খাগড়াছড়ি:- খাগড়াছড়িতে জুয়ায় নিঃস্ব হয়ে স্বর্ণালঙ্কারের লোভে জেঠী শাশুড়ি ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা (৫৫)’কে হত্যাকারী বিবেকানন্দ ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
মামলা দায়ের করার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ও হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও সে সাথে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, জুয়া খেলে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়েছিলেন বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। গত ১১ মে সন্ধ্যায় ভাইবোনছড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দ্রোন চার্য ত্রিপুরা স্ত্রী ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা পাশের বাড়িতে মোবাইল ফোন চার্জ দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। ১৫ মে কলা বিল পাড়ার সেগুন বাগান এলাকা থেকে তার হাত, পা বাধা ও অর্ধ-পচন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৫ মে ভিকটিমের স্বামী দ্রোন চার্য ত্রিপুরা অজ্ঞাতনামা আসামীর বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা মোবাইল চার্জ দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিবেকানন্দ ত্রিপুরার সাথে দেখা হয়। এ সময় ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরা গলায় স্বর্ণের চেইন ও কানে স্বর্ণের দুল দেখতে দেখে বিবেকানন্দ ত্রিপুরা উক্ত স্বর্ণের জিনিসগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে। বিবেকানন্দ ত্রিপুরা সাথে কথা বলতে বলতে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার স্বর্ণের জিনিসগুলো ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে।
১২ মে বিবেকানন্দ ত্রিপুরা ছিনিয়ে নেওয়া স্বর্ণালংকার গুলো খাগড়াছড়ি বাজারের একটি স্বর্ণালংকারের দোকানে নিজের স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বলে বন্ধক রাখে। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি সীমান্ত ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা কালে গ্রেফতার করা হয় এবং বিবেকানন্দ ত্রিপুরার স্বীকারোক্তি স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়।
দ্রুততম সময়ে হত্যাকারীকে আটক করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভিকটিমের স্বামী দ্রোন চার্য ত্রিপুরা। অতি-শীঘ্রই ন্যক্কারজনক এ হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি।