বান্দরবান:- মাটির নিচে থরে থরে সাজানো অস্ত্র, গোলাবারুদ। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি গহিন জঙ্গলে হিন্দাল শারক্বীয়ার গোপন আস্তানায় অভিযানের পর এমন দৃশ্যের দেখা পেয়েছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিসিটিসি) ইউনিট। এসব অস্ত্র দিয়েই প্রশিক্ষণ চলতো কুকি-চীন ও কক্সবাজার-বান্দরবান এলাকার স্থানীয় হিন্দাল আল শারক্বীয়ার সদস্যদের।
সংগঠনের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দিলেন সিসিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএনফ) আর জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া আলাদ দুটি সংগঠন। এদের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী, আরেকটি জঙ্গি সংগঠন। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের গহিন এলাকায় আস্তানা গেড়ে ত্রাস ছড়ানোর অপচেষ্টায় বার বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বয়ানে উঠে এসেছে এই দুইটি নিষিদ্ধ সংগঠনের নাম।
তাদের আদর্শ আলাদা হলেও, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে এক জোট হয়েছে কেএনএফ ও হিন্দাল শারক্বীয়া। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি গহীন জঙ্গলে হিন্দাল আল শারক্বীয়ার গোপন আস্তানায় রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আসছেন কুকি-চিনের সদস্যরাও। সেই অস্ত্রে প্রশিক্ষণ নেন তারা।
সিসিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, ১৫ মে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি গহীন জঙ্গলে হিন্দাল শারক্বীয়ার আস্তানায় মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলা বারুদ পাওয়া হয়। এ সময় সংগঠনের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বান্দরবানে কেএনএফের আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণহানির ঘটনায় হিন্দাল শারক্বীয়ার সংশ্লিষ্টতা ও অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।