শিরোনাম
শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সারদায় পুলিশের ২৫০ এসআইকে অব্যাহতি আন্তর্জাতিক সংস্থা কানেক্ট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল(সিবিআই) ইউকে এর কার্যকরি কমিটি গঠিত বিতর্কে জড়ালেন রাষ্ট্রপতি, বাড়ছে পদত্যাগের চাপ কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই পরিবারের তিন সদস্যকে গুলি করে হত্যা চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কাপড় ইস্ত্রি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু দিল্লি থেকে মীরাটের সেনানিবাসে শেখ হাসিনা? পদত্যাগপত্রের খোঁজ শাজাহান খানের ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি দুর্নীতির টাকায় ব্যাংক বানিয়েছেন আনিসুল,অবৈধ উপার্জনের প্রধান উৎস ছিল নিয়োগ-বাণিজ্য মিরপুরে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তো বাংলাদেশ!

তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: নির্বাচিতদের আয় বেড়েছে ১০, সম্পদ ৩৭ গুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
  • ৬২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- উপজেলা পরিষদে গত ১০ বছরের হিসাবে অনির্বাচিতদের তুলনায় নির্বাচিতদের আয় বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ। আর সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩৭ গুণ। তৃতীয় ধাপে ১১১ উপেজেলার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন মন্ত্রী-এমপিদের ১৮ জন স্বজন। আর এ ধাপে কোটিপতি রয়েছেন ১০৬ জন। ১০ বছরে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

আজ সোমবার ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ধাপের ভোটে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবি জানায়, প্রায় ২২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রার্থী ঋণ বা দায় রয়েছে। এই ধাপে ভোটে অংশ নেওয়া ১ হাজার ৪১৯ প্রার্থীর মধ্যে ২২৭ জনই বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত। সেই সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ৩০৭ জন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৪৮১ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে নারী মাত্র ২০ জন। ভাইস চেয়ারম্যান ৫৬১ এবং ৩৭৭ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ; ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসায়ী দেখিয়েছেন।

টিআইবি আরও জানায়, প্রথম ধাপে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের ১৩ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১৭ জন এবং তৃতীয় ধাপেও ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া এই ধাপে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনের মধ্যে একজন ভাইস চেয়ারম্যানও রয়েছেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, তৃতীয় ধাপে জমির মালিকানার দিক দিয়ে আইনি সীমা অতিক্রম করেছেন ছয়জন প্রার্থী। আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক সর্বোচ্চ ১০০ বিঘা বা ৩৩ একর জমির মালিক হতে পারেন। এই তালিকার শীর্ষে আছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেওয়ান আশিদ রাজা চৌধুরী। তাঁর মোট জমির পরিমাণ ২৮০ একর। সীমার বাইরে জমির মালিক বাকিরা হলেন সাদুল্লাপুরের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রেজাউল করিম, রাণীনগরের মো. রাহিদ সরদার, সোনাগাজীর জহির উদ্দিন মাহমুদ, পটিয়ার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজেদা বেগম ও ইটনার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সিব্বির মাহমুদ।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় অন্তত ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৭৪। একই সময়ে ১০০ শতাংশের বেশি স্ত্রী বা স্বামী ও নির্ভরশীলদের অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২২ জনের। ২০১৪ সাল থেকে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি আয় বেড়েছে ৪৫ জনের। একই সময়ে ১০০ শতাংশ বা তার বেশি অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ৫৩ জনের।

টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ বছরে অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধিতে উপজেলা পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা পেছনে ফেলেছেন সংসদ সদস্যদের। একজন সংসদ সদস্যের অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৬৫ শতাংশ। যেখানে একজন চেয়ারম্যানের বেড়েছে ৯ হাজার ৮৫০ দশমিক ৬২ শতাংশ।

জাতীয় পর্যায়ে যে এক দলের আধিপত্য স্থানীয় নির্বাচনেও তা বিকেন্দ্রীকরণ হয়েছে জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বড় দুটি দলের দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এটি ইঙ্গিত দেয়, দলীয় আদর্শ বা নৈতিক আদর্শের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। যেহেতু ক্ষমতায় থাকতে পারলে নির্বাচিত হতে পারলে সম্পদ এবং আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব। অর্থাৎ, রাজনীতি, জনপ্রতিনিধিত্ব এর মধ্যে জনস্বার্থের উপস্থিতি এই ক্ষেত্রে নেই। যেটি আছে সেটি হচ্ছে নিজস্ব ব্যক্তিগত স্বার্থ।

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে এটি দেখানো একটি বিষয়। এটি একধরনের পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের খেলা।

অস্বাভাবিক আয়ের বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দেখে ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানান তিনি।

বাজেটে কালোটাকা সাদা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি সংবিধানের সঙ্গে পরিষ্কারভাবে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে অবৈধ আয়কে বৈধতা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মানি লন্ডারিং আইনেও কালোটাকাকে বৈধতা দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রক্রিয়াটিও বৈষম্যমূলক। যে দেশে সাধারণ মানুষ বৈধ আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর আরোপ করা হবে। সে দেশে অবৈধ আয়কে বৈধতা দেওয়ার জন্য ১৫ শতাংশ জরিমানা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র বা সরকার জনগণকে বলছে আপনারা চুরি, দুর্নীতি, অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জন করেন। বছর শেষে আমাদের কাছে আসলে ক্লিন সার্টিফিকেট দেব। অর্থাৎ, অবৈধতাকে সরকার উৎসাহিত করছে এই ধরনের বাজেট অধিবেশনের মাধ্যমে। আমরা অতীতেও এর বিরোধিতা করেছি, এখনো করব, ভবিষ্যতেও করব।’

আরেকটি কথা হচ্ছে কর বাড়ার বিবেচনায় এটি করা হয়। ১৮-১৯ বছর যাবৎ এই কাজটি করা হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের নিজস্ব তথ্য অনুযায়ী উল্লেখযোগ্য হারে এ জন্য কোনো বছরই কর আদায় হয়নি অবৈধতাকে বৈধতা দেওয়ার মাধ্যমে যোগ করেন তিনি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions