শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কি ৪০০ আসন ঘরে তুলতে পারবে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
  • ১২৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৪০০ আসনের লক্ষ্য ঠিক করেছে। নির্বাচনপূর্ব বিভিন্ন জনমত জরিপেও এনডিএ জোটের এ সংখ্যক আসন পাওয়ার আভাস মিলেছে। কিন্তু নির্বাচন চলাকালে সব জরিপ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তবে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশ্লেষকদের মতে, শুধু মোদির একক জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে এনডিএ জোট ৪০০ আসন পাওয়ার যে স্বপ্ন দেখছে, তা অনেকটা দিবাস্বপ্নের মতোই। শুধু তাই নয়, তাদের মতে, বিজেপির বিরুদ্ধে নীরবে ভোট বিপ্লবও হতে পারে এবার। কারণ মোদি সরকার অনেক প্রতিশ্রুতিই পূরণ করতে পারেনি। ভোটের মাঠের প্রকৃত চিত্র বুঝতে পেরে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও বিজেপির নেতারা এখন অসংলগ্ন বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও মনে করছেন তারা।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই নরেন্দ্র মোদির ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে যেন বুঁদ হয়ে আছেন ভারতের সাধারণ মানুষ। ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩০৩ আর জোটগতভাবে ৩৫২টি আসন পায়। এবার জোটগতভাবে ৪০০ আসন পাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গতবারের নির্বাচনে কংগ্রেস ৫২টি আর জোটগতভাবে ৯১টি আসন পায়। এবার নির্বাচনের শুরুতেও বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, প্রথম দফার ভোটের পর বিজেপির সেই আত্মবিশ্বাসে যেন চিড় ধরতে দেখা যায়। কারণ অনেক আহ্বানের পরও প্রথম দফায় কোনোভাবে ৬০ শতাংশের বেশি ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনা যায়নি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার বেলায়ও তাই। তার মানে, এবার আর মোদি ম্যাজিক কাজে আসছে না। আর এ ৬০ শতাংশের হারকেও নির্বাচন কমিশন অতিরঞ্জিত করে দেখিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ইসি বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করছে সেই দলগুলো। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘৪০০ আসন পাওয়া তো দূরের কথা, নির্বাচনে জয়লাভ করা নিয়েও সংশয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তাকে বেশ নার্ভাস লাগছে। পরিস্থিতি অনুকূলে নয় বলে সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিয়ে নিজের মাঠ ঠিক রাখার চেষ্টা করছেন।’

একই ধরনের কথা বলেছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তিনি এক কলামে লিখেছেন, মোদি ম্যাজিক এবার আর কাজে আসছে না। শুধু একজনের ওপর ভর করে বারবার খেলা দেখানো যায় না। আর তা ছাড়া গত নির্বাচনের আগে জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোট টানতে সক্ষম হলেও এবার আর সেরকম কোনো ইস্যু নেই। আর তরুণদের ব্যাপকহারে চাকরি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি তিনি গতবার দিয়েছিলেন, সেটা পূরণ করতে পারেননি। সেই সঙ্গে বিজেপি যে বিভাজনের রাজনীতি কায়েম করেছে, তা যে মঙ্গলজনক নয়, সেটা এখন বুঝতে পারছে মানুষ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এনডিএ জোটকে ৪০০ আসন পেতে হলে দক্ষিণে অনেক ভালো করতে হবে, যা অনেক কঠিন বিষয়। কেরালায় এখন পর্যন্ত লোকসভায় খাতা খুলতে না পারা বিজেপিকে এবারও সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হবে বলে মনে করছেন তারা। গতবার বিজেপির ভালো ফল করা ১১ রাজ্যের সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গকে ধরলে মোট আসন ৩৬৭টি। এসব রাজ্যে সহযোগীদের নিয়ে বিজেপি জিতেছিল ৩১৩ আসন। ৪০০ পার করতে হলে বাড়তি প্রয়োজন আরও ৮৭টি। আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মোট ২৫ আসনও যদি সঙ্গ দেয়, তা হলেও ৪০০ পার করতে দরকার আরও ৬০-৬২ আসন। সেসব আসন আসবে কোত্থেকে?

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions