বান্দরবান:- আওয়ামী লীগ সম্পর্কের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে, মিথ্যাচার বানোয়াট মন্তব্যে করে পার্বত্য এলাকায় সম্প্রীতি বান্দরবানকে বিনষ্ট করতে পাঁয়তারা করছেন নাগরিক পরিষদ নেতা মজিবর রহমান। ১৯৭১ সালে সেই আ. লীগ এখন আর নেই, বর্তমান আ.লীগ এখন বিশাল মহাসাগরের দ্বীপ। ঘরের ভিতরে বসে ভাষণ না দিয়ে মাঠে ময়দানে সরাসরি আসেন মুখোমুখি লড়াই হবে। আপনার এই অশালীন, অযৌক্তিক বক্তব্যের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিতে গেলে কোথায় ছিটকে যাবেন সেটি টের পাবেন না। তাই সম্প্রীতি বান্দরবানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নাগরিক পরিষদকে বিতাড়িত করার হুঁশিয়ারি দেন।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও সমাবেশে এক বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ বের করা হয় প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও সমাবেশে মিছিল। শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এসময় অংশ নেন জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিয়ে যে খেলা খেলতে চেয়েছেন সে খেলায় টিকতে পারবেন না। আ.লীগ নেতাদের নিয়ে যদি আর কোনো কটূক্তি শুরু করেন তাহলে কঠোর কর্মসূচি মাধ্যমে আপনাকে বান্দরবান থেকে বিতাড়িত করা হবে।
আ.লীগ নেতারা বলেন, নিজেকে নেতা নেতা ভাব ও কুচক্রী নেওয়ার কারণে তিনি জেলা আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত। আজ তিনি তিন পার্বত্য জেলা মিলে একটি সংগঠন তৈরি করে নিজেকে চেয়ারম্যান হয়ে বাঙালিদের ভাই বলে রতন সেজেছেন। কোনো কিছু করতে না পেরে জেলা আ.লীগের নেতাদের নিয়ে কটূক্তি মন্তব্য করে যাচ্ছে। উপজেলা, সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভোট কারচুপি করাসহ জেলা পরিষদ চাকরি নিয়োগ ক্ষেত্রেও বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন। তার মিথ্যা বানোয়াট, কুচক্র ও অশ্লীল বক্তব্যের মাধ্যমে সম্প্রীতি বান্দরবানকে দাউ দাউ করে নষ্ট করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মো. মুজিবর রহমানের চরিত্র জাতীয় বেইমান নামে খন্দকার মোস্তাকের মতন। রাজনৈতিক ঠাঁই পেতে অনেক নেতার পায়ের তলে আশ্রয় নিয়েছিল কিন্তু সেসব নেতাদের সাথে বেইমান করেছেন। সবশেষে বীর বাহাদুর কাছে আশ্রয় নিলেও তার বেইমান ও বিভিন্ন কু-আচরণের জন্য দল থেকে বহিষ্কার হয়েছে। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো.মজিবর রহমানের মিথ্যা বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিবাদে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বান্দরবানের ৭ উপজেলায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে পার্বত্য এলাকার বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল।