারে রয়েছে বাহামাসহ নানা প্রজাতির বিশালদেহী বিদেশি জাতের গরুও।
বুধবার সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে দেখা যায়, মাঝারি সাইজের একেকটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে আড়াই লাখ টাকায়। এ ছাড়া বিদেশি জাতের গরুর দাম ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা হাঁকা হলেও ক্রেতাদের আগ্রহ কম। বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে নানা জাতের ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।

তবে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসায় গরুর দাম বেশ কম, তাই খামারিদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। পতিটি গরু বিক্রির আগেই উপজেলা পশু সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে একজন উপসহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা উপজেলা পশু সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রণয় খীসা বলেন, এবার হাটে স্থানীয়ভাবে বেড়ে ওঠা প্রচুর গবাদি পশু সরবরাহ রয়েছে। এসব গরুতে কোনো ধরনের মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দেওয়া হয়নি। তাই প্রতিটি গরু স্বাস্থ্যসম্মত।

পশুর হাট ইজারাদার আব্দুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বাজারে পশুর সংখ্যা বেশি হলেও ব্যবসায়ী কম। তার পরও এবার ৮-১০ কোটি টাকার লেনদেন হবে আশা করছি।

বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বেশ ভালো। পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হচ্ছে বাঘাইছড়ি উপজেলার বৃহৎ এই পশুর হাট।

বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জমির হোসেন বলেন, প্রতিবছর কোরবানির মৌসুমে এখানে ৮ থেকে ১০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হয়। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার থাকায় হাটের পরিবেশও চমৎকার।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions