রাঙ্গামাটি:- দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে নাব্য সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে লঞ্চ চলাচল। এতে রাঙ্গামাটির ৬ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে নৌচলাচলের মাধ্যমে ৬টি উপজেলা বিলাইছড়ি-লংগদু-বরকল-জুরাছড়ি-বাঘাইছড়ি-নানিয়ারচর উপজেলার সব রুটে শনিবার (২৭ এপ্রিল) থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে রাঙ্গামাটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতি। তবে এই সময় যে উপজেলায় যতটুকু যাওয়া সম্ভব হবে, সে উপজেলায় ততটুকু যাবে যাত্রীবাহী বোট।
প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় নৌপরিবহনসহ কাপ্তাই হ্রদ ঘিরে তৈরি হয় নানা সংকট।
কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়ায় কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও কমে গেছে। হ্রদের নাব্য ফিরিয়ে আনতে জরুরিভিত্তিতে কাপ্তাই হ্রদের ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত নানিয়ারচর, বাঘাইছড়ি, লংগদু, বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইড়ির বিস্তীর্ণ জলাভূমি শুকিয়ে এখন পরিণত হয়েছে মাঠ-প্রান্তরে। হ্রদজুড়ে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর।
রাঙ্গামাটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দীন জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় শনিবার থেকে সব কয়টি উপজেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হ্রদের নাব্য কমে যাওয়ায় হ্রদের মূল চ্যানেলগুলো পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। যার কারণে লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। বৃষ্টি বা উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে চলবার লঞ্চ চলাচল শুরু হবে।