রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দুলোবনিয়া এলাকায় পাহাড়ের বিবদমান আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (সন্তু) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, ইউপিডিএফের (প্রসিত) মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ।
সোমবার বিকল ৪টায় বঙ্গলতলী এলাকার সুকেতন মাঠে গোলাগুলি শুরু হয়ে সন্ধ্যায় বন্ধ হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৬টায় আবারও শুরু হয় ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ। সকাল ৯টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি চলমান রয়েছে।
গোলাগুলির ঘটনায় বিভিন্ন সূত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হতাহতের খবর ও রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে পড়লেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হতাহতের সুনির্দিষ্ট খবর দিতে পারেনি। স্থানীয়দের ঘরের আসবাপত্রে গুলি লেগেছে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার দুই পক্ষের গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখতে বন্ধুক যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। তবে হতাহতের খবর নিশ্চিত করতে পারেনি এলাকাবাসী।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা জেএসএস ও ইউপিডিএফের গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’
জেএসএস (সন্তু) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট, ইউপিডিএফ (প্রসিত) সূত্র থেকে গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও হতাহতের বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
এদিকে আগামী ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর পুরোদমে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। এবার ভোটের মাঠে বড় দুই রাজনৈতিক দলের কোনো প্রার্থী না থাকলেও পাহাড়ে বিবদমান আঞ্চলিক দুই সংগঠনের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ সকল প্রস্তুতি নেয়া হলেও গোলাগুলির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা আটজন নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গুলিতে হত্যা করেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ৩৩ জন। ওই ঘটনার পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।