ডেস্ক রির্পোট:- মার্কিন অস্ত্রের অপেক্ষায় ইউক্রেনের সৈন্যরা রাশিয়ার হামলার মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনটি গ্রাম হাতছাড়া হওয়ার পর জেলেনস্কি আরো দ্রুত অস্ত্র হস্তান্তরের আবেদন করেছেন।
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর মার্কিন কংগ্রেস অবশেষে বিশাল অংকের সামরিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন করলেও বাস্তবে সেই সহায়তার সুফল পেতে সময় লাগছে। মার্কিন প্রশাসন অবিলম্বে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে হস্তান্তর থেকে শুরু করে সেগুলি মোতায়েন করতে অবশ্যই অনেক ধাপ পেরোতে হচ্ছে।
এমন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। রোববার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ওলেক্সান্ডার সিরস্কি জানিয়েছেন, পূর্ব প্রান্তে তিনটি গ্রাম রাশিয়ার দখলে চলে গেছে। আগেই বেদখল হওয়া আভদিভকা শহরের কাছে রুশ সৈন্যদের তৎপরতা বেড়েই চলেছে। খারকিভ শহরের কাছে রুশ সৈন্যসংখ্যা বেড়ে চলায়ও দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন সিরস্কি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও রোববার ডোনেটস্ক এলাকার একটি গ্রাম দখলের দাবি করেছে। শুধু অস্ত্র নয়, যথেষ্ট সৈন্যের অভাবের কারণেও ইউক্রেনের সেনাবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। আরো কমবয়সি পুরুষদের সেনাবাহিনীতে ডাকার পথ সুগম করতে আইন পাশ হলেও সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সময় লাগছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি আন্তর্জাতিক সহযোগীদের উদ্দেশ্যে আরো দ্রুত অস্ত্র সরবরাহের আবেদন জানিয়েছেন। রাশিয়ার হামলা মোকাবিলা করতে নিয়ন্ত্রণ রেখায় প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে সেই সহায়তার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরো পেট্রিয়ট সিস্টেম পেতে তিনি সেখানকার সংসদের নিম্ন কক্ষের ডেমোক্র্যাটিক নেতা হাকিম জেফ্রিসের সঙ্গে রোববার কথা বলেছেন। দৈনিক টেলিভিশন ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এখনো অস্ত্র সরবরাহের জন্য অপেক্ষা করছে।
মার্কিন সামরিক সহায়তা কাজে লাগানোর জন্য প্রস্তুত হলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরো জোরালো করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা বানচাল করতে রাশিয়া রেলপথের উপর হামলা চালিয়ে সামরিক ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো তছনছ করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার এক সুত্র।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি গত সপ্তাহে এমন ষড়যন্ত্রের কথা জানান। ফলে ইউক্রেনের পক্ষে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম সঠিক জায়গায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে উঠতে পারে। ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ চলতি মাসেই বলেছিলেন, যে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন মাসের শুরু পর্যন্ত যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে।