আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখবে রাশিয়া। সোমবার (৬ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের আলোকে শিগগিরই এই পরীক্ষা চালানো হবে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, সাউদার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী এই মহড়ায় অংশ নেবে। সামরিক বাহিনীর বিমানবহর ইউনিট ও নৌবাহিনীও এই মহড়ার সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
মহড়ার লক্ষ্য হলো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সক্ষমতা যাচাই করে দেখা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য ও হুমকি দেওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মহড়ার মাধ্যমে রুশ সেনারা নিশ্চিত করবে যে তারা রাশিয়ার অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম।
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র বলতে সাধারণত ছোট আকৃতির নিম্ন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক ওয়ারহেডকে বোঝায়। শত্রুবাহিনীর সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানোর জন্য এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। যাতে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানো যায়। এ ছাড়া এটি তেজস্ক্রিয়তাও কম ছড়ায়।
তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত পারমাণবিক বোমা মোতায়েনের পরীক্ষা চালানোর ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
সম্প্রতি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ইউরোপে ‘স্টিডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ নামের যে মহড়া চালাচ্ছে তা পছন্দ করছে না ক্রেমলিন।
রাশিয়ার কাছে দূরপাল্লার আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত রয়েছে।
ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের তথ্যমতে, রাশিয়ার কাছে ৫ হাজার ৯৭৭টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ভ্লাদিমির পুতিন থেকে শুরু করে রাশিয়ার একাধিক শীর্ষ নেতা পশ্চিমা ইন্ধন অব্যাহত থাকলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও এর আগে দাবি করেছিলেন, পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের পরিকল্পনা রাশিয়ার রয়েছে। সূত্র: রাশিয়া টুডে